Recent Tube

যে ব্যক্তি কোন জিনিস লটকাবে তাকে ঐই জিনিষের দিকেই সোপর্দ করে দেয়া হবে।আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।




 প্রশ্ন: 
তাবিজ দ্বারা রোগ মুক্তি হলে তা ব্যবহার করা বৈধ হবে কি?

 উত্তর:
  ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ ব্যবহার হারাম। এর দ্বারা উপকার হোক বা না হোক সেটা ধর্তব্য নয়। যুক্তি দিয়ে ইসলাম চলে না। বরং ইসলামের ভিত্তি হল, দলীল।
তাবিজ ব্যবহার বৈধ হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা করতেন, সাহাবীগণ করতেন। কিন্তু তারা তা করেন নি। সুতরাং আমাদের জন্য কোনভাবেই তা বৈধ হতে পারে না।

     সুতরাং দলীলের আলোকে আমরা বলি, তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা, তামা বা পিতলের আংটি ইত্যাদি জিনিসগুলো ব্যবহার নিষিদ্ধ।
ইসলামে কুরআনের কিছু সূরা ও বিভিন্ন দুআ দ্বারা রুকিয়া (ঝাড়ফুঁক) দ্বারা চিকিৎসা করা উত্তম। অনুরূপভাবে বিভিন্ন ধরণের মেডিসিন ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।
এগুলো এ জন্যই বৈধ যেহেতু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পক্ষ থেকে এগুলোর অনুমোদন রয়েছে। কেননা, তিনি ঝাড়ফুঁকের পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন এবং নিজেই বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির প্রেসকিপশন দিয়েছেন। (এ বিষয়ে ইবনে কাইয়েম রা. রচিত ত্বিব্বে নববী কিতাবটি প্রসিদ্ধ)
  উপরোক্ত শরিয়ত সম্মত কোন চিকিৎসায় ফায়দা না হলে সবর করবে এবং আখিরাতে তার বিনিময়ের আশা করবে। কিন্তু কোনভাবেই হারামের দিকে পা বাড়ানো যাবে না। ঈমান বিধ্বংসী কাজ করা মুমিনের জন্য শোভনীয় নয়।

   আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুন।
-আল্লাহু আলাম।
-------------------------◄❖►-------------------------
 উত্তর প্রদানে:
 আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
 দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব। 

Post a Comment

0 Comments