Recent Tube

দ্বীনি প্রশ্নোত্তর।

প্রশ্নঃঃ 
কুরআন মজীদে দাড়িপাল্লা স্থাপনের দলীল কি? আমল মাপার পদ্ধতি বর্ণনা করুন 

ত্তরঃ 
  কিয়ামতের দিন বান্দাদের আমল মাপার জন্যে দাড়িপাল্লা স্থাপন করা হবে, সে সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا وَكَفَى بِنَا حَاسِبِينَ

  ‘‘আমি কিয়ামতের দিন ন্যায় বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারো প্রতি জুলুম হবেনা। যদি কোন আমল সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্যে আমিই যথেষ্ট’’। (সূরা আম্বিয়াঃ ৪৭) আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

وَالْوَزْنُ يَوْمَئِذٍ الْحَقُّ فَمَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ وَمَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ فَأُولَئِكَ الَّذِينَ خَسِرُوا أَنْفُسَهُمْ بِمَا كَانُوا بِآَيَاتِنَا يَظْلِمُونَ

  ‘‘আর সে দিন যথাযথই ওজন হবে। অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই সফলকাম হবে আর যাদের পাল্লা হালকা হবে তারা এমন হবে, যারা নিজেদের ক্ষতি করেছে। কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করত’’। (সূরা আ’রাফঃ ৮-৯) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ

فَأَمَّا مَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَاضِيَةٍ وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ نَارٌ حَامِيَةٌ
  ‘‘অতঃপর যার পাল্লা ভারী হবে সে সুখী জীবন যাপন করবে। আর যার পাল্লা হালকা হবে তার ঠিকানা হবে হাভীয়া (জাহান্নাম)। আপনি জানেন তা কি? তা হচ্ছে প্রজ্জলিত অগ্নি’’। (সূরা আল-কারিআহঃ ৬-১১) আল্লাহ্ তা’আলা কাফেরদের ব্যাপারে বলেনঃ

فَلاَ نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا

‘‘সুতরাং কিয়ামতের দিন আমি তাদের জন্য কোন পরিমাপ প্রতিষ্ঠিত করব না’’। (সূরা কাহ্ফঃ ১০৫) এছাড়া আরো অনেক আয়াত রয়েছে।

প্রশ্নঃ 
(১২২) হাদীছ শরীফে দাঁড়িপাল্লা স্থাপনের দলীল কি? আমল মাপার পদ্ধতি বর্ণনা করুন 

 উত্তরঃ 
এ ব্যাপারে অনেক হাদীছ রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(إِنَّ اللَّهَ سَيُخَلِّصُ رَجُلًا مِنْ أُمَّتِي عَلَى رُءُوسِ الْخَلَائِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَنْشُرُ عَلَيْهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ سِجِلًّا كُلُّ سِجِلٍّ مِثْلُ مَدِّ الْبَصَرِ ثُمَّ يَقُولُ أَتُنْكِرُ مِنْ هَذَا شَيْئًا أَظَلَمَكَ كَتَبَتِي الْحَافِظُونَ فَيَقُولُ لَا يَا رَبِّ فَيَقُولُ أَفَلَكَ عُذْرٌ فَيَقُولُ لَا يَا رَبِّ فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ لَكَ عِنْدَنَا حَسَنَةً فَإِنَّهُ لَا ظُلْمَ عَلَيْكَ الْيَوْمَ فَتَخْرُجُ بِطَاقَةٌ فِيهَا أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ فَيَقُولُ احْضُرْ وَزْنَكَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ مَا هَذِهِ الْبِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلَّاتِ فَقَالَ إِنَّكَ لَا تُظْلَمُ قَالَ فَتُوضَعُ السِّجِلَّاتُ فِي كَفَّةٍ وَالْبِطَاقَةُ فِي كَفَّةٍ فَطَاشَتِ السِّجِلَّاتُ وَثَقُلَتِ الْبِطَاقَةُ فَلَا يَثْقُلُ مَعَ اسْمِ اللَّهِ شَيْءٌ)

   ‘‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা সমস্ত মানুষের সামনে আমার উম্মতের একজন লোককে উপস্থিত করবেন। তার সামনে নিরানববইটি ফাইল (খাতা) বের করা হবে। প্রত্যেকটি ফাইলের বিশালতা হবে চোখের দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত। অতঃপর আল্লাহ তাকে বলবেনঃ এখানে যা লেখা আছে তার কোন কিছু কি তুমি অস্বীকার করতে পারবে? আমার ফেরেশতাগণ কি তোমার উপর জুলুম করেছে? তখন সে লোকটি বলবেঃ হে আমার প্রভু! আপনার ফেরেশতাগণ অন্যায় কিছু লেখে নাই। আল্লাহ বলবেনঃ তোমার কোন অযুহাত আছে কি? তখন সে লোকটি বলবেঃ হে আমার প্রভু! আমার কোন অযুহাত নেই। তখন আল্লাহ বলবেনঃ আমার কাছে তোমার একটি নেকী আছে। আজকে তোমার উপর বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবেনা। তারপর একটি কার্ড বের করা হবে। তাতে লিখা থাকবেঃ

 ( أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ)

 ‘‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ বলবেনঃ দেখ! তোমার আমল ওজন করা হবে। সে বলবেঃ হে আমার প্রভু! এতগুলো বিশাল ফাইল ভর্তি গুনাহ্র তুলনায় এই কার্ডটির কোন ওজনই হবেনা। আল্লাহ বলবেনঃ আজ তোমার উপর বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবেনা। অতঃপর মান দন্ডের এক পাল্লায় রাখা হবে নিরানববইটি ফাইল এবং অপর পাল্লায় রাখা হবে শুধু মাত্র ঐ কার্ডটি। এবার ওজনের সময় তার গুনাহ ভর্তি নিরানববইটি ফাইলের পাল্লা হালকা হয়ে যাবে এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লার পাল্লা ভারী হয়ে যাবে। আল্লাহর নামের সাথে অন্য বস্ত্তর কোন ওজনই হবেনা’’।[1] একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহবীদেরকে বললেনঃ

(مِمَّ تَضْحَكُونَ قَالُوا يَا نَبِيَّ اللَّهِ مِنْ دِقَّةِ سَاقَيْهِ فَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَهُمَا أَثْقَلُ فِي الْمِيزَانِ مِنْ أُحُدٍ)

  ‘‘তোমরা কি কারণে হাসছ? তারা বললেনঃ তাঁর (আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদের) পায়ের চিকন নলা দেখে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ ঐ সত্তার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, এই নলা দু’টি মীযানের পাল্লায় উহুদ পাহাড়ের চেয়েও ভারী হবে’’।[2] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেনঃ

(إِنَّهُ لَيَأْتِي الرَّجُلُ الْعَظِيمُ السَّمِينُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَ يَزِنُ عِنْدَ اللَّهِ جَنَاحَ بَعُوضَةٍ ،وَقَالَ: اقْرَءُوا فَلاَ نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا)

  ‘‘কিয়ামতের দিন মোটা তাজা ভারী বিশাল আকৃতির লোককে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু আল্লাহর কাছে একটি মশার পাখার ন্যায়ও তার ওজন হবে না। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তোমরা কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করঃ

فَلاَ نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا

 ‘‘সুতরাং কিয়ামতের দিন আমি তাদের জন্য কোন পরিমাপ প্রতিষ্ঠিত করব না’’। (সূরা কাহফঃ ১০৫)[3] এছাড়া এমর্মে আরো হাদীছ বিদ্যমান।

  [1]  তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান, ইমাম আলবানী (রঃ) সহীহ বলেছেন। সিলসিলায়ে সাহীহা, হাদীছ নং- ১৩৫। [2] - মুসনাদে আহমাদ, (১/৪২০, ৪২১), হাকেম বলেনঃ হাদীছের সনদ সহীহ। ইমাম যাহাবী একমত পোষণ করেছেন। ইমাম আলবানীও হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন। সিলসিলায়ে সহীহা, হাদীছ নং- ৩১৯২ [3] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তাফসীর। মুসলিম, অধ্যায়ঃ সিফাতুল মুনাফিকীন।
--------------------------------- 
প্রশ্নঃ
(১২৩) কুরআন মাজীদে পুলসিরাত পার হওয়ার দলীল কি? 

উত্তরঃ
কিয়ামতের দিন জাহান্নামের উপরে পুলসিরাত স্থাপন করা হবে। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ

وَإِنْ مِنْكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا كَانَ عَلَى رَبِّكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوْا وَنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا

‘‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে তথায় পৌঁছবেনা। এটা আপনার পালনকর্তার অনিবার্য ফয়সালা। অতঃপর আমি আল্লাহ ভীরুদেরকে উদ্ধার করবো এবং জালেমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় ছেড়ে দিবো’’। (সূরা মারইয়ামঃ ৭১-৭২) আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ

يَوْمَ تَرَى الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ يَسْعَى نُورُهُمْ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ

‘‘সেদিন আপনি মুমিন নর-নারীদেরকে দেখবেন যে, তাদের সামনে ও ডান পার্শ্বে তাদের নূর ছোটাছুটি করবে’’। (সূরা হাদীদঃ ১২)

 
 প্রশ্নঃ 
(১২৪) হাদীছ শরীফে পুলসিরাত পার হওয়ার দলীল কী? 

উত্তরঃ 
কিয়ামতের দিন জাহান্নামের উপরে যে পুলসিরাত স্থাপন করা হবে। এব্যাপারে অনেক সহীহ হাদীছ রয়েছে। শাফাআতের হাদীছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

يُؤْتَى بِالْجَسْرِ فَيُجْعَلُ بَيْنَ ظَهْرَيْ جَهَنَّمَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ: وَمَا الْجَسْرُ قَالَ: مَدْحَضَةٌ مَزِلَّةٌ عَلَيْهِ خَطَاطِيفُ وَكَلَالِيبُ وَحَسَكَةٌ مُفَلْطَحَةٌ لَهَا شَوْكَةٌ عُقَيْفَاءُ تَكُونُ بِنَجْدٍ يُقَالُ لَهَا السَّعْدَانُ الْمُؤْمِنُ عَلَيْهَا كَالطَّرْفِ وَكَالْبَرْقِ وَكَالرِّيحِ وَكَأَجَاوِيدِ الْخَيْلِ وَالرِّكَابِ فَنَاجٍ مُسَلَّمٌ وَنَاجٍ مَخْدُوشٌ وَمَكْدُوسٌ فِي نَارِ جَهَنَّمَ حَتَّى يَمُرَّ آخِرُهُمْ يُسْحَبُ سَحْبًا

   ‘‘কিয়ামতের দিন পুলসিরাতকে জাহান্নামের উপর স্থাপন করা হবে। সাহাবীগণ বলেনঃ আমরা জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল! পুলসিরাত কি? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ এটি পিছলিয়ে ফেলে দেয়ার স্থান। তাতে থাকবে বড়শীর মত বাঁকা মাথা বিশিষ্ট লোহা (যা মানুষকে ছোঁ মেরে নিয়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবে), লোহার আঁকুড়া এবং নজদ অঞ্চলের সাদান কাঁটার ন্যায় শক্ত ও লম্বা কাঁটা, একে বলা হয় সা’দান কাঁটা। মুমিনগণ চোখের পলকে, বিজলির গতিতে, বাতাসের গতিতে, দ্রুতগামী ঘোড়ার গতিতে এবং উটের গতিতে পুলসিরাত পার হবে। কেউ সম্পূর্ণ মুক্ত অবস্থায় বের হয়ে আসবে। কেউ আহত হবে এবং পরে তা থেকে পরিত্রাণ পাবে। কেউবা জাহান্নামের আগুনে নিপতিত হবে। তাদের সর্বশেষ ব্যক্তিকে টেনে-হিঁচড়ে পার করা হবে।[1]

 আবু সাঈদ (রাঃ) বলেনঃ আমার কাছে সংবাদ পৌঁছেছে যে, জাহান্নামের পুল চুলের চেয়ে অধিক চিকন এবং তলোয়ারের চেয়ে অধিক ধারালো।[2]

   [1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তাওহীদ, মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান। [2] - মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।  নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ
অধ্যায়ঃ প্রশ্ন এবং তাঁর উত্তরসমুহ

 
প্রশ্নঃ 
(১২৫) কিয়ামতের দিন পারস্পরিক জুলুমের বদলা নেয়ার ব্যাপারে কুরআন মজীদের দলীল কী? 

উত্তরঃ
কিয়ামতের দিন সকল প্রকার যুলুমের বদলা নেয়া হবে। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ 

إِنَّ اللَّهَ لاَ يَظْلِمُ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ وَإِنْ تَكُ حَسَنَةً يُضَاعِفْهَا وَيُؤْتِ مِنْ لَدُنْهُ أَجْرًا عَظِيمًا

‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা বিন্দুমাত্র যুলুম করবেন না এবং যদি কোন সৎকাজ থাকে তবে তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবেন। আর আল্লাহ্ তাঁর নিকট হতে মহান প্রতিদান প্রদান করবেন’’। (সূরা নিসাঃ ৪০) আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

الْيَوْمَ تُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ لاَ ظُلْمَ الْيَوْمَ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ * وَأَنذِرْهُمْ يَوْمَ الْآزِفَةِ إِذْ الْقُلُوبُ لَدَى الْحَنَاجِرِ كَاظِمِينَ مَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ حَمِيمٍ وَلاَ شَفِيعٍ يُطَاعُ * يَعْلَمُ خَائِنَةَ الأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ * وَاللَّهُ يَقْضِي بِالْحَقِّ

  ‘‘আজ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কৃতকর্মের বিনিময় দেয়া হবে। আজ কারো প্রতি কোন যুলুম করা হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব সম্পন্নকারী। আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন। যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে, দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। পাপীদের জন্য এমন কোন বন্ধু এবং সুপারিশকারী থাকবেনা, যার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। চক্ষুর খেয়ানত ও অন্তরে যা গোপন আছে সে ব্যাপারে তিনি অবহিত। আর আল্লাহই ফয়সালা করেন ইনসাফের সাথে’’। (সূরা গাফেরঃ ১৭-২০) আল্লাহ্ তাআলা আরও বলেনঃ

وَقُضِيَ بَيْنَهُمْ بِالْحَقِّ وَهُمْ لاَ يُظْلَمُونَ

 ‘‘আর তাদের মাঝে ইনসাফের সাথে ফয়সালা করা হবে। তাদের উপর কোন প্রকার যুলুম করা হবেনা’’। (সূরা যুমারঃ ৬৯)

Post a Comment

0 Comments