'নাসিবিয়াত' এমন একটি নিফাকী ও কুফুরী মতবাদ যা আমাদের ধর্মীয় মহলের কাঁধে সাওয়ার হয়ে উপমহাদেশে প্রবেশ করে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, কিন্তু তারপরও 'নাসিবিয়াত' এর তাৎপর্য জ্ঞাত থাকা দূরের কথা তার নামটা পর্যন্ত খুবই কম সংখ্যক মুসলিমই জানেন। এখানে বিস্তারিত বিবরণ সম্ভাব নয়, সংক্ষেপ কথা হল- 'নাসিবিয়াত' হচ্ছে 'রাফিযিয়াত' এর বিপরীত। যারা হযরত আলী (রা) ও ফাতিমা (রা) এর বংশধরের প্রতি অন্ধ আবেগে সীমালঙ্ঘন করেছে তারা হল রাফিযী। আর যারা আলী (রা), তাঁর সঙ্গী সাথী ও আহলে বাইয়াতের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ করে তারা হল নাসিবী। নাসিবীদের দৃষ্টিতে খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত আলী (রা) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও যুদ্ধ করা এবং এ যুদ্ধে হাজার হাজার মুসলিম হত্যা করা মুয়াবিয়া (রা) এর কোন অপরাধ ছিল না, কেননা তিনি নিষ্পাপ ও নিরোপরাধ বরং এর ফলে তিনি (ইজতিহাদের) নেকী পাবেন। এরা মুয়াবিয়া (রা) এর মুকাবিলায় খলিফাতুল মুসলিমীন আলী (রা) কে এবং ইয়াযীদের মোকাবিলায় হোসাইন (রা) কে দোষী ও অপরাধী মনে করে। যে ব্যক্তি 'নাসিবিয়াত' রোগে আক্রান্ত, সে নিঃসন্দেহে মুনাফিকদের অন্তর্ভুক্ত। খলিফাতুল মুসলিমীন আলী (রাঃ) বলেনঃ
وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ إِنَّهُ لَعَهْدُ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيَّ أَنْ لَا يُحِبَّنِي إِلَّا مُؤْمِنٌ وَلَا يُبْغِضَنِي إِلَّا مُنَافِقٌ.
সে মহান সত্তার শপথ, যিনি বীজ থেকে অংকুরোদগম করেন এবং জীবকুল সৃষ্টি করেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, মুমিন ব্যাক্তই আমাকে ভালবাসবে আর মুনাফিক ব্যাক্তি আমার সঙ্গে বিদ্বেষ-শক্রতা পোষণ করবে। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাঃ ৭৮, ইফা - হাঃ ১৪৪, জামে তিরমিযী হাঃ ৩৭৩৬, সুনান নাসায়ী হাঃ ৫০২২, ইবনে মাজাহ হাঃ ১১৪, মুসনাদে আহমদ হাঃ ৭৩৩, ১০৬৫, সিলসিলা সহীহাহ হাঃ ১৮২০)
.
'নাসিবী'রা শুধুমাত্র নিফাকীতেই আক্রন্ত নয় বরং এরা মহান আল্লাহর দুশমনও বটে। বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّتِهِ الَّتِي حَجَّ فَنَزَلَ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ فَأَمَرَ الصَّلَاةَ جَامِعَةً فَأَخَذَ بِيَدِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ أَلَسْتُ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ قَالُوا بَلَى قَالَ أَلَسْتُ أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ قَالُوا بَلَى قَالَ فَهَذَا وَلِيُّ مَنْ أَنَا مَوْلَاهُ اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ اللَّهُمَّ عَادِ مَنْ عَادَاهُ.
আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে বিদায় হাজ্জে (হজ্জ) উপস্থিত ছিলাম। তিনি পথিমধ্যে এক স্থানে অবতরণ করেন, অতঃপর সালাতের জামায়াতে একত্র হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আলী (রাঃ)-এর হাত ধরে বলেন:
"আমি কি মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের চাইতে অধিক ঘনিষ্ঠতর নই?" তারা বলেন, হাঁ অবশ্যই। তিনি আবার বলেন: "আমি কি প্রত্যেক মুমিনের নিকট তার নিজের চাইতে অধিক ঘনিষ্ঠতর নই?" তারা বলেন, হাঁ অবশ্যই। তিনি বলেন: "আমি যার বন্ধু আলীও তার বন্ধু। হে আল্লাহ্! যে তাকে ভালোবাসে আপনি তাকে ভালোবাসুন। হে আল্লাহ! যে তার সাথে দুশমনি করে আপনিও তার সাথে দুশমনি করুন।" (সুনান ইবনে মাজাহ হাঃ ১১৬, মুসনাদে আহমাদ হাঃ ৯৫৩, ১৮০১১, সিলসিলা সহীহাহ হাঃ ১৭৫০)
.
উপমহাদেশের মান্যবর বিখ্যাত শায়খ শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী বলেন,
در بخاري روايت از مروان امد است باوجو ديكه او نيز جمله نواصب بلكه رئيي ان كروه شقاوت يذرده يود-
"বুখারীতে মারওয়ানের সূত্রে বর্ণিত আছে, যদিও সে নাসিবীদের অন্তর্ভুক্ত ছিল, বরং এ হতভাগা দলের প্রধান বা দলপতি ছিল।" (তুহফা ইছনা আশারিয়া, পৃঃ ৯৯)
শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী অারো বলেন,
"ইতিহাস থেকে চূড়ান্ত ভাবে প্রমাণিত যে, আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অনুসারীগণ নাসেবীদের মোকাবিলা করত এবং এ হতভাগাদের বাজে কথার জবাব দান করে তাদের সাথে বাকযুদ্ধে লিপ্ত থাকতো। (তুহফা ইছনা আশারিয়া, পৃঃ ৫৫৫)
.
'নাসিবী'রা শিয়া রাফিযীদের চেয়েও ভয়ঙ্কর ও অধিকতর নিকৃষ্ট। আহলে হাদীসের সুপ্রসিদ্ধ শায়েখ নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিদয়াতের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন,
"বিদয়াতের এক প্রকার হল, 'নাসিব' যা শীয়াদের তুলনায়ও অধিক নিকৃষ্ট। কারণ 'নাসিব' এর অর্থ আলী (রা) প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষকে নিজের দ্বীন ও ঈমান বানিয়ে নেওয়া।" (হাদিয়াতুস সাইল ইলা আদিল্লাতিল মানাইল, পৃঃ ৪৯৬)
.
পাকিস্তানে বিভ্রান্তিকর 'নাসিবিয়াত' এর প্রধান সেনাপতি হল মাহমুদ আহমদ আব্বাসী। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের কতক সুন্নী মহল এ ফিতনাকে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে। হাতে গোণা কয়েক জন আলেম ছাড়া এ ফিতনার বিরুদ্ধে কারো একটি শব্দ লেখা বা বলার তৌফিক হয়নি। ব্যতিক্রমী এ জন আলেমের মধ্যে রয়েছেন উস্তাদ মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ নোমানী। তিনি বলেন,
"এটা মাহমুদ আহমদ আব্বাসী সাহেবের 'খেলাফাতে মুয়াবিয়া ওয়া ইয়াযীদ' নামীয় কুখ্যাত পুস্তকের সমালোচনা। এ দেশে রাফিযীদেরফিতনা পূর্ব থেকেই বিদ্যমান ছিল। বাতিনিয়া ও ইমামিয়া সকলেই প্রথম থেকেই ছিল। অবশ্য খারিজী ও নাসিবদের খুঁজেও পাওয়া যেত না। কিন্তু আব্বাসী সাহেব এ পুস্তক লিখে আহলে সুন্নাতের মধ্যে 'নাসিবিয়াত' এর নতুন ফিতনা দাড় করিয়ে দিয়েছে। এখন এমন অনেক লোক পাওয়া যাচ্ছে যারা মুয়াবিয়া (রা) এর মুকাবিলায় খলিফাতুল মুসলিমীন আলী (রা) কে এবং ইয়াযীদের মোকাবিলায় হোসাইন (রা) কে দোষী ও অপরাধী মনে করে। এ পুস্তক দ্বারা ক্ষতি ছাড়া ফায়দা মোটেই হয়নি। রাফিযী তো সস্থানে আরো শক্ত হয়ে জমে গেছে, কিন্তু আহলে সুন্নাতের অবস্থান পার্থক্য হয়ে গেছে। অনেক লোক হযরত আলী (রা) এর খেলাফাতে রাশেদীনের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে এবং হোসাইন (রা) এর শহীদ হওয়া সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। আজ পর্যন্ত একজন রাফিযী সম্পর্কেও একথা বলা যায় না যে, আব্বাসীর পুস্তক পড়ে তওবা করেছে। পক্ষান্তরে এ পুস্তক অধ্যায়কারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এমন লোক যাবে যে যারা এ মিথ্যা পুটলিকে যথার্থ মনে করে হযরত আলী (রা) ও হোসাইন (রা) সম্পর্কে নিজেদের অন্তর পরিষ্কার রাখতে পারেনি। এ পুস্তক কেবল সরলমনা সাধারণ মানুষকেই নয়, বিশেষ করে শিক্ষিত মানুষকেও প্রভাবিত করেছে, যাদের মধ্যে আরবী মাদ্রাসা থেকে সনদপ্রাপ্ত অনেক লোকও রয়েছে। যাদের ঐ পুস্তকের মূল উৎসে পৌঁছার দক্ষতা নেই তারা এটা গবেষণা ও পর্যালোচনার শ্রেষ্ঠ অবদান বলে মনে করেছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, এখন জাতি হিসাবে মুসলমানরা ইসলামী জ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ মূর্খে পরিণত হয়েছে।... আসল কথা এই যে , রাফিযীদের দুমুখী ও কটুভাষায় লোকজন লোকজন বিতৃষ্ণ হয়ে গিয়েছিল। এমনি সময় উক্ত পুস্তক প্রকাশিত হলো যাতে হযরত আলী (রা) ও হোসাইন (রা) এর অবস্থানকে তার চেয়েও অধিক বিশ্লেষণাত্মক ও মননশীল ভাঙ্গতিতে মারাত্মক ভাবে অাহত করা হয়েছিল যা রাফিযীদের সাহাবায়ে কিরামের অবস্থানকে অাহত করার সাধারণ পদ্ধতি ছিল। এজন্য প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অনেক আব্বাসী সাহেবের এ আচারণে প্রতারিত না হয়ে থাকতে পারেনি। অথচ সকল আহলে সুন্নাহ এ ব্যাপারে একমত যে, হযরত আলী (রা) খলিফায়ে রাশেদীন ছিলেন এবং যারা বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল তারা ভ্রান্তির পথে ছিল। হযরত মুয়াবিয়া (রা) খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত আলী (রা) এর নিকট বাইয়াত গ্রহণ না করে ভুল করেছেন এবং তিনি খলিফায়ে রাশেদীন ছিলেন না। তার ছেলে ইয়াযীদ জালিম ও স্বৈরাচারী শাসক ছিল। পক্ষান্তরে হোসাইন (রা), আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর এবং সকল সাহাবায়ে কিরাম যারা হাররার যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন এবং ইয়াযীদের স্বৈরাচার ও ক্ষমতাকে খতম করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা সকলে সত্যের দিকে আহ্বানকারী ও কল্যাণের পতাকাবাহী ছিলেন। কিন্তু এ পুস্তক (খেলাফাতে মুয়াবিয়া ওয়া ইয়াযীদ) কেবল উপরোক্ত বিষয়সমূহ প্রত্যাখ্যান করার উদ্দেশ্যে রচনা করা হয়েছে। এ পুস্তক পাঠে আহলে সুন্নাতের উক্ত দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে ভুল মনে হয় এবং এটাই হল নাসিবীদেরর অভিষ্ট লক্ষ্য।" (মাসিক বায়্যিনাত, রমযান সংখ্যা, ১৯৮২)
.
বাস্তবিক পক্ষে 'নব্য নাসিবিয়াত' যার পিছনে অাহলে সুন্নাহর দাবিদার কতিপয় আলেম বিভিন্ন ভাবে সমর্থন দিয়ে শক্তি যোগাচ্ছেন তা 'পুরাতন নাসিবিয়াত'কেউ হার মানিয়েছে। পুরাতন নাসিবী হযরত আলী (রা) খেলাফাতকে প্রকাশ্যে অস্বীকার করা বা তাঁর চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করে পেশ করার দুঃসাহস ছিল না। তাই তারা কেবল মুয়াবিয়া (রা) ফজিলত ও মর্যাদা কে অতিরঞ্জিত করে বর্ণনা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। যেমন শায়েখ মুহাম্মাদ ইবনে আহমদ সাফারিনী ইমাম আহমদ (রাহঃ) এর পুত্রের বরাতে বলেন,
سالت ابي علي ومعاوية فقال اعلم ان عليا كان كثير الاعداء ففشش له اعداء شيئا فلم يجدوا فجاؤا الي رجل قد حاربه وقاتله فاطروه كبادا منهم له رضي الله عنه-
"আমি আমার পিতার নিকট আলী (রা) ও মুয়াবিয়া (রা) সম্পর্কে জিজ্ঞাস করলাম। তিনি বলেন, জেনে রাখো! আলী (রা) এর অনেক শত্রু ছিল। তারা তাঁর দোষত্রুটি অনুসন্ধান করে না পেয়ে এমন লোকের (মুয়াবিয়া) নিকট যায় তিনি তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং যুদ্ধ করেন। তারা অতিরঞ্জিত করে মুয়াবিয়ার প্রশংসা করে, যা ছিল আলী (রা) বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র।" (লাওয়ামিউ আনওয়ারিল বাহিয্যা, খন্ড ২য়, পৃঃ ৩৩৯)
.
কিন্তু বর্তমানকালের 'নাসিবী' ও তাদের সমকণ্ঠীদের অবস্থা এই যে, তারা প্রকাশ্যে আলী (রা) এর খিলাফাতকে সংশয়পূর্ণ ও ব্যর্থ করার জন্য এবং তাঁকে ক্ষমতালোভী ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ক্রীড়নক বানিয়ে পেশ করার হীন দুঃসাহস দেখাচ্ছে এবং আলী (রা) এর বিপরীতে মুয়াবিয়াকে খলিফায়ে রাশেদ ও নিষ্পাপ ইমাম বানিয়েই পেশ করছে না বরং ইয়াযীদ, মারওয়ান ও হাকামকেও আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতের সুসংবাদপপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করছে।
.
আল্লামা মওদুদী (রাহঃ) 'খেলাফাত ও রাজতন্ত্র' নামক দলিলভিত্তিক ও তথ্যবহুল কিতাব রচনা করেন। যাতে খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত আলী (রা) এর বিরুদ্ধে নাসিবীদের বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে এবং মওলা আলী (রা) এর অবস্থান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন। এতে নাসিবীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আল্লামা মওদুদী (রাহঃ) এর বিরুদ্ধে, মুয়াবিয়া (রা) কে নিষ্পাপ প্রমাণ করতে এবং আলী (রা) এর বিরোধীতায় কলম ও বাকযুদ্ধ চালাতে থাকে। পরবর্তীতে আল্লামা মওদুদী (রা) এর যোগ্য উত্তরসূরী মুহতারাম শায়খ মালিক গোলাম আলী নাসিবীদের বিরুদ্ধে কুরআন, হাদীস, তাফসীর, শরাহ, ইতিহাস ও ফিকাহ সহ পঞ্চাশাধিক গ্রন্থের রেফারেন্স সহ 'খেলাফাত ও রাজতন্ত্র গ্রন্থের ওপর অভিযোগের পর্যালোচনা' নামে দলিলভিত্তিক ও তথ্যবহুল গ্রন্থ রচনা করে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেন। এতে নাসিবীদের শুধু দাঁত নয় বরং মাড়িও ভেঙ্গে যায়। শুধু তাই নয়, তিনি নাসিবীদের কাঁধে এত দলিল প্রমাণ চেপে দেন, ফলে তারা মেরুদণ্ড সোজা করে আজ পর্যন্ত তার যথার্থ জবাব দিতে পারেননি, আলহামদুলিল্লাহ! আর ভবিষ্যতেও পারবে না, ইনশাআল্লাহ!
0 Comments