Recent Tube

ইসলামে ধর্ষকের শাস্তি কি? শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।

 প্রশ্ন: ইসলামে ধর্ষকের শাস্তি কি?

উত্তর: কেউ যদি কোন নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে তাহলে তাতে দু ধরণের অপরাধ সংঘটিত হয়। সুতরাং তার শাস্তিও দু প্রকার।

⚫ একটি অপরাধ হল, জিনা বা ব্যভিচার। ইসলামী ফৌজদারি আইন অনুযায়ী এর শাস্তি হল, বিবাহিত হলে রজম তথা পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা আর অবিবাহিত হলে একশ চাবুকাঘাত।

উল্লেখ্য যে, পারস্পারিক সম্মতিতে জিনা সংঘটিত হলেও ইসলামের এই কঠিন বিধান প্রয়োগ করা হবে। 

 ⚫ অপরটি হল, অপহরণ বা শক্তি প্রয়োগ। এটি ডাকাতি পর্যায়ের অপরাধ। এর শাস্তি নিম্নরূপ: আল্লাহ তাআলা বলেন-

 إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّـهَ وَرَسُولَهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَن يُقَتَّلُوا أَوْ يُصَلَّبُوا أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُم مِّنْ خِلَافٍ أَوْ يُنفَوْا مِنَ الْأَرْضِ ۚ 

“যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং জমিনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করে, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্ত ও পদযুগল বিপরীত দিক থেকে (যেমন ডান হাত ও বাম পা অথবা বাম হাত ও ডান পা) কর্তন করা হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।” (সূরা মায়িদাহ: ৩৩)

 শরিয়া কোর্টের বিচারকগণ সার্বিক দিক বিচার-বিশ্লেষণ করে যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধীর উপর উপরোক্ত কুরআনের আইন বাস্তবায়ন করবেন।

★ উল্লেখ্য যে, ২য় আইনটির ক্ষেত্রে ব্যভিচার করা শর্ত নয়। অর্থাৎ কেউ যদি অস্ত্রের মুখে কোন নারীকে অপহরণ করে বা জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তাহলে তার উপর  উক্ত আইন বাস্তবায়িত হবে; ধর্ষণ হোক বা না হোক। আর ধর্ষণ হলে তখন অপরাধ দুটি বলে গণ্য হবে এবং দুটিরই শাস্তি বাস্তবায়িত হবে। 

★ এ শাস্তি কেবল ধর্ষণকারীর উপর প্রয়োগ হবে; ধর্ষিতার উপর নয়। কেননা, ধর্ষিতা এখানে নিরপরাধ বরং সে জুলুমের শিকার হয়েছে। 

★বিবাহিত ও অবিবাহিত নারী/পুরুষ জিনা করলে বিবাহিত ব্যক্তির উপর বিবাহিতের  জন্য যে দণ্ড তা প্রয়োগ হবে আর অবিবাহিত উপর অবিবাহিতের জন্য যে দণ্ড তা প্রয়োগ হবে।
আল্লাহু আলাম।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
লেখাঃ শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল (আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)


Post a Comment

0 Comments