Recent Tube

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ: জলাতঙ্কে প্রতি ৯ মিনিটে একজনের মৃত্যু। শামীম আজাদ।

 
 বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ: জলাতঙ্কে প্রতি ৯ মিনিটে একজনের মৃত্যু;

  জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধী। যা প্রাণী থেকে মানুষে ও প্রাণীতে সংক্রামিত হয়ে থাকে। মূলত কুকুরের মাধ্যমে রোগটি সংক্রামিত হয়। এখনও বিশ্বে প্রতি ৯ মিনিটে ১ জন ও বছরে ৫৫ হাজার মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করে।

   কুকুরকে জলাতঙ্ক থেকে নিরাপদ করতে বিশ্বব্যাপী জলাতঙ্ক নির্মূলে ‘মাস ডগ ভ্যাক্সিনেশন’ বা ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে। কোনো এলাকার ৭০ ভাগ কুকুরকে টিকা দিলে ওই এলাকার কুকুরের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়। তিন বছরে তিন রাউন্ড টিকা দিলে কুকুর থেকে মানুষ বা কুকুর ও অন্যান্য প্রাণীতে জলাতঙ্ক সংক্রমণের হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।

   জলাতঙ্ক নির্মূলে ব্যাপক হারে টিকাদান কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়ে ২০২০ পর্যন্ত সব সিটি কর্পোরেশনে ও ৩৯ জেলায় ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৫টি কুকুরকে এক রাউন্ড টিকা দেয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাকি ২৫ জেলায় আরও আনুমানিক ৬ লাখ কুকুরকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

   এ ছাড়া সংক্রামক রোগ বিধি অনুযায়ী সারা দেশ থেকে জলাতঙ্ক রোগের রিপোর্টিং জোরদারকরণ এবং মানুষ ও প্রাণীর জলাতঙ্ক নিশ্চিতকরণে ল্যাবরেটরি ডায়াগনসিসের ব্যবস্থা উন্নয়নেও সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কাজ করছে।

   বিজ্ঞানী লুইপাস্তুর আবিষ্কার করেছিলেন জলাতঙ্কের টিকা, যার মাধ্যমে রোগটি শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই মহান বিজ্ঞানীর মৃত্যু দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ২৮ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- জলাতঙ্ক নির্মূলে টিকাদানই মুখ্য।

   সংশ্লিষ্টরা জানান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে কুকুর কামড়জনিত জলাতঙ্কমুক্ত বিশ্ব গড়তে হবে। বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ।
----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments