মুসলমান!চোখ বন্ধ করে এক মুহূর্ত ভাবুন।আপনি কি কুরআনের রাজ কায়েমের আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত?
যদি আপনি কুরআনের রাজ কায়েমের আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত না থেকে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিকে কোন না কোনভাবে সাপোর্ট করে থাকেন তবে মুখে নবী প্রেম দেখিয়ে, বিক্ষোভ প্রদর্শনে আপনার কোন ফায়দা নেই।
আবদুল্লাহ ইবনে উবাইও তার দলবল নিয়ে জিহাদের ময়দানে গিয়েছিল।তার পরিণতির কথা চিন্তা করুন।রবের ভয়ে গা শিউরে উঠবে। না উঠলে বুঝে নিবেন, আপনার ঈমান শূণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
মুসলমানরা বিশ্বজুড়ে নবীর অবমাননায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে।মুসলিম(?)শাসকগণ নীরব নিরপেক্ষ রয়েছে- হাতে গোনা কয়েকটি দেশের শাসক ছাড়া।
ভাবুন,যদি কুরআনের শাসক ও শাসন থাকত তবে দুনিয়ার কাফির গোষ্ঠী মুসলমানদের দিকে চোখ তুলে তাকার সাহস পেত না।
আজ কাফিররা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ)-কে অবমাননা করে মুসলমানদের ঈমানের পারদ মেপে দেখছে।কি দেখল তারা?
তারা দেখল,মুসলিম(?)দেশের শাসকগণ নিরপেক্ষ থাকার নীতি গ্রহণ করেছে।নিরপেক্ষ নীতি মানেই কাফিরদের পক্ষের শক্তি এটি আমাদেরকে বুঝে নিতে হবে।
কোন মুসলমান ধর্মনিরেক্ষ রাজনীতি করতে পারেনা।কোন মুসলিম পারেনা রাজনীতি নিরপেক্ষ থাকতে।ইসলামী রাজনীতি নিরপেক্ষ গোষ্ঠী ও ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠী উভয় উভয়ের পরিপুরক, উভয় দলই ইবলিশ ও কাফিরদের এজেন্ট।
মুখে নবী প্রেম এবং অন্তরে ধর্মনিরপক্ষতা লালন করা মুনাফিকীর মূল কথা।কাফির মুশরিকদের চেয়ে মুনাফিকরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল(স) -এর বড় দুশমন।মুশরিক ও মুনাফিকরা সুকৌশলে আল্লাহ ও রাসুল(স.)-দ্রোহীতায় লিপ্ত।ধর্মনিরপেক্ষবাদ আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ।এরাই মুসলিম সমাজে সম্মানের পাত্র।নবীর অবমাননাকারী কাফিরদের সাথে সাথে মুনাফিক ও মুশরিকদেকে যতদিন এই জাতি বয়কট করতে না পারবে,এদের মুখোস সাধারণ মুসলমামাদের সামনে খুলে দিতে না পারবে ততদিন মুসলিমদের উপর কাফির গোষ্ঠী ছড়ি ঘুরাতে থাকবে।
ইসলামী জীবন বিধান কায়েমের সংগ্রামেই রয়েছে প্রকৃত নবী প্রেম।#We_Love_Muhammad_ﷺ♥♥♥
----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments