Recent Tube

বিতি কিচ্ছা পর্ব-২৬, নুর মুহাম্মদ চৌধূরী।

                     
                            বিতি কিচ্ছা
                               পর্ব-২৬
    
          কিছু কিছু কাজ আছে কঠিন বটে। তবে তা সকলের জন্য দুঃসাধ্য নয়। কঠিন কাজের কাজী হওয়া সকলের জন্য নয়। কর্ম চঞ্চল,কষ্ট সহিষ্ণু ও পরিশ্রমী ছাড়া কেউ কঠিন কাজ আয়ত্বে আনতে সক্ষম হবে না। তবে আমরা তাদেরকে ভাগ্যবান অথবা ভাগ্যবতী বলে চালিয়ে দিতে চাই।   অতঃপরএর দ্বারা নিজেকে অনেকটা নির্দোষ অথবা হালকা করে নিতে চাই। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ভাগ্যবান অথবা ভাগ্যবতীরও একটা নিজস্ব পুঁজি থাকা চাই,- যার নাম যোগ্যতা। যা অর্জন করতে হয়। গায়ে পড়ে এসে কারো কপালে জুড়ে বসে না। কোন যোগ্যতা নাই যার সে হয়ত ভিক্ষা করবে। কিন্তু এখানেও দরকার উপযুক্ততার বা যোগ্যতার। একই মন ভুলানো গানে সকলের মন ভুলানো যায় না, বা সকলেই সকলকে একই বচনে গলাতে পারে না। সাঁতার যদি কেউ কম বেশ কিছুটা আয়ত্বে না নিয়েই ভূমধ্য সাগরে ঝাপ দেয় তবে তার পক্ষে তীরে উটা দুঃসাধ্য বৈ কি। ডিপ্লোম্যাটিক ভিক্ষাবৃত্তিতে পারঙ্গম ব্যাক্তিগন নিজের পেশার প্রয়োজনেই বেশী পরিমানে আত্বীয় স্বজনের খোজ রাখতে সক্ষম হন। তারা নিজের অলসতাকে দুর্ভাগ্য হিসাবে বর্ণনা করে থাকেন, আর অযোগ্যতাকে প্রতিবেশী অথবা নিকটাত্মীয় কর্তৃক লাঞ্চনার স্বীকার হিসাবে পেশ করে থাকেন। এটা তার এক প্রকার যোগ্যতা -যা ডিপ্লোম্যাটিক ভিক্ষাবৃত্তির ক্ষেত্রে বড়ই লাভজনক। তারপরও বলব ভিক্ষাবৃত্তি একটি হালাল পেশা, যদিও তা সর্ব নিকৃষ্ট হালাল। চুরি কিংবা ডাকাতিতো নয় এটা। শর্ত হল এখানে গীবত থাকবে না, যদিও এ শর্ত শততই লংঘিত হয়।
         আধুনিক যুগে কৃপনের কোষাগার থেকে মাল বাহির করে এনে হাতিয়ে নেয়া অথবা তা বাজারে বিনিয়োগ করার যোগ্যতায় পারঙ্গম এক নতুন পেশাদারিত্ব আবির্ভাব হয়েছে। যা একটি ডিপ্লোম্যাটিক চিটিং প্রক্রিয়া। ব্যাংক, বীমা, ইত্যাদি অথবা বিশাল আকারের সাইনবোর্ডের আড়ালে এসব ব্যবসায়ীদের বেশ ভূশা ও বাচন ভজ্ঞি দারুণ ভাবে আকর্ষণ করে পূঁজি পতিকে। এ ধরণের বেশীর ভাগ বিনিয়োগকারীই নিজেকে প্রতারিত হিসাবেই দেখতে পান অল্পক্ষণ পর। তারপরও বলব যোগ্যতা ছাড়া কেউ এ কাজেও সফল হতে পারবে না।
         হাল আমলে ব্যাক্তিকে অপরাধ করার সুযোগ দিয়ে অপরাধী সাব্যস্ত করা অতঃপর তার অপরাধ আড়াল করার মাধ্যমে নির্দোষ সাব্যস্ত করত: টু-পাইস কামাই করার যোগ্যতায় পারঙ্গম এক শ্রেণীর উদ্ভব হয়েছে। যাদের বেশীরভাগই সমাজে প্রতিষ্টিত সমাজপতি ও রাজনীতিজ্ঞ হিসাবে পরিচিত।
           কিন্তু হাজারো যোগ্যতার সমাহার নিয়ে অগ্রসরমান কোন চৌকষ অভিযাত্রীকেও মাঝে মাঝে হোচট খেতে হয়। প্রতিবার হোচট খান, আর কাঁচা চুলে পাক ধরান, এমন ঘটনাও কিন্তু একেবারে কম নয় সমাজে। তাই বলে ঝিমিয়ে পড়া, স্তিমিত হয়ে যাওয়া কোন যোগ্যতম ব্যাক্তির পক্ষে শোভন নয়। তাইতো কবির কথা, "যোগ্য যে ভাগ্য তার কভূ নাহি টুটে, ডুবিলেও তরী তার পুনঃ ভেষে উটে"। অতঃপর একটি বহুল পরিচিত প্রবাদ উল্লেখ পূর্বক নিবন্ধটি শেষ করছি," পরিশ্রমে ধন আনে পূণ্যে আনে সূখ, আলস্যে দারিদ্র্য আনে পাপে আনে দূখ।।
------------------------------------------------
লেখকঃ একজন ফার্মাসিস্ট  ,  

Post a Comment

0 Comments