Recent Tube

বিতিকিচ্ছা-৬ নুর মুহাম্মদ চৌধূরী (মোবিন)

বিতিকিচ্ছা-পর্ব-৬

             
     শেতাঙ্গ শ্রেষ্ট আর কৃষ্ঞাঙ্গরা ম্লেচ্ছ" এমন কথা কখনও সূনীতি হতে পারে না।  রঙের এই দুনিয়ায় কত প্রকার যে জাতীয়তাবাদ আছে তার ইয়ত্তা নাই। এদিকে মনে মনে মিল হয়ে গেলে কঠিণ জাতীয়তাবাদের রক্ষনশীল দেয়াল ভেঙ্গে পাড়ি জমান অন্যত্র এমন অনেক নজীর পাওয়া যায়। মানব জাতিকে মুলত দুইটি নমুনায় সৃষ্টি করা হয়েছে। এর এক হল পুরুষ আর অন্যটি হচ্ছে নারী। এই দুটি জাতীকে আচার, আচরণ, বৈশিষ্টে এক ভাবাও যাবেনা। তথাপীও এরা একে অন্যের প্রয়োজনে সহাবস্থান করে। যেখানে ভিন্ন ভিন্ন মৌলিক বৈশিষ্ট  নিয়ে জাতীয় পরিচয় প্রতিষ্টিত- সেখানে আমরা অতীব প্রয়োজনের তাগিদে এক হয়ে গেলাম। তারপরও জাতীয়তাবাদ নামক বিকৃত মুল্যবোধ নিয়ে বিশ্ব আজ কলংকিত। 
   সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ট ভাষণ বিদায় হজ্জের ভাষণে মানবতার নবী মুহাম্মদ (দ:) বলেছেন," সাদার উপর কালোর আর কালোর উপর সাদার কোন শ্রেষ্টত্ব নাই"।
       সম্প্রতি নিউজিল্যাণ্ডে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনার দায় থেকে মুক্তি আছে কার। আমরাইতো ইসলামের সার্বজনীন সুফল বুঝাতে ব্যর্থ হচ্ছি পৃথীবির মানুষের কাছে। এযাবৎ প্রায় অর্ধেক বিশ্বই মুহাম্মদ (দ:) এর জীবন-চরিতকে বিকৃত ভাবে অধ্যয়ন করছে। অথচ বিশ্বনবী মাকারামে আখলাক। মানবতার জ্বলন্ত উদাহরণ মুহাম্মদ (দ:)। আমরা এ নবীর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বাস্তবে জীবন্ত নায়েব হলাম কই? আমরা নিজেরাইতো শতধা দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে নবীর আদর্শ খতম করছি।খতম করছি কোরআন, খতম করছি ইসলাম। মানবতার পরাকাষ্টা প্রদর্শনে আমরা কতনা পিছিয়ে। দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে ঘুরতে কারোরই লজ্জা হয় না। তবেতো বাস্তবদর্শীরা বলবে" যে আদর্শ আঁকড়ে ধরলে ভিখারী হতে হয়- তাবৎ সুখ উপভোগ জলাঞ্জলি দিয়ে ওরা কেন সেথা পড়ে রয়"।
     পৃথীবির মানুষের মৌলিক প্রয়োজনকে ইসলাম কখনওই এড়িয়ে যায়নি বরং তা সর্বাগ্রে বিবেচনায় রাখে ইসলাম। আর আমরা হাজারো কুটি নাটি মুস্তাহাব বিষয় নিয়ে ইখতেলাফে লিপ্ত থেকে নিজেদের মধ্যেই সৃষ্টি করেছি কতনা জাতী আর জাতীয়তা। খোজ নিলে দেখা যাবে এদের অনেকের পৃষ্টপোষকতায় লিপ্ত আছে স্বয়ং ইসলাম বিরোধী চক্র। এমন কি এদের পৃষ্টপোষকতা চাক্ষুষ স্পষ্ট আছে বিভিন্ন মহলে।
     এই দলাদলির বিষফল হচ্ছে অচীরেই না হোক পৃথীবিতে আস্তিকের উপর নাস্তিকের প্রাধান্য বলবৎ হবে। জ্ঞানের দৈনতা হেতু আস্তিকেরা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে ব্যর্থ হবে চরম ভাবে। আস্তিকদেরকে পাগল সাব্যস্ত করা হবে। দলে দলে মানুষ স্বীয় ধর্ম ত্যাগ করে নাস্তিকতায় দীক্ষা লাভ করবে।
    এখনও যেটুকু বাকী আছে তার সুষ্ট তদারকি তথা বৈজ্ঞানিক পৃষ্টপোষকতা  থাকলে জাতিকে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া থেকে হয়ত রক্ষা করা যেত।

Post a Comment

0 Comments