ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র রাজনীতির আখড়া উপড়ে ফেলার দাবি তুলেছেন মাওলনা মামুনুল হক।
তিনি বলেন , "আওয়ামীলীগ বিএনপিসহ জাতীয় পার্টি জামাত ইসলামসহ যাদের ছাত্র সংগঠন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ছাত্র রাজনীতির নামে আমার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পরিনত করেছে, আমরা দাবি তুলতে চাই! সমস্ত রাজনীতির আখরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপড়ে ফেল।"
এই "উপড়ে ফেল"র নির্দেশ জনগণকে,প্রশাসনকে নাকি তার দলের নেতাকর্মীকে দিয়েছেন তা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি।
কিন্তু হটাৎ ছাত্র রাজনীতি উপড়ে ফেলার এত তাগিদ তার মাথায় কোত্থেকে এল,কেন এল সেই প্রশ্ন তো থাকছেই।
সিলেটের এমসি কলেজের গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে অনলাইন অফলাইনে মানুষ সোচ্চার।
ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, নুরুর ছাত্র অধিকার পরিষদ ইতিমধ্যে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।মিছিল করেছে ইসা ছাত্র আন্দোলনও।
এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করলে মামুনুল হকের বক্তব্যের উপর একটি পরিস্কার ধারণা পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করি।
অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর ব্যানারে ধর্ষক ছাত্রলীগের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ হলেও ইসা ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রলীগের নাম ছিল অনুউপস্হিত।তাদের বিক্ষোভ ছিল সারা দেশে ধর্ষকদের বিচার চেয়ে।ব্যাপারটি বড়ই হাস্যকর বটে।দেশ বাসির চোখ যখন সিলেটের ছাত্রলীগনামক নরপশুদের দিকে তাদের বিক্ষোভ তখন সারাদেশের ধর্ষকদের বিচার চেয়ে।
ইসা ছাত্র আন্দোলন ছাত্রলীগের নাম ব্যানারে দিয়ে বিক্ষোভ করে শেখ হাসিনার বিরাগভাজন হয়ে নিজদরর বিপদ ডেকে আনাতে চায়নি।আবার সমালোচনার ভয়ে মান বাঁচাতে নীরবও থাকেনি।
বিভিন্ন সংগঠন থেকে ছাত্রলীগের ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে দেশে যখন একটা উত্তপ্ত বাতাস বয়ে যাচ্ছে মামুনুল হক ঘরে বসে থাকবেন কেন?
তারও একটি সংগঠন আছে,আছে মানসম্মানও।তাই তিনি নীরব থাকা সমীচীন মনে করেননি।তিনি তার এ্যাটোম বোম নিক্ষেপ করেছেন সমস্ত ছাত্র সংগঠনের উপরে।দোষ করল ছাত্রলীগ।ছাত্রলীগের নাম নিতে সাহস হলনা,মান বাঁচাতে বোম মারলেন সমস্ত ছাত্র সংগঠনের উপর।এই গণহত্যার দায় কে নিবে, মাওলানা মামুনুল হক?
-------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments