Recent Tube

দ্বীনি প্রশ্নোত্তর।

প্রশ্নঃ
ইল্লাল্লাহ জিকির করা জায়েজ কি?

সম্মানিত মুমিনুল হক সাহেব,সোজা জিনিসটা পেচিয়ে ৪,৫ মিনিট লম্বা করে,ঘোড়ার ডিম বুঝিয়েছেন।এতে ব্যাকরণ কৌশল অবলম্বন করেছেন।এই ব্যাকরণ রাসূল (সাঃ) ও সাহাবীরা কি জানতেন না।নাউজুবিল্লাহ 
[উনার ফতোয়া এমন হলোঃ সুন্নাহ ও ঠিক + বিদআত ও ঠিক,উনার কথাটি গ্রহনযোগ্য নহে।]

  🔹একটু চিন্তা ও গবেষণা করুনঃ যত বিদ'আত সমাজের মধ্যে প্রচলিত আছে? ঠিক এই রকমের ফতোয়ার কারণে হয়েছে।বিদআত সাধারণ মানুষ আবিষ্কার করার সাহস পায় না, মূলত বিদ'আত এক শ্রেণির আলেম দ্বারাই হয়েছে।

     প্রথম যিনি বিদ'আত অনুমোদন দেন,এই রকমের ফতোয়া দিয়ে থাকেন। সওয়াবের আশায় করা যাবে না,তাহলে আপনারা করতে পারেন, তাতে কোনো সমস্যা হবে না।তারপরে আস্তে আস্তে অনুসারীর পর অনুসারী এক সময় এসে সকলেই সওয়াবের আশায় (আমলের নিয়তে) করতে থাকে।

       বহু দিন পরে যখন সমাজের মধ্যে বিদ'আত প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।তখন কেউ যদি কুরআন ও হাদিস পড়ে ও বুঝে সমাজের লোকদেরকে বলে,এই আমল বিদ'আত তার কোনো কুরআন ও হাদিসের দলিল নাই। ঠিক তখনই সমাজের লোক তার বিরোধী হয়ে যায়। সঠিক কথা বলার কারণে সমাজের লোক তাকে ফেতনা বাজ, ফেতনা সৃষ্টি করো না,আজেবাজে কথাবার্তা বলে, অনেক সময় সমাজ থেকে বাহির পর্যন্ত করে দেয়।

    সুতরাং- নিশ্চয়ই মানুষ জিকির করে এবং মহান আল্লাহ কাছে সওয়াবের আশা করে থাকে।যে জিকির করলে মহান আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না এবং সওয়াবের আশা ও করা যাবে না।এই জিকির করার প্রয়োজন আছে কি? 

     🌷কোন রকমের যুক্তি তর্ক না করে বরং সংশোধনের পথ বেছে নেওয়াই একজন জ্ঞানী লোকের কাজ।তর্ক করে বোকারা,মূর্খ লোকেরা।বুদ্ধিমানেরা কুরআন ও সহীহ  হাদিসের দলিল পেয়ে,নিজের ভুল হয়েছে মেনে নিয়ে সতর্ক হয়ে যায়।আল্লাহ যেনো আমাদের সকলকেই সঠিক বুঝার তৌফিক দান করে, আমিন।।
-------------------------------------------------------

Post a Comment

0 Comments