Recent Tube

মরুভূমীর হাতছানি, পর্ব-১২- ৷৷ -মুহিউল ইসলাম মাহিম চৌধুরী

                 
                   মরুভূমীর হাতছানি 
                          পর্ব-১২,


   মসজিদে গামাম-(ভ্রমণ -১৭)
আমরা ঘুরতে ঘুরতে এক সময় এসে দাঁড়ালাম ঐতিহাসিক মসজিদে গামামার কাছে ।  গামামা শব্দের অর্থ হল ''মেঘমালা''।  
মদীনাবাসীরা একবার অনাবৃষ্টির কারণে খুবই কষ্ট পাচ্ছিল । তখন রহমতের নবী (স) এই জায়গায় এসে উম্মুক্ত ময়দানে সাহাবীদেরকে নিয়ে অাল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে দুই রাকায়াত ইস্তেস্কার নামাজ অাদায় করেছিলেন । 
ফলে মহান অাল্লাহর হুকুমে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে । হযরত অায়েশা সিদ্দীকা (রা) বলেন,অামি সেদিন রাসূলুল্লাহকে (স) ভেজা অবস্থায় পেয়েছি । 
    তাছাড়া মসজিদে গামামার খোলা চত্বরটি ছিল নবীজির সময়ের ঈদগাহ। ২য় হিজরী থেকে এখানে হুজুর (স) জীবনভর ঈদের সালাত অাদায় করেছিলেন ।
অারেকটি কারণে এ মসজিটি স্মৃতিময় হয়ে অাছে অার তা হলো হুজুর (স) এখানে নাজ্জাশী বাদশাহর গায়েবানা জানাজা পড়েছিলেন । 
বাদশাহ নাজ্জাশীকে নবী (স) পত্র দ্বারা ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন । বাদশাহ সেই দাওয়াত কবুল করে মুসলিম হয়েছিলেন । 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়ে মসজিদে গামামাহ’র পাশে কোনো মসজিদ ছিল না। ৯১ হিজরির দিকে খলিফা ওয়ালিদ বিন মালেক হুজুর (স) এর সমৃতিকে ধরে রাখার জন্য এখানে মসজিদ তৈরি করেন।
পরবর্তীতে কয়েকবার এ মসজিদটিকে সংস্কার করা হয় । 
সাম্প্রতিক সময়ে যে দালান আমরা দেখতে পাই, তা সুলতান আব্দুল মাজিদ খান ওসমানির যুগে নির্মিত।
এর পাশে রয়েছে অারও তিনটি মসজিদ । মসজিদে অাবু বকর, মসজিদে ওমর ও মসজিদে অালী । 

বর্তমানে মসজিদে নববীর ব্যাপক সম্প্রসারণের পরিপ্রেক্ষিতে এটি মসজিদে নববীর দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়েছে।

মসজিদে নববীর ছয় নাম্বার গেট দিয়ে অগ্রসর হলে মাত্র ৫০০ মিটার দূরত্বের ভেতরেই রহমাতুল্লিল অালামীনের পদচারণার স্মৃতি নিয়ে ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে অাছে ''মসজিদে গামামা''।
------------------------------------------------
লেখকঃ কলামিস্ট ও প্রবন্ধ লেখক।        

Post a Comment

0 Comments