Recent Tube

ঘোষণা; আপকামিং বুক ডিক্লারেশন; জিয়াউল হক।

আপকামিং বুক ডিক্লারেশন;

আলহামদুলিল্লাহ। আমার চৌত্রিশতম গ্রন্থ (প্রকাশের তালিকায় ৩০ তম) ‘সিজদাহ: নিরাময় ও প্রশান্তির সোপান’ আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে আগামি সপ্তাহেই ইনশাআল্লাহ। বইটা এক নজরে;
আল কুরআনে আল্লাহপাক কুরআনুল কারিমে ‘উলুল আলবাব’ এবং ‘উলিল আলবাব’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন ‘উন্নত বুদ্ধিমত্তার অধিকারী’ লোকজনকে বুঝাতে। ১৬ বার উল্লেখিত হয়েছে। কোন প্রসঙ্গে তিনি ‘উলিল আলবাব’ বা ‘উলুল আলবাব’ বিশেষণগুলো এনেছেন এবং কাদেরকে ‘উলিল আলবাব’ বা উলুল আলবাবের অধিকারি বলতে চেয়েছেন? ----।
কপালের মধ্যভাগ, যেখানে কপালের সীমানা শেষে মাথার চুল শুরু হয়েছে, ঠিক সে জায়গায় ফ্রন্টাল লোবে একটা ছোট্ট মাংশপিন্ড টিকটিকির লেজের মতো, সম্মুখভাগ থেকে লম্বালম্বীভাবে গেছে মাথার পেছনের দিকে কিছুটা। চিকিৎসাবজ্ঞানের ভাষায় ‘সিংগুলেট জাইরাস’ (Cingulate Gyrus)। বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণায় মাত্র কয়েক বছর আগে এর কার্যক্রম জেনে অবাক হয়েছেন; কোনভাবে ‘সিংগুলেট জাইরাস’কে অকার্যকর করা গেলে ব্যক্তি বুদ্ধিবৃত্তিক কোন কাজ বা কাজের পরিকল্পনা করতে পারে না। মিথ্যা বা বানিয়ে কথা বলতে, প্রতারণা কিংবা শঠতা ও ছলনাও করতে পারে না।
অর্থাৎ এই ‘সিংগুলেট জাইরাস’ই আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের ক্ষমতা ও দায়িত্বটুকু পালন করে। এটা মানুষের কমান্ড সেন্টার, তথা, হেড অফিস!
যা হোক,  ব্রেনের সেই ৮৬ বিলিয়ন (৮৬০০ কোটি) নিউরোন বা স্নায়ুকোষ সকলে মিলে প্রতি মহুর্তে এই বৈদ্যুতিক প্রবাহ, তথা, বৈদ্যুতিক চৌম্বকীয় (Internal Magnetic Fields) বায়োমেগনেটিক ফিল্ড (Biomagnetic Field) সৃষ্টি করে। মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুরই নিজ নিজ ইলেক্ট্রোমেগনেটিক ফিল্ড (Electromagnetic Field) রয়েছে। মাটির জিউমেগনেটিক ফিল্ড সুর্যের সোলার মেগনেটিক ফিল্ড এবং মহাকাশের কসমিক মেগেনেটিক ফিল্ডের সাথে আমার, আপনার অস্তিত্তটা অঙ্গাঙ্গিভাবে বাঁধা।  --
কুকুর মলমুত্র ত্যাগ করার বেলায় নিজেকে উত্তর দক্ষিণ মেরুর সাথে সমান্তরাল রেখায় দাঁড় করায় । একই কাজ করে শেয়াল, হরিণ এবং ভাল্লুকও। এটাই যেন ওদের বেলায় কিবলামূখী হওয়া! মাটির গ্রাভিটেশনাল ফোর্স (মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টান) হলো ৯.৮০৭ এম/এস২ (m/s2)।
আমাদের ব্রেনওয়েভ বা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহ রয়েছে ছয়টি। ইনফ্রা লো ব্রেনওয়েভ (Infra-Low Brainwaves) অতি সুক্ষ বৈদ্যুতিক প্রবাহ (.৫ হার্টজ মাত্রার কম) // ডেলটা (Delta Brainwaves) বৈদ্যুতিক প্রবাহ .৫ হার্টজ (Hz থেকে ৩ হার্টজ (Hz)// থেটা ব্রেনওয়েভ; ৩.৫ থেকে ৮ হার্টজ// আলফা (Alpha Brainwaves) ৮ থেকে ১২ হার্টজ// বেটা (Beta Brainwaves) ১২ হার্টজ থেকে ৩৮ হার্টজ// গামাওয়েভস (Gamma Brainwaves) ৩৯ থেকে ৪২ হার্টজ (Hz)। কখনও কখনও এটা ১৪০ হার্টজ পর্যন্ত পৌছুতে পারে।
মানবজীবনের প্রথম ৩৬ মাস সময়কাল ব্রেনওয়েভকে গামাওয়েভ-এ রাখতে পারলে শিশুর বৃদ্ধিমত্তা, ভাষাজ্ঞান গড়ে উঠে অসাধারণভাবে।
ব্রেনওয়েভ বা ব্রেনের বৈদ্যুতিক/চৌম্বিক তরঙ্গপ্রবাহ অনিয়ন্ত্রিত হলে ব্যক্তির চিন্তা চেতনায় বিরাট পার্থক্যসূচিত হয়। আলফাওয়েভ (Alpha waves) কমে গেলে ব্যক্তি তথ্য যাচাই, বিশ্লেষণ ও স্বিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস পায়।
ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়া/ উৎকন্ঠা/ খিটখিটে মেজাজ/ অবসাদ ও বিষণœতা/ আচরণে ভারসাম্যহীনতা/ আচরণে উগ্রতা/ ডিপ্রেশন // নিদ্রাহীনতা (Insomnia)//  অমনোযোগীতা (Attention Deficit)//---
আল্লাহ বলেছেন; ‘অনন্তর শয়তান তাদের উভয়কে ওখান থেকে পদস্খলিত করেছিল। পরে তারা যে সূখ স্বাচ্ছন্দে ছিল সেখান থেকে তাদের বের করে দিল এবং আমি বললাম, তোমরা নেমে যাও। তোমরা পরস্পর একে অপরের শত্রু হবে এবং তোমাদেরকে সেখানে কিছুকাল অবস্থান করতে হবে ও লাভ সংগ্রহ করতে হবে। (আল কুরআন ২: ৩৬)
উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে ‘মাটিতে রয়েছে স্থিতিশীলতা’, ‘মাটি থেকে স্থিতিশীল করতে হবে। অর্থাৎ স্থিতিশীলতার রসদ রয়েছে। আমরা কোন বস্তুকে স্থিতিশীলতা করবো?
সিজদাহ’র মাধ্যমে আমাদের দেহের বায়েমেগনেটিক ফিল্ডের সাথে মাটির জিওমেগনেটিক ফিল্ড হয়ে সূর্যের সোলার ম্যাগনেটিক ফিল্ড এবং মহাকাশের কসমিক মেগেনেটিক ফিল্ডের সংযোগ ঘটাই, ব্রেন উৎপাদিত কম বা মাত্রাতিরিক্ত বৈদ্যুতিক প্রবাহকে সঠিক মাত্রায় আনি। ঠিক তেমন, যেমনটা গ্রামের বাড়িতে টিনের চালের সাথে ধাতব তার বেঁধে মাটিতে পুতে রাখা হয় আর্থিং করে বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে।
সঠিকভাবে, সঠিক মাত্রা এবং সঠিক সময়ে সিজদাহ করাটাই কি সেই কারণ, যে কারণে সোয়া লক্ষ সাহাবি রা. গণের মধ্যে একজনেরও কোনরকম মানসিক রোগের কোন লক্ষণ ছিল না? ভাবতে হবে, জানতেও হবে  বটে ---
-------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা গীতিকার ও বিশ্লেষক।           

Post a Comment

0 Comments