Recent Tube

সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস এরদোয়ান! কুতুব শাহ।


 সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস এরদোয়ান

     বিশ্বের সামরীক শক্তির র‍্যাংকিং এ তুরস্ক ১১ নাম্বারে! কিন্তু বিভিন্ন ফ্রন্টে বিশ্বের পরাশক্তি সাথে দুর্দান্ত খেলেছেন তুরস্ক। বিষয়টি সহজ ভাবে বুঝতে হলে ইয়েমেনের দিকে একটু খেয়াল করেন। ইরানি শিয়া মদদপুষ্ট হুতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্বে গিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের বাঘা কিছু রাষ্ট্র। কিন্তু এত বছর পরেও অর্জন বলতে কিছুই নাই!

    অতচ, দেশের বাইরে একই টাইপের তিনটা যুদ্বে জড়িয়ে পড়ে তুরস্ক এর গুড ফলাফলও হাতেনাতে। সিরিয়ার ইদলিবে তুরস্কের সেনা অভিযান ছিল চরম ঝুঁকি পূর্ণ। কারণ, সরাসরি প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী আসাদ বাহিনী, রাশিয়া আর ইরান! অঙ্ক ছিল খুব জটিল সমরবীদেরাও হিসাব মিলাতে পারছিল না! কী না কি হয়ে যায়। কিন্তু চ্যালেঞ্জ নিয়ে যুদ্বে যাওয়ার পর লক্ষ্য মোটামুটি সফল। একটা নিরাপদ জোন গড়ে নিলেন।

    লিবিয়ায় জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার রাজধানী ত্রিপলী হারানো সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র। সন্ত্রাসী হাফতার বাহিনী লাগাতার একের পর এক এলাকা দখল করে লিবিয়ার একচ্ছত্র শাসন ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রায় কাছাকাছি। সেখানেও গিয়ে দাঁড়ালেন তুরস্ক। নিজস্ব মূল সেনাবাহিনী ব্যাবহার ছাড়া হাফতারকে পিছে হটিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখলে নিল লিবিয়ার সরকারী বাহিনী। সেখানেও তুরস্কের বিপরীতে ছিল ফ্রান্স, আরব আমিরাত মিশর আর রাশিয়া। মোটামুটি বিজয় হল তুরস্ক। 

     সর্বশেষ আর্মেনিয়া বনাম আজারবাইজান যুদ্বে প্রকাশ্যে আজারবাইজানের পাশে দাঁড়াল তুরস্ক। সেখানেও নিজদের কোন সেনাবাহিনী ব্যাবহার করতে হয়নি। আর্মেনিয়া ৯০ দশকে প্রায় দুই বছর যুদ্ব করে নাগার্নো কারাবাখ দখলে নিয়েছিল আজারবাইজানকে হটিয়ে। আর ২০২০ সালে সেই এলাকা পুনরায় দখল করলো আজারবাইজান মাত্র দেড় মাস যুদ্ব করে! এই বিজয়ে আজারবাইজানের পাশে যে নাম আসছে তা তুরস্ক। যুদ্ব জয়ের উল্লাসে আজারীরা নিজদের পতাকার সাথে তুরস্কের পতাকাও উড়াচ্ছে।

   দেশের বাইরে নিজদের মূল সেনা বাহিনী ব্যাবহার ছাড়া এত বড় যুদ্ব জয় আসলেই "সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস"। 

    ✍️ ট্রাম্পের সাথে এরদোয়ানের ভাল সম্পর্ক ছিল তাই ট্রাম্প উপরে হুমকি ধামকি দিলেও তুরস্কের বিরুদ্ধে  সিরিয়াস কোন পদক্ষেপ নেয়নি। রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক টক, ঝাল মিষ্টি। তবে পুতিনের সাথে এরদোয়ানের ব্যাক্তিগত সম্পর্ক আছে বলে শুনা যায়। তাই বন্ধুর বিরুদ্ধে এগ্রেসিভ কিছু করেনি। তা কাজে লাগিয়েছে তুরস্ক।

    বাইডেন নিয়ে টেনশনে আছে সবাই। রাশিয়া এখনো অভিনন্দনও জানায়নি। তুরস্ক রাশিয়া দুই দেশের জন্য বাইডেনকে ঝুঁকি বলে মনে করছে বিশ্লেষকেরা। তাই বাইডেন বেশী বাড়াবাড়ি করলে রাশিয়া, তুরস্কের মাঝে যে ঝাল ফ্লেভার আছে তা হটিয়ে মিষ্টির অংশে আরো মধু ঢেলে দিবে। দেখা যাক কি হয়। শুভকামনা এরদোয়ানের জন্য।
-------------------------------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments