Recent Tube

টু হুম ইট মে কনসার্ন- যদি কারো প্রয়োজন হয়; জিয়াউল হক।


  টু হুম ইট মে কনসার্ন- যদি কারো প্রয়োজন  
  হয়;
   --------------------------------- 
বলছিলাম কুরআন বুঝার কথা। রামাদ্বান দোরগোড়ায় হাজির। কুরআনেরই মাস। একটা মাস, তিরিশটা দিন লেগে থাকলে অনেক কিছুই শেখা যাবে আল্লাহ চাইলে।  আমার মতো সাধারন শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠা অনেকেই  নিজ নিজ প্রয়োজন ও চাহিদামতো চেষ্টা করছেন, করবেনও। আমি  সেই অনেকের কাছে ভেবে দেখবার জন্য একটা বিষয় তুলে ধরতে চাই। 

আল কুরআনের সর্বপ্রথম নাজিলকৃত নির্দেশ হলো; ইকরা বা পড়ো, আমরা সকলেই জানি।  আবার কুরআনের ক্রমধারা অনুযায়ী সুরা ফাতেহার মতো একটি দুয়া'আ, যেখানে আমরা আল্লাহর কাছে হিদায়েত চেয়ে আবেদন করছি, তার জবাবে পুরো কুরআন। প্রথমেই সুরা বাকারা। আর প্রথম নির্দেশটি হলো ; তোমরা জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করো না।  জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টি করা হারাম করে দিয়েছেন আল্লাহ এই আয়াতের মাধ্যমে। এ নির্দেশটাই সর্বপ্রথম (বাকারা: ১১)। দ্বিতীয় নির্দেশ হলো; শিরক করো না (বাকারা: ২২)। তৃতিয় নির্দেশ; কুফরি করো না (বাকারা: ৪১)। চতুর্থ নির্দেশটিও জীবনের সর্বস্তরে শান্তি স্থিতিশীলতা রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ; 'সত্য ও মিথ্যার সংমিশ্রণ করো না' (বাকারা: ৪২)   

আমরা চারটি নির্দেশনা পেলাম;
১-জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করো না,
২- শিরক করো না,
৩-কুফরি করো না এবং
৪-সত্য ও মিথ্যার সংমিশ্রণ করো না। 
 
দেশ ও সমাজে শান্তি, শৃংখলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ চারটি নির্দেশনার চেয়ে কার্যকরি আর কোন নির্দেশনা হতেই পারে না।  

রামাদ্বানের একটি মাসে আমরা সকলেই যদি নিজ নিজ মানসে নির্দেশনাগুলোর ক্রমধারার তাৎপর্যগুলো বুঝে নিতে এসবের অনূবুর্তি হতে এবং নিজ নিজ পরিবার ও স্বজনকে চারটি নির্দেশনার ব্যাপারে সজাগ ও সচেতন করে তুলতে পারি, তবে সেটা একটা বড়ো কাজ হবে।   আসুন ভেবে দেখি এবং চেষ্টা করি।
---------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা গীতিকার ইতিহাস বিশ্লেষক ও কলামিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments