Recent Tube

অসুস্থদের জন্য দোয়া ও ক্ষমার শরঈ বিধানঃ মুহাম্মদ তানজিল ইসলাম।

অসুস্থদের জন্য দোয়া ও ক্ষমার  শরঈ বিধানঃ 

      আমি সহ আমরা যে কেউ যেকোন রোগে  আক্রান্ত, হতে পারি যে কোন জটিল রোগের  কারনে অনেক সময় অপারেশনও করতে হতে পারে। আমি সব সময় চেয়েছি, আমাদের আচারণে যেন, কেউ কষ্ট না পান। তারপরও বিভিন্ন সময়ে বহু বিষয়ে লিখতে হয় লিখেছিও তবে সবসময়ই চেয়েছি কোরআন  সুন্নাহর আলোকে  দলিল ভিত্তিক আসল সত্য-টাই তুলে ধরতে এবং নিজেকে সত্যের সাক্ষ্য হিসেবে একজন মুসলি পরিচয়ে মেলে ধরতে। তার পরেও কেউ যদি আমার, আমাদের কোন কথায় বা আচরণে কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমরা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের নিশ্চয় জানা আছে ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। আল্লাহর ওয়াস্তে দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন। 

আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ 
خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ
ক্ষমা প্রদর্শন কর এবং ভালো কাজের আদেশ দাও। 
(সূরা আ'রাফঃ১৯৯)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
«مَنْ لاَ يَرْحَمِ النَّاسَ لاَ يَرْحَمْهُ الله».
‘‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করবে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করবেন না।’’ 
[সহীহুল বুখারী ৬০১৩, ৭৩৭৬, মুসলিম ২৩১৯, তিরমিযী ১৯২২, আহমাদ ১৮৭০৭, ১৮৭২১, ১৮৭৫৬, ১৮৭৭৭]

       নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 
مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ وَلاَ وَصَبٍ وَلاَ هَمٍّ وَلاَ حُزْنٍ وَلاَ أَذًى وَلاَ غَمٍّ حَتّٰى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا إِلاَّ كَفَّرَ اللهُ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ.

মুসলিম ব্যক্তির উপর যে কষ্ট ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানী আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফুটে, এ সবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। 
[সহীহ বুখারী, হাঃ৫৬৪১; সহীহ মুসলিমহাঃ ২৫৭৩; মুসনাদে আহমদঃ২৪৮৮২]

     আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ তা'য়ালা যেন, রোগের কষ্টের বিনিময়ে জীবনের গুণাহসমূহ ক্ষমা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

«دَعْوَةُ المَرْءِ المُسْلِمِ لأَخِيهِ بِظَهْرِ الغَيْبِ مُسْتَجَابَةٌ، عِنْدَ رَأسِهِ مَلَكٌ مُوَكَّلٌ كُلَّمَا دَعَا لأَخِيهِ بِخَيْرٍ قَالَ المَلَكُ المُوَكَّلُ بِهِ: آمِينَ، وَلَكَ بِمِثْلٍ».

     কোন মুসলিম তার ভাইয়ের অবর্তমানে তার জন্য নেক দো‘আ করলে তা কবুল হয়। তার মাথার নিকট একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকেন, যখনই সে তার ভাইয়ের জন্য নেক দো‘আ করে, তখনই ফেরেশতা বলেন, ‘আমীন এবং তোমার জন্যও অনুরূপ।”
[সহীহ মুসলিম ২৭৩২, ২৭৩৩, আবূ দাউদ ১৫৩৪, ইবনু মাজাহ ২৮৯৫, আহমাদ ২১২০০, ২৭০১০]

أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ.

       (হে আমার রব!) ‘আমি (অসুস্থ) দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’।
(সূরা আম্বিয়াঃ৮৩)

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ.

    হে আমাদের রব, আমাদেরকে পরিপূর্ণ ধৈর্য দান করুন এবং মুসলিম হিসাবে আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন।’
(সূরা আ'রাফঃ১২৬)


رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ

হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন’।
(সূরা ইব্রাহীমঃ৪১)
------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা ও মাওলানা।         

Post a Comment

0 Comments