Recent Tube

জুমার খুতবা ও খুতবার গুরুত্ব এবং খুতবা কেমন হওয়া দরকার। -- শামীম আজাদ।


জুমার খুতবাখুতবার গুরুত্ব এবং খুতবা কেমন হওয়া দরকার;
 =============================

খুতবা কী ও কেন?

 খুতবা (خطبة) একটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো ভাষণ: বক্তৃতা, প্রস্তাবনা, ঘোষণা, সম্বোধন, উপস্থাপনা ইত্যাদি। খুতবা হলো জুমার নামাজের আগে, উভয় ঈদের নামাজের পরে, হজে আরাফার দিনে মসজিদে নামিরাতে, বিয়ের অনুষ্ঠানে ও বিভিন্ন ইসলামি অনুষ্ঠানে খলিফার প্রতিনিধি, দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা ইমাম ও খতিব কর্তৃক প্রদত্ত প্রাসঙ্গিক বক্তৃতা বা ভাষণ। যিনি খুতবা দেন তাঁকে ‘খতিব’ বলা হয়। সাধারণত যেসব মসজিদে আলাদা খতিব নেই, সেখানে পেশ-ইমাম বা প্রধান ইমাম অথবা ইমাম ও সানি ইমাম (সহকারী ইমাম) খুতবা প্রদান করেন এবং জুমার ও ঈদের নামাজে নেতৃত্ব দেন। জুমার খুতবা নামাজের আগে এবং ঈদের নামাজসহ অন্যান্য নামাজে খুতবা পরে দেওয়া হয়। ঈদ ও জুমার খুতবা ওয়াজিব, অন্যান্য খুতবা সুন্নত।

খতিবের কতিপয় গুণাবলিঃ

মোত্তাকি (তাকওয়া), মুখলিস (ইখলাস), আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল (তাওয়াক্কুল), বিজ্ঞ আলেম, ধৈর্যশীল ও সহিষ্ণু, কপটতামুক্ত, সরলমনা, বিনয়ী, সুমিষ্টভাষী, ভদ্র। এ ছাড়া খতিবের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, অবয়ব (সুরত), আখলাক (সিরত), পোশাক-আশাক ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।

খুতবার মধ্যে যেসব বিষয় থাকা সুন্নতঃ

হামদ (আল্লাহর প্রশংসা) দ্বারা শুরু করা, ছানাখানি (গুণগান) করা, শাহাদাতাঈন (তওহিদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য) পাঠ করা, দরুদ শরিফ পড়া, কোরআনে করিমের প্রাসঙ্গিক আয়াত তিলাওয়াত করা, সংশ্লিষ্ট হাদিস পাঠ করা, প্রয়োজনীয় মাসআলা বর্ণনা করা, ওয়াজ-নসিহত বয়ান করা, উপদেশ দেওয়া, সৎকর্মে উদ্বুদ্ধকরণ ও মন্দ কাজ থেকে নিরুৎসাহিত করা, মুসলমানদের জন্য দোয়া করা।            

খুতবার গুরুত্বঃ

খুতবা এবং জুমার নামাজ ইসলামের একটি বিশেষ পরিচয়বাহী আমল ও নিদর্শন। জুমার দিনের বিশেষ আকর্ষণ হল খুতবা। মুসল্লিদের জন্য খুতবা শোনা ওয়াজিব। এ জন্যই জোহরের ৪ রাকাতকে সংক্ষেপ করে জুমার নামাজ ২ রাকাত করা হয়েছে। যাতে মানুষ গুরুত্ব দিয়ে খুতবা শুনতে পারেন। এখানে আরেকটি বিষয় হল, খুতবা শুনতে এসে যেন লম্বা সময়ের কারণে মানুষের কাজকর্মে ব্যাঘাত না ঘটে। মানুষ যেন বিরক্তিবোধ না করে এজন্য নামাজকে দু’রাকাত করে দেয়া হয়েছে। কারণ আল্লাহর রাসূল (সা.) মানুষের কর্মঘণ্টার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন। রাসূল (সা.)-এর হাদীস, ‘একজন মানুষের যে ধর্মীয় জ্ঞানের গভীরতা আছে এর প্রমাণ হল তার খুতবা। 

এব্যাপারে আল্লাহ তাআ'লা বলেন 

كَمَا أَرْسَلْنَا فِيكُمْ رَسُولاً مِّنكُمْ 
يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِنَا 
وَيُزَكِّيكُمْ 
وَيُعَلِّمُكُمُ الْكِتَابَ 
وَالْحِكْمَةَ وَيُعَلِّمُكُم مَّا لَمْ تَكُونُواْ تَعْلَمُونَ
যেমন, আমি পাঠিয়েছি তোমাদেরই মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে একজন রাসূল, যিনি তোমাদের নিকট 
১। আমার বাণীসমুহ পাঠ করবেন 
২। এবং তোমাদের পবিত্র করবেন; 
৩। আর তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও তাঁর তত্ত্বজ্ঞান 
৪। এবং শিক্ষা দেবেন এমন বিষয় যা কখনো তোমরা জানতে না। 
সুরা বাকারা ২:১৫১

সে নামাজ পড়বে আর খুতবা দেবে গোছানো।’ গোছানো অর্থাৎ অল্প কথায় অনেক কথা বুঝিয়ে দেবেন। যেমন সরকারি প্রজ্ঞাপন খুব বড় হয় না। খুতবা হল মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় ফরমানের মতো। ফরমান যত ছোট, গোছাল, আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয় সেটির আবেদন তত বেশি হয়।

বাংলাদেশের খতিবদের খুতবার বর্তমান অবস্থাঃ

দুঃখের বিষয় হল, দু-একজন খতিবের খুতবা ছাড়া আমাদের দেশের জুমার খুতবাগুলো মুসল্লিদের দৃষ্টিতে তেমন গুরুত্ব রাখে না! এমনকি যারা খুতবা দিচ্ছেন তারাও এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু উপলব্ধি করতে পারছেন এটাও ভাবার বিষয়। আরবের প্রতিটি দেশেই জুমার খুতবা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়। খতিবরাও এভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। সেখানকার খতিবদের কোনো দিন কিতাব বা কোনো বই থেকে দেখে খুতবা দেন না। এর প্রচলন শুধু আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশেই নির্দিষ্ট খুতবার বই আছে অন্য কোথাও নেই।

খুতবায় আবেদন না থাকার কারণ সমূহঃ

মূলত খুতবা দেয়ার যোগ্যতার অভাব বা যোগ্যতা থাকলেও খুতবা বানানো একটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হওয়ায় খতিবরা অলসতার কারণে বানান না। অনেকে এমনও আছেন যারা বলেন, বুজুর্গরা এটা লিখে গেছেন বরকতের জন্য পড়ি! অথচ শরিয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।

খুতবা কি আরবিতেই হওয়া জরুরি?

খুতবা আরবিতে হওয়ার ওপরই ফতোয়া। তবে যতটুকু বললে ওয়াজিব আদায় হবে এ পরিমাণই আরবিতে বলা উচিত। এর জন্য সর্বোচ্চ দুই মিনিটের বেশি লাগার কথা নয়। বাকিটা খতিব তার মাতৃভাষায় বলবেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খুতবায় আল্লাহর তারীফ করতেন, দরুদ পড়তেন, কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতেন এবং কিছু ওয়াজ-নছীহত ও করতেন। 
নবীদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআ'লা বলেন:

وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ

“আমি সব নবীকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে।” 
সূরা ইবরাহীমঃ ৪

রসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাতৃভাষা যেহেতু আরবী ছিল এবং ছাহাবীদেরও ভাষা আরবী ছিল, তাই তিনি আরবীতেই তাদেরকে নছীহত করতেন। এখন যারা নবীজির নায়েব হয়ে জুমার খুতবা দিবেন তাদেরকেও উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস অনুসারে তাদের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়াটা শরীয়ত সম্মত এবং যুক্তি সংগত।
• এই কারণেই ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন: প্রত্যেক খতীবকে জুমার সময় তাঁর মাতৃভাষায় ওয়াজ করা ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। (তানক্বীহুর রুওয়াত ১/২৬৪)
• আল্লামা তাহাভী হানাফী বলেন: জুমার খুতবা আরবী জানলেও ফারসী ভাষায় ও চলবে। (হাশিয়া তাহতাবী আলা মারাক্বিল ফালাহ ২৭)
• আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী হানাফী (রহ) বলেন: শ্রোতাদেরকে তাদের মাতৃভাষায় খুতবা বুঝিয়ে দেয়া জায়েজ। (মাজমূআহ ফাতাওয়া ১/২৪৫)
• হানাফী ফিক্বহ গ্রন্থ নিহায়া, মুজতাবা, ফাতাওয়া সিরাজিয়্যাহ, মুহীত প্রভৃতি গ্রন্থে আছে যে, ইমাম আবূ হানীফার মতে ফারসী ভাষাতে জুমার খুতবা দেয়া জায়েজ।
• হানাফী ফতোয়ার কিতাব শামীতে আছে, আরবী ভাষায় খুতবা দেয়া শর্ত নয়।
• হানাফী ফিকহ গ্রন্থ হিদায়ায় আছে, প্রত্যেক ভাষায় খুতবার নছীহত চলতে পারে। (কিতাবুল জুমআহ ৫৫-৫৬) (আলোচনা দ্র: আইনী তোহফা সলাতে মুস্তফা১/৯৮-৯৯)
নিজ ভাষায় খুতবা না দেয়ার কারণে যেহেতু তা মানুষের বোধগম্য হয় না এজন্যই এই খুতবার আগে খতীবগণ বয়ানের ব্যবস্থা রেখেছেন, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে একটি জঘন্যতম বিদআত। কারণ খুতবা দানের পূর্বে বয়ান দেয়া এবং ইহাকে এভাবে স্থায়ী রূপ দেয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আদৌ প্রমাণিত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার পূর্বে কখনো এ ধরণের বয়ান দেন নি। দিতে বলেছেন বলে ও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
এজন্যই এ সঊদী আরবের বরেণ্য মুফতী শাইখ ইবনে উসাইমীন (রহ:)কে মাতৃভাষায় খুতবা প্রদান সম্পর্কে সওয়াল করা হলে তিনি তা সরাসরি জায়েজ বলে মন্তব্য করেন এবং একথা স্পষ্ট ভাবে বলেন যে, খতীবকে নিজ ভাষায় খুতবা দিতে হবে। (দেখুন: শাইখ ইবনে উসাইমীনের ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম)
বর্তমানে আমাদের দেশের বেশ কিছু জামে মসজিদে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়া হয়ে থাকে। বস্তুত: এটাই সুন্নত। এর বিপরীত সুন্নত বিরোধী কাজ যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। 

খুতবার প্রয়োজনীয় বিষয় সমূহঃ

খুতবা হওয়া উচিত সমসাময়িক বিষয়াবলির ওপর। যা সমাজের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। যেমন- মাদক, ধূমপান, নারী নির্যাতন, বাল্যবিয়ে, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি দমন, যেনা-ব্যভিচার, সন্তান লালনপালন, নারীর পর্দা ও পুরুষের পর্দা, স্বামী স্ত্রীর অধিকার, হালাল-হারামসহ নানা বিষয়ে। 
যেমনঃ 
ইসলামের দৃষ্টিতে যৌতুকের ঘৃণ্য ও ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচনা এবং এ থেকে উত্তরণের উপায়।  

ইসলামের দৃষ্টিতে মাদক ও এর ভয়াবহতা এবং এ থেকে উত্তরণের উপায়।

ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ ও এর ভয়াবহতা এবং এ থেকে উত্তরণের উপায়।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে কি হচ্ছে আর রাসূল সাঃ এর যুগের প্রেক্ষাপটে কি হয়েছিল সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে বিষয়ভিত্তিক, কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ-থেকে উত্তরণের উপায়। খতিবগণ খুতবা দিবেন তা হবে পরবর্তী সময়ের কর্মসূচি। বর্তমানে আমাদের আলেমরা এসব পূর্ণাঙ্গভাবে বলেন না!

খুতবা দেয়ার পাশাপাশি আলেমদের করণীয়ঃ

আলেমরা হলেন রাসূল (সা.)-এর প্রতিনিধি, নায়েবে নবী। তিনি আলেমদের জন্য দুটি আসন রেখে গেছেন। এক নাম্বার হল খেলাফত, যা এখন নেই, কখনও থাকবে কখনও থাকবে না এটা আলোচনার বিষয় নয়। দ্বিতীয় হল মসজিদের মিম্বর। যে ইমাম বা খতিব মসজিদের মিম্বরে দাঁড়ান তিনিই রাসূলের প্রতিনিধিত্ব করেন। আর আল্লাহর রাসূলের নবী হওয়ার আগে-পরে সবচেয়ে বড় যে গুণ ছিল সেটি হল, তিনি একজন সমাজকর্মী, সমাজসেবক ছিলেন। নবী হওয়ার পর অনেকেই ঈমান আনেনি কিন্তু সামাজিকভাবে তার থেকে উপকৃত হয়েছেন। এর বড় প্রমাণ হল, হিজরতের রাতে হজরত আলী (রা.) কে মানুষের রাখা আমানতের জামিনদার হিসেবে রেখে যাওয়া! একজন ইমাম-খতিবের জন্য সমাজের ছোটখাটো কাজ করা খুবই সহজ। যেমন পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি, স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব নিরসনসহ নানা বিষয়ে কাজ করে সমাজের খেদমত করতে পারেন। কেউ যদি কাজ শুরু করেন তিনি কতটুকু সফল হবেন এটা আল্লাহই ভালো জানেন। তবে এর মাধ্যমে সমাজে তিনি সম্মানিত হবেন এটা নিশ্চিত বলতে পারি।

আরব সমাজে আলেমদের অবস্থান কেমন?

আরব সমাজে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আলেম-ওলামারা সরকার এবং জনগণের পাশে থাকেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবরকম অনুষ্ঠানে ইমাম খতিবদের আমন্ত্রণ করা হয়। আরব সমাজে জাতীয় সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে অলেমরা স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকেন। এমনকি সেসব দেশে প্রতিটি স্পোর্টস এবং সাধারণ ক্লাবে একজন করে আলেম থাকেন। তাদের দায়িত্ব হল নামাজ পড়ানো এবং নামাজের আগে বা পরে সংক্ষেপে মাদক, নেশা, নারীসহ চরিত্র ধ্বংস করে এমন জিনিস থেকে দূরে থাকার নসিহত করা। তারা ব্যাপকভাবে সামাজিক কাজে অংশ নেন।

বাংলাদেশের মসজিদগুলোয় নারীদের জন্য নামাজের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই, এ ব্যাপারে কি করণীয়ঃ

মিসরের একজন শিক্ষাবিদ ড. সাইয়্যেদ আস সাফতি, যিনি বাংলাদেশের দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ছিলেন। তিনি কাতারের এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন- ‘বাংলাদেশের মেয়েরা সিনেমা হলে যেতে পারে, মার্কেট, শপিংমল, স্কুল-কলেজ, হাটবাজার, হোটেল -বার, এমনকি তারা পার্লামেন্টেও গেছেন কিন্তু তাদের শুধু মসজিদ বা দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাওয়ার অধিকার নেই!’ বেচারা দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনো কোনো মসজিদে মেয়েদের ঢোকার ব্যবস্থা করেছিলাম কিন্তু আলেমরা এমনভাবে বাধা দিয়েছেন যেন আমরা কবিরা গুনাহ করে ফেলেছি। অথচ তারাই মক্কা-মদিনাতে তাদের স্ত্রী, মেয়েদের নিয়ে এক ইমামের পেছনে নামাজ পড়ছেন!’ তিনি প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘মক্কা-মদিনার মসজিদে যেটা জায়েজ বাংলাদেশে কেন নিষেধ হবে।

খুতবায় যেসব বিষয়ে সতর্কতা থাকা  উচিতঃ

বিতর্কিত মাসআলা মাসায়েল অপ্রয়োজনীয় অভিনব বিষয়। মুসল্লিদের মধ্যে অনৈক্য, বিভেদ ও ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে পারে এমন কোনো বিষয়।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments