Recent Tube

সরকার পতনের আন্দোলন করতে চান নুরুল হক নুর! -- ইবনে যুবাইর।

  অবৈধ সরকার পতনের আন্দোলন করতে চান নুরুল হক নুর!এ ব্যাপারে তিনি তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্কার করেছেন।

      মৌলিক দাবির ভিত্তিতেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তবে স্বৈরাচারী সরকারকে সরিয়ে আরেক স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চান না তিনি।

     ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের রাজনৈতিক পরিকল্পনা, সাম্প্রতিক ধর্ষণ মামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।আর টি এন এন এর সূত্রে,

   "নুর বলেন, এই মুহূর্তে কেউ যদি আমাকে বলে যে সরকার পতনের আন্দোলন করো, আমি কিন্তু সেটা করবো না৷ কারণ হচ্ছে, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতারণা, দুর্নীতি, তাদের শাসনের নামে শোষণ আমরা দেখেছি৷ যদি একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে এবং ন্যূনতম কিছু শর্তের ভিত্তিতে একটা গণআন্দোলন হয়, যেমন ধরেন, দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে- এই ধরনের কিছু মৌলিক দাবি-দাওয়া যদি চূড়ান্ত হয়, সেই দাবি-দাওয়ার ভিত্তিতে আমরা এই অবৈধ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারি।

    যে সরকারকে অবৈধ বলছেন, সেই সরকার পতনের আন্দোলন করবেন না কেন? এমন প্রশ্নে নুর বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট- সবাই এই সরকারের পতন চায়৷ কিন্তু এই সরকারের পতন আমরা ঘটালাম, তার পরবর্তী যে সরকার আসবে তারা কী করবে? এই দেশের কী মৌলিক পরিবর্তন করবে? মৌলিক দাবির ভিত্তিতেই আমরা সরকার পতনের আন্দোলন করবো৷ কারণ, আমরা একটা স্বৈরাচারকে সরিয়ে তো আরেকটা স্বৈরাচারকে ক্ষমতায় বসাবো না৷ সে কারণে এই দেশের শাসন ক্ষমতায় কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

    কী কী ধরনের মৌলিক পরিবর্তন তারা চান সেই বিষয়গুলো তুলে ধরে নুর বলেন, কেউ দুই-তিনবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না৷ গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না৷ বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে হবে৷ স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না৷ আমরা এই ধরনের কিছু জনসম্পৃক্ত দাবি দাওয়া ঠিক করছি৷ এর ভিত্তিতেই আমরা স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন করবো বা সরকার বিরোধী আন্দোলন করবো৷ এই দাবি-দাওয়া চূড়ান্তের আগে আমরা সরকারবিরোধী আন্দোলন করবো না।

   নিজেদের দলে ভেড়ানোর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই তার সঙ্গে যোগাযোগ করে৷ এমনকি আওয়ামী লীগও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে দাবি করে নুর জানান, এই মুহূর্তে কোনো দলেই যোগ দেবেন না, বরং বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন চাইবেন৷ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে নূর বলেন, ৭১-এ তাদের ভূমিকা ছিল নিন্দনীয়।"
নুরু বারবার বলে আসছেন,এ সরকার স্বৈরাচার,দুর্নীতিবাজ,অবৈধ।
৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল পাকিস্তানের অবৈধ,দুনীতিবাজ,স্বৈরাশাসকের বিরুদ্ধ।

    প্রশ্ন নং [১]পাকিস্তানের অবৈধ স্বৈরাশাসক ভুট্টো এবং বর্তমান হাসিনা সরকারের মধ্যে নুরু কোন পার্থক্য দেখতে পান কি?

   [২] ভোটারবিহীন এই অবৈধ স্বৈরাশাসকের কবল থেকে মুক্তি পেতে  দেশের উত্তরবঙ্গ যদি স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দিয়ে বসে,নুরু যদি উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে নুরু কি স্বাধীনতাকামিদের পক্ষ নেবেন, নাকি অখন্ড বাংলাদেশের পক্ষ নেবেন? 

   [৩]তিনি যদি অখন্ড বাংলাদেশের পক্ষ নেন, তবে কেন কিসের ভিত্তিতে নেবেন সে ব্যাখ্যা  নুরুর নিকট আছে কি?

    [৪]সাম্প্রতিক যে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের তুৃলনায় জামায়াত নেতা-কর্মীদের নাম অতি নগন্ন।কোন অজানা কারণে তাদের নিয়ে নুরুর মুখ বন্ধ থাকলেও জামায়াত নিয়ে সরব?

   এ দেশে যে কেউ জনপ্রিয়তা পেতে হলে জামায়াতকে টেনে কথা বলতেই হবে।সে সুযোগ নুরুও হাতছাড়া করতে চাননি।করবেই বা না কেন?ডালপালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও শিকড় তো এক!.।
--------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments