Recent Tube

সালামের আদব;


সালামের ;

পেশাব-পায়খানা করছে এমন লোককে সালাম দেওয়া প্রসঙ্গে ;

  পেশাব-পায়খানা করছে এমন লোককে সালাম দেওয়া মাকরূহ।কেননা সে অবস্থায় আল্লাহর জিকির তথা সালামের উত্তর বৈধ নয়।[1] অবশ্য কেউ (অজান্তে) সালাম দিয়ে ফেললে ওযূ করার পর তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব।[2]

[1]. সহীহুল জা’মে হা/৫৭৫ [2]. মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ১৮৫৫৫, আবূ দাঊদ হা/১৭, নাসাঈ হা/ ৩৮, ইবনে মাজাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/৩৫০, দারেমী আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ২৬৪১। 
উল্লেখ্য, 
আল-মুহাজির ইবনু কুনফু (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গিয়ে তাঁকে সালাম দিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেশাব করছিলেন। সেজন্য অযূ না করা পর্যন্ত তিনি তার জবাব দিলেন না। অতঃপর (পেশাব শেষে অযূ করে) তিনি তার নিকট ওযর পেশ করে বললেন, পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহর নাম স্মরণ করা আমি অপছন্দ করি।


ফুটনোটঃ
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। হাদীসটি প্রমাণ করে পেশাব পায়খানার সময়ে আল্লাহর যিকর করা অপছন্দনীয়।
২। উচিত হলো, কেউ পেশাব-পায়খানার সময় সালাম দিলে উযূ বা তায়াম্মুম করার পর তার উত্তর দেয়া।
৩। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  মুকীম অবস্থায় অসুস্থতা ও ওজর ব্যতিরেকেই তায়াম্মুম করেছেন। আর ইমাম আওযায়ীর অভিমতও এটাই যে, জুনুবী ব্যক্তি যদি এ আশঙ্কা করেন যে, গোসল করতে গেলে সূর্যোদয় হয়ে যাবে তখন তিনি ওয়াক্ত ছুটে যাওয়ার পূর্বেই তায়াম্মুম করে সলাত আদায় করে নিবেন। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহঃ)  সহ বহু মনীষী এ অভিমত পোষণ করেছেন। 

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।

Post a Comment

0 Comments