দুটি প্রচলিত ভুলঃ
একঃ আমরা অনেকে বলে থাকি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মেরাজের রজনীতে আরশে আজিম ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু কোরআন-হাদিস থেকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত তাঁর ভ্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়। (সূরা নাজম)। এর ওপরে যাওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। অতএব, এটা বাতিল বলেই গণ্য।
দুইঃ আমরা বলে থাকি, সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত যাওয়ার পর জিব্রাইল থেমে যান। সেখান থেকে রাসূলুল্লাহর আরশে আজীমে একা যেতে থাকেন। এতে তিনি ভয় পেয়ে গেলে হযরত বেলালের পায়ের আওয়াজ শুনতে পান।
এখানে কথা হচ্ছে,
প্রথমতঃ রাসূলুল্লাহ হযরত বেলালের পায়ের আওয়াজ আরশে শুনতে পাননি বরং তিনি যখন জান্নাত ভ্রমণ করেছিলেন তখন শুনতে পেয়েছিলেন। (মুসনদে আহমদ) আর যেখানে আরশে সফরের সত্যতা নেই, সেখানে আরশে পায়ের শব্দ শোনার ব্যাপারটা সাধারণ কমনসেন্সেই মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হয়।
দ্বিতীয়তঃ হযরত জিব্রাইল কোনো সময় রাসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করেননি। বরং একই হাদীসে উল্লেখ আছে যে, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়ের খশখশা আওয়াজ শুনতে পেলেন, তখন হযরত জিব্রাইল কে জিজ্ঞেস করলেন, "يَا جِبْرِيلُ، مَا هَذِهِ الْخَشْخَشَةُ؟ "হে জিবরাঈল, এটা কিসের আওয়াজ? তখন পদুত্তরে জিবরাঈল বললেন, قَالَ: هَذَا بِلالٌ الْمُؤَذِّنُ". *এটা মুয়াজ্জিন বিলালের আওয়াজ।"
এই দুটো সমাজের খুব প্রচলিত ভুল। অনেক ওয়াজেও শোনো যায়। দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন।
উল্লখ্য, হযরত বিলাল (রাঃ) সবসময় অজু অবস্থায় থাকতেন। আর ওযু ভেঙ্গে গেলে নফল দুই রাকাত সালাত আদায় করতেন। এই দুটো কারণে আল্লাহ তাআলা তাঁকে এই সম্মানের অধিকারী বানিয়েছেন।
0 Comments