Recent Tube

মামনুল হককে নিয়ে ইসলামপন্থীরা ঐক্যের স্বপ্ন দেখছেনবহু যুগ ধরে।স্বপ্ন দুই প্রকার। বাস্তব ও অবাস্তব স্বপ্ন। --- ইবনে যুবাইর।



মামনুল হককে নিয়ে ইসলামপন্থীরা ঐক্যের স্বপ্ন দেখছেন বহুদিন,বহু যুগ ধরে।স্বপ্ন দুই প্রকার। বাস্তব ও অবাস্তব স্বপ্ন।

    বাস্তবতার সাথে যে স্বপ্নের মিল থাকে না তাকে সাধারণত অবাস্তব এবং বাস্তবতার সাথে যে স্বপ্নের মিল থাকে তাকে বাস্তব স্বপ্ন বলা হয়ে থাকে।আরেক রকমের স্বপ্নের কথাও আমরা  জেনেছি।সেটাকে আকাশ কুসুম স্বপ্ন বলে।আকাশ কুসুম স্বপ্নের ব্যাখ্যা মানুষ এভাবেও করে থাকে,ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা। 

   আপনারা হয়তো বলবেন,আপনার লেখায় ইতিবাচক কোন দিক নেই।যা আছে নেতিবাচক। হতে পারে।স্বীকারও করছি।আপনাদের কথার জবাব হল,খালি চোখে যা দেখা যায় তার সবটা সত্যি নয়।দুর আকাশে তাকালে দেখা যায়,আকাশটা জমিনের সাথে মিশে আছে।বাস্তবে কি তাই?

   না,সেটা মিথ্যা।তাহলে আপনার চোখকে আপনি অবিশ্বাস করবেন?না,সেটাও করতে পারবেন না।আপনার চোখ যেটাকে সাদা দেখে আমার চোখ দেখে হয়তো কালো।পার্থক্যটা এখানেই।

   মামুনুল হক প্রাণপণে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন তার স্ত্রী জামায়াত করেন না,ছাত্রী সংস্হার সাথে তার দূরত্বতম সম্পর্ক নেই।
কেন তাকে একথার প্রমাণ দিতে হল?

  ছাত্রী সংস্হা বা জামায়াতে ইসলামী কি কোন বাতিল ফেরকা?

    জবাব,হ্যাঁ,দেওবন্দী কৌমির অধিকাংশই আলিমদের চোখে জামায়াতে ইসলামী বাতিল ফেরকা।

   মাওলানা মওদূদী(রহ.)-এর বিরুদ্ধে অগণিত কিতাব তারা রচনা করেছেন।মাওলনা মওদূদী(রহ.)-এর বিরোধীতা করা তাদের প্রধান ফরজ ইবাদত।

    যারা মওদূদী(রহঃ)-এর বিরোধীতাকে প্রধান ফরজ ইবাদত মনে করেন তাদের সাথে ঐক্যে চিন্তা অলৌকিক স্বপ্ন বৈ কিছুই নয়।

    মওদূদী(রহ.)-এর বিরোধীতা কেন করা হয়?হয় এই জন্য যে,আল্লাহর জমিনে দীন প্রতিষ্ঠা হোক সেটা তারা চান না। না হলে দেখুন,চোরমোনাই পীরের ভেদে মারফত,আশুক মাশুক শিরকি ও কূফুরিতে পরিপূর্ণ।যা বিশ্বাস করলে মানুষ আর মুসলমান থাকে না।তারপরও মামুনুল হক বা কৌমি আলিমরা টু শব্দটিও করেন নি।কেন?
কবি এখানেই নীরব।

   দীন প্রতিষ্ঠা চান না কেন?দীন প্রতিষ্ঠা হলে মাজার ব্যবসা,বুজুর্গিপণা,দরবারে বিরানি পোলাও কপালে জোটবে না।

   ভাস্কর্য ভাঙ্গবেন,বুড়ি গঙ্গায় ভাসাবেন,ভালো কথা।তার আগে শির্ক ও বেদাতের কারখানা মাজার ভেঙ্গে ফেলুন,পীর নামের ভন্ডামি ব্যবসার মূলোৎপাটন করে দেখান।পারবেন?না,পারবেন না।আপনাদের মাজার ও পীরপূজা যদি বৈধ হয় তবে ভাস্কর্য অবৈধ কেন হবে?নিজেরা শয়তানী কার্যকলাপকে ইসলামী রং লাগিয়ে জায়েজ করবেন আর আওয়ামী লীগ  করলে  ফতুয়া মারবেন,না এটা করা যাবে না, হারাম! আবার দরবারের পয়সা পেলে ফতুয়া পাল্টে যেতেও সময় নেবে না।
 ------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments