Recent Tube

বিতি কিচ্ছা-৫৭ . নুর মুহাম্মদ চৌধূরী।

   
                          বিতি কিচ্ছা-৫৭;

         
 সু-ধাণাআর না-

       পৃথিবীটা আজ বসবাসের অযোগ্য একটি গ্রহ। অসভ্য ও সভ্য নামধারী অমানুষের অভয়াশ্রম এই পৃথিবী।  দৃশ্যতঃ আজ দশ দিক ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে মানবতা বিবর্জিত মানুষ নামক জানোয়ারের বিশাল একটি দল। এদের সম্পর্কে সূ-ধারণা পোষন আমাদেরকে দেউলিয়াত্বের চরম সীমায় পৌছে দিচ্ছে। মানবতা বিবর্জিত মানুষের সম্পর্কে সু-ধারণা পোষন মুলত একটি বুদ্ধিবৃত্তিক পরাজয়। আসলে মানুষ থেকে মানুষত্ব হারিয়ে গেলে সে আর মানুষ থাকে না। সে হয়ে যায় নিকৃষ্ট চতুষ্পদ সমতুল্য,  বরং তার চেয়েও আরো  অধম। এই অধমের কাছ থেকে যা পাওয়ার তা প্রাপ্ত হয়ে বিষ্মিত হওয়ার কি আছে? 
        বার্ষিক পরিক্ষার আগ মুহুর্তেে শিক্ষক যেমন বলতে পারেন তার কোন ছাত্র কেমন ফল করবে, তেমনি ঐ মানুষত্য বিবর্জিত দ্বীপদ জানোয়ারদের কাছ থেকে কি ব্যবহার পাওয়া যাবে তা সকলেরই জানা হয়ে গেছে। সুতরাং এই মুলুকে সুধারণা পোষন নামক দুর্বলতার হাতে ধরাশায়ী হওয়া নিছক ছেলেমী ছাড়া আর কিছুই নয়। 
        যেখানে আইনের গতি রোধ করে দাঁড়িয়ে থাকে সয়ং আইন প্রয়োগকারী, সেখানে দু'য়ে দু'য়ে চার মিলানো আসলে কেয়ামত্বক অসম্ভব। বরং উল্টো খেসারত দিয়ে কুল পাওয়া যাবে না। দৃশ্যত: যদিও দ্বি-পদ, তবে প্রকৃত এইসব  চতুষ্পদ প্রতিবেশীর সাঁজগোঁজ যত ভালই দেখাক না কেন, অন্তর তার আসলেই নিকৃষ্ট  উপাদানে গঠিত। এতএব এদের সম্পর্কে সুধারনা রাখার আগে এদের পূর্ব পুরুষের ইতিহাস পর্যালোচনা অবশ্যপাঠ্য একটি বিষয়। যেহেতু ফিতরত্  বংশানুক্রমিক প্রবাহিত হয়। 
        মুলত: শাষক বংশ আর আজ্ঞাবহ এই দুটি ধারায় সমাজ বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে।  কিন্তু বর্তমান যুগে আজ্ঞাবহরাই পুরোদস্তুর শাষকের আসনে সমাসীন। মূর্খের দৌরাত্যে সমাজের সকল বিভাগই আজ কোনঠাসা। তার উপর আবার ডিজিটাল যুগীয় পাঠ পদ্মতিতে ডিগ্রীধারী নব্য শিক্ষিত প্রজন্ম দিয়ে পরিচালিত এই সমাজে মানুষ নামক মানুষগুলো আড়াল হবার একান্ত ইচ্ছায় তাসবিহ গুনে চলছে দিবানিশি। কিন্তু এ থেকে পরিত্রাণের পদ্মতি আসলে তা নয়। আজ সমাজের সকল সুশীলরা যদি এভাবে আড়াল হবার স্বপ্নে বিভোর থেকে সমাজকে গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে যেতে দিতে থাকেন, তবে প্রজন্মের ক্রম অধ:পতনের দায়ভার থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখার কোন উপায়ই থাকবে না। এখন  বিতর্কিত সুশীল সমাজের এই বিপরীতমুখী পদাঙ্ক অনুসরণে থেকে যাব কি আমরাও?
সুতরাং ------ 
জেগে উঠো হে সূশীল বৃক্ষ, জেগে উঠো।
জেগে উঠো হে সূশীল প্রজন্ম জেগে উঠো। প্রবঞ্চকের তরে মিছেমিছি এই সূ-ধারণা।
অনেক হয়েছে আর না, আর না। 
 

Post a Comment

0 Comments