Recent Tube

কেয়ামতের ময়দানে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিজ্ঞাসিত হবে। --শামীম আজাদ।

এই দেহের অঙ্গ, প্রতঙ্গ হাত, পা, চক্ষু, জিহবা, কান, চামড়া এগুলোকে আমরা অনেক ভালবাসি অনেক যত্ন করি আর এগিলো নিয়ে আমরা গর্ব করি। এগুলি আমাদের নয় এগুলি আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সাক্ষী। কিয়ামতের মাঠে  এগুলি আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী পেশ করবে।

 আল্লাহ তাআ'লা বলেন

إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولـئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْؤُولاً
নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।
সূরা বণী ইসরাইলঃ ৩৬

يَوْمَ تَشْهَدُ عَلَيْهِمْ أَلْسِنَتُهُمْ وَأَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُم بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ 
যেদিন প্রকাশ করে দেবে তাদের জিহবা, তাদের হাত ও তাদের পা, যা কিছু তারা করত।
সূরা নুরঃ ২৪

حَتَّىٰ إِذَا مَا جَاءُوهَا شَهِدَ عَلَيْهِمْ سَمْعُهُمْ وَأَبْصَارُهُمْ وَجُلُودُهُمْ بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
শেষ পর্যন্ত যখন তারা জাহান্নামের নিকটে পৌঁছবে, তখন তারা যা করত সে সম্পর্কে তাদের কান, তাদের চোখ আর তাদের চামড়া তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। 
সূরা হামীম সিজদাহঃ ২০

তিনি আরো বলেন
الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَىٰ أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
আজ আমি তাদের মুখে সীল মোহর লাগিয়ে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে, আর তারা যা করত সে সম্পর্কে তাদের পাগুলো সাক্ষ্য দেবে। 
সূরা ইয়াসিনঃ ৬৫

উক্ত আয়াত থেকে বুঝাগেল  আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে আমাদের চোখ, কান। হাত, পা এবং চামড়া।  চোখ কে ছেড়ে অগোচরে আমরা কি কিছু করতে পারবো। আমরা কি এমন কিছু করতে পারব যে আমার চোখ, কান, হাত, পা এবং চামড়া জানতে পারবে না।

হাদীস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، حَدَّثَنِي أَبُو النَّضْرِ، هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدٍ الْمُكْتِبِ، عَنْ فُضَيْلٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَحِكَ فَقَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ مِمَّ أَضْحَكُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مِنْ مُخَاطَبَةِ الْعَبْدِ رَبَّهُ يَقُولُ يَا رَبِّ أَلَمْ تُجِرْنِي مِنَ الظُّلْمِ قَالَ يَقُولُ بَلَى ‏.‏ قَالَ فَيَقُولُ فَإِنِّي لاَ أُجِيزُ عَلَى نَفْسِي إِلاَّ شَاهِدًا مِنِّي قَالَ فَيَقُولُ كَفَى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ شَهِيدًا وَبِالْكِرَامِ الْكَاتِبِينَ شُهُودًا - قَالَ - فَيُخْتَمُ عَلَى فِيهِ فَيُقَالُ لأَرْكَانِهِ انْطِقِي ‏.‏ قَالَ فَتَنْطِقُ بِأَعْمَالِهِ - قَالَ - ثُمَّ يُخَلَّى بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَلاَمِ - قَالَ - فَيَقُولُ بُعْدًا لَكُنَّ وَسُحْقًا ‏.‏ فَعَنْكُنَّ كُنْتُ أُنَاضِلُ ‏"‏ ‏.‏
আবূ বাকর ইবনু আন নাযর ইবনু আবূ আন্‌ নাযর (রহঃ)
আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে ছিলাম। এ সময় তিনি হেসে বললেন, তোমরা কি জান, আমি কেন হাসলাম? আমরা বললাম, এ সম্পর্কে আল্লাহ ও তার রসূলই ভাল জানেন। অতঃপর তিনি বললেন, বান্দা তার তদীয় রবের সঙ্গে যে কথা বলবে, এজন্য হাসলাম। বান্দা বলবে, হে আমার পালনকর্তা! তুমি কি আশ্রয় দাওনি আমাকে অত্যাচার হতে? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, হ্যাঁ আমি কারো প্রতি অত্যাচার করি না। এরপর বান্দা বলবে, আমি আমার ব্যাপারে স্বীয় সাক্ষ্য ছাড়া অন্য কারো সাক্ষী হওয়াকে বৈধ মনে করি না। তখন মহান আল্লাহ বলবেন, আজ তুমি নিজেই তোমার সাক্ষী হওয়ার জন্য যথেষ্ট এবং সম্মানিত কিরামান কাতিবীন (লিপিকারবৃন্দও) যথেষ্ট। তারপর বান্দার জবান বন্ধ করে দেয়া হবে এবং তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে নির্দেশ দেয়া হবে যে, তোমরা বলো। তারা তার ‘আমাল সম্পর্কে বলবে। তারপর বান্দাকে কথা বলার অনুমতি দেয়া হবে। তখন বান্দা তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে উদ্দেশ্য করে বলবে, অভিসম্পাত তোমাদের প্রতি, তোমরা দূর হয়ে যাও। আমি তো তোমাদের জন্যই বিবাদ করছিলাম। 
সহিহ মুসলিমঃ ৭৩২৯ ( সহীহ মুসলিম, হাদিস একাডেমী হা/ ৭৩২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হা/ ৭১৭০, ইসলামিক সেন্টার হা/ ৭২২৩,)

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ كَيْفَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي النَّجْوَى قَالَ ‏ "‏ يَدْنُو أَحَدُكُمْ مِنْ رَبِّهِ حَتَّى يَضَعَ كَنَفَهُ عَلَيْهِ فَيَقُولُ عَمِلْتَ كَذَا وَكَذَا‏.‏ فَيَقُولُ نَعَمْ‏.‏ وَيَقُولُ عَمِلْتَ كَذَا وَكَذَا‏.‏ فَيَقُولُ نَعَمْ‏.‏ فَيُقَرِّرُهُ ثُمَّ يَقُولُ إِنِّي سَتَرْتُ عَلَيْكَ فِي الدُّنْيَا، فَأَنَا أَغْفِرُهَا لَكَ الْيَوْمَ ‏"‏‏.‏

সফ্ওয়ান ইবনু মুহরিয (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

যে, এক লোক ইবনু ‘উমার (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলঃ আপনি ‘নাজওয়া (ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ ও তাঁর মু‘মিন বান্দার মধ্যে গোপন আলোচনা)। ব্যাপারে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে কী বলতে শুনেছেন? বললেন, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের এক ব্যক্তি তার প্রতিপালকের এত কাছাকাছি হবে যে, তিনি তার উপর তাঁর নিজস্ব আবরণ টেনে দিয়ে দু‘বার জিজ্ঞেস করবেনঃ তুমি এই এই কাজ করেছিলে?  সে বলবেঃ হাঁ। আবার তিনি জিজ্ঞেস করবেনঃ তুমি এই এই কাজ করেছিলে? সে বলবেঃ হাঁ। এভাবে তিনি তার স্বীকারোক্তি গ্রহণ করবেন। এরপর বলবেনঃ আমি দুনিয়াতে তোমার এগুলো লুকিয়ে রেখেছিলাম। আজ আমি তোমার এসব গুনাহ ক্ষমা করে দিলাম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩১)
বুখারীঃ ৬০৭০

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সেখানেও অস্বীকার করে বলবে যে,আমি এ কাজ করিনি,পরিদর্শক ফেরেশতারা ভুল করে এটা আমার আমলনামায় লিখে দিয়েছে।
তখন তার মুখ বন্ধ করে দেয়া হবে এবং হস্তপদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।তখন তারা বলবে এবং সাক্ষ্য দেবে।
(মুসলিম ২৯৬৮,২৯৬৯)

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- قَال:َ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَحِكَ فَقَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ مِمَّ أَضْحَكُ؟» قَالَ: قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ: «مِنْ مُخَاطَبَةِ الْعَبْدِ رَبَّهُ يَقُولُ: يَا رَبِّ أَلَمْ تُجِرْنِي مِنْ الظُّلْمِ؟» قَالَ: «يَقُولُ: بَلَى» قَالَ: «فَيَقُولُ: فَإِنِّي لَا أُجِيزُ عَلَى نَفْسِي إِلَّا شَاهِدًا مِنِّي» قَالَ: «فَيَقُولُ: كَفَى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ شَهِيدًا وَبِالْكِرَامِ الْكَاتِبِينَ شُهُودًا» قَالَ: «فَيُخْتَمُ عَلَى فِيهِ فَيُقَالُ لِأَرْكَانِهِ انْطِقِي» قَالَ: «فَتَنْطِقُ بِأَعْمَالِهِ» قَالَ: «ثُمَّ يُخَلَّى بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَلَام» قَالَ: «فَيَقُولُ: بُعْدًا لَكُنَّ وَسُحْقًا فَعَنْكُنَّ كُنْتُ أُنَاضِلُ» . ( م, ن ) صحيح

আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ “আমরা একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট ছিলাম, তিনি হঠাৎ হাসলেন। তিনি বললেনঃ “তোমরা জান কেন হেসেছি?”, তিনি বলেনঃ আমরা বললামঃ আল্লাহ এবং তার রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ “(আমি হেসেছি) বান্দার তার রবকে পাল্টা প্রশ্ন করা থেকে। সে বলবেঃ হে আমার রব, আপনি কি আমাকে যুলম থেকে নাজাত দেননি?” তিনি বলেনঃ “আল্লাহ বলবেনঃ অবশ্যই”। তিনি বলেনঃ “অতঃপর সে বলবেঃ আমার বিপক্ষে আমার অংশ ব্যতীত অন্য কোন সাক্ষী মানি না”। তিনি বলেনঃ “আল্লাহ্ বলবেনঃ সাক্ষী হিসেবে আজ তোমার জন্য তুমিই যথেষ্ট, আর দর্শক হিসেবে কিরামুন কাতেবিন যথেষ্ট”। তিনি বলেনঃ “অতঃপর তার মুখে মোহর এঁটে দেয়া হবে, তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বলা হবে, বল”। তিনি বলেনঃ “ফলে অঙ্গসমূহ তার আমলের বর্ণনা দিবে”। তিনি বলেনঃ “অতঃপর সে বলবেঃ তোমরা দূর হও, নিপাত যাও তোমরা, তোমাদের পক্ষেই তো আমি সংগ্রাম করতাম”। 
(ইঃ ফাঃ ৭১৭০, ইঃ সেঃ ৭২২৩)
মুসলিমঃ ৭৩২৯ ও নাসায়ী

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ قَالَ: «هَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ فِي الظَّهِيرَةِ لَيْسَتْ فِي سَحَابَةٍ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَهَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لَيْسَ فِي سَحَابَةٍ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: « فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ رَبِّكُمْ إِلَّا كَمَا تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ أَحَدِهِمَا، قَالَ: فَيَلْقَى الْعَبْدَ، فَيَقُولُ: أَيْ فُلْ أَلَمْ أُكْرِمْكَ وَأُسَوِّدْكَ وَأُزَوِّجْكَ وَأُسَخِّرْ لَكَ الْخَيْلَ وَالْإِبِلَ وَأَذَرْكَ تَرْأَسُ وَتَرْبَعُ، فَيَقُولُ: بَلَى. قَالَ: فَيَقُولُ: أَفَظَنَنْتَ أَنَّكَ مُلَاقِيَّ؟ فَيَقُولُ: لَا. فَيَقُولُ: فَإِنِّي أَنْسَاكَ كَمَا نَسِيتَنِي، ثُمَّ يَلْقَى الثَّانِيَ، فَيَقُولُ: أَيْ فُلْ أَلَمْ أُكْرِمْكَ وَأُسَوِّدْكَ وَأُزَوِّجْكَ وَأُسَخِّرْ لَكَ الْخَيْلَ وَالْإِبِلَ وَأَذَرْكَ تَرْأَسُ وَتَرْبَعُ، فَيَقُولُ: بَلَى أَيْ رَبِّ، فَيَقُولُ: أَفَظَنَنْتَ أَنَّكَ مُلَاقِيَّ؟ فَيَقُولُ: لَا. فَيَقُولُ: فَإِنِّي أَنْسَاكَ كَمَا نَسِيتَنِي، ثُمَّ يَلْقَى الثَّالِثَ، فَيَقُولُ: لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَيَقُولُ: يَا رَبِّ آمَنْتُ بِكَ وَبِكِتَابِكَ وَبِرُسُلِكَ وَصَلَّيْتُ وَصُمْتُ وَتَصَدَّقْتُ وَيُثْنِي بِخَيْرٍ مَا اسْتَطَاعَ، فَيَقُولُ: هَاهُنَا إِذًا، قَالَ: ثُمَّ يُقَالُ لَهُ: الْآنَ نَبْعَثُ شَاهِدَنَا عَلَيْكَ، وَيَتَفَكَّرُ فِي نَفْسِهِ: مَنْ ذَا الَّذِي يَشْهَدُ عَلَيَّ، فَيُخْتَمُ عَلَى فِيهِ، وَيُقَالُ لِفَخِذِهِ وَلَحْمِهِ وَعِظَامِهِ: انْطِقِي فَتَنْطِقُ فَخِذُهُ وَلَحْمُهُ وَعِظَامُهُ بِعَمَلِهِ وَذَلِكَ لِيُعْذِرَ مِنْ نَفْسِهِ وَذَلِكَ الْمُنَافِقُ وَذَلِكَ الَّذِي يَسْخَطُ اللَّهُ عَلَيْهِ » . (م،د) صحيح

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেনঃ “তারা বললঃ হে আল্লাহর রাসূল কিয়ামতের দিন আমরা কি আমাদের রবকে দেখব? তিনি বললেনঃ “তোমরা কি ভর দুপুরে মেঘ মুক্ত আকাশে সূর্য দেখায় সন্দেহ কর? তারা বললঃ না। তিনি বললেনঃ তোমরা কি চৌদ্দ তারিখের রাতে মেঘহীন আকাশে চাঁদ দেখায় সন্দেহ কর? তারা বললঃ না। তিনি বললেনঃ তার সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার নফস, তোমরা তোমাদের রবকে দেখায় সন্দেহ করবে না, যেমন তোমরা সন্দেহ কর না সূর্য-চাঁদ কোনো একটি দেখার ক্ষেত্রে। তিনি বলেনঃ আল্লাহ বান্দার সাথে সাক্ষাত করবেন অতঃপর বলবেনঃ হে অমুক আমি কি তোমাকে সম্মানিত করি নি, তোমাকে নেতৃত্ব দেই নি, তোমাকে বিয়ে করাই নি এবং তোমার জন্য ঘোড়া ও উট অনুগত করে দেইনি, আমি কি তোমাকে সুযোগ দেই নি তুমি নেতৃত্ব দিয়েছ ও ভোগ করেছ? সে বলবেঃ অবশ্যই। তিনি বলেনঃ অতঃপর তিনি বলবেনঃ তুমি কি ভেবেছ আমার সাথে তুমি সাক্ষাতকারী? সে বলবেঃ না। অতঃপর তিনি বলবেনঃ নিশ্চয় আমি তোমাকে ছেড়ে দেব যেমন তুমি আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলে। অতঃপর দ্বিতীয় ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করবেন এবং বলবেনঃ হে অমুক আমি কি তোমাকে সম্মানিত করি নি, তোমাকে নেতৃত্ব দেই নি, তোমাকে বিয়ে করাই নি এবং তোমার জন্য ঘোড়া ও উট অনুগত করে দেইনি, আমি কি তোমাকে সুযোগ দেই নি তুমি নেতৃত্ব দিয়েছ ও ভোগ করেছ? সে বলবেঃ অবশ্যই হে আমার রব। তিনি বলেনঃ অতঃপর তিনি বলবেনঃ তুমি কি ভেবেছ আমার সাথে তুমি সাক্ষাতকারী? সে বলবেঃ না। অতঃপর তিনি বলবেনঃ নিশ্চয় আমি তোমাকে ছেড়ে দেব যেমন তুমি আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলে। অতঃপর তৃতীয় ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করবেন, তাকেও অনুরূপ বলবেন, সে বলবেঃ হে আমার রব আমি তোমার ওপর, তোমার কিতাব ও রাসূলদের ওপর ঈমান এনেছি, সালাত আদায় করেছি, সিয়াম পালন করেছি, সদকা করেছি, সে ইচ্ছামত গুণাগুণ বর্ণনা করবে। তিনি বলবেনঃ তাহলে অপেক্ষা কর, তিনি বলেনঃ অতঃপর তাকে বলা হবেঃ এখন আমি তোমার বিপক্ষে আমার সাক্ষী উপস্থিত করছি। সে অন্তরে চিন্তা করবে আমার বিপক্ষে কে সাক্ষী দিবে, তখন তার মুখে কুলুপ এঁটে দেয়া হবে, এবং তার রান, গোস্ত ও হাড্ডিকে বলা হবেঃ কথা বল, ফলে তার রান, গোস্ত ও হাড্ডি তার আমলের বর্ণনা দিবে। আর এটা এ জন্যে যে, যেন সে লোক আল্লাহর কাছে ওজর পেশ করতে না পারে, সে হচ্ছে মুনাফিক, তার ওপরই আল্লাহর অসন্তুষ্টি আরোপ হবে”। 
(ইঃ ফাঃ ৭১৬৯, ইঃ সেঃ ৭২২২)
মুসলিমঃ ৭৩২৮ ও আবু দাউদ

হে আল্লাহ, আমাদেরকে তুমি সকল পাপ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দাও।আর কঠিন হাশরের ময়দানে আমাদের দিকে রহমতের দৃষ্টি দিও মাবুদ-আমীন।।
----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments