Recent Tube

ধূমপানে সহযোগিতা করার বিধান এবং ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সমূহ। আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।




ধূমপানে সহযোগিতা করার বিধান এবং ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সমূহ।

--------------------------

প্রশ্ন:
আমার এক রুমমেট আমার লাইটর নিয়ে সিগারেট খায়। এক্ষেত্রে তাকে লাইটার দিলে কি আমার গুনাহ হবে? 
ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো জানতে চাই।

উত্তর:
ইসলামের দৃষ্টিতে ধূমপান সম্পূর্ণ হারাম। (যারা মাকরুহ বলে ফতোয়া দেয় তাদের কথা সঠিক নয়)। সুতরাং ধূমপান করা, ধূমপান করতে সাহায্য করা, ধূমপানের সুযোগ দেয়া, ধূমপান তৈরির উপাদান হিসেবে তামাক চাষাবাদ করা, বিড়ি-সিগারেট তৈরির কারখানায় কাজ করা, উৎপাদন করা, ক্রয় করা, বিক্রয় করা, বহন করা, এর বিজ্ঞাপন দেয়া সব কিছু হারাম।
সুতরাং কেউ যদি নিজে ধূমপান করেনা কিন্তু বন্ধুকে ধুমপান করার জন্য লাইটার বা আগুন দেয় তাহলেও সেও হারাম কাজে সহযোগিতা করার জন্য গুনাহগার হবে। আর আল্লাহ তাআলা পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন। (সূরা মায়িদা: ২)

বিস্তারিত পড়ুন:

বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা, সিসা, হুক্কা ইত্যাদি গ্রহণের বিধান
https://www.facebook.com/AHadiAjalil/posts/3763103460456067

♦ ধূমপানের ক্ষয়-ক্ষতি ও পাশ্বপ্রতিক্রিয়া 
      সম্পর্কে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীগণ কী বলেছেন?

♦ কালের কণ্ঠ পত্রিকায় লেখা হয়েছে:

 "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সর্বজনীনভাবে এটি স্বীকৃত যে, ধূমপান যক্ষ্মা, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা রোগের অন্যতম প্রধান কারণ।

  এ ছাড়া ধূমপানে রয়েছে নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি। ধূমপান ত্বকের একদম বাইরের দিকের ধমনিগুলোতে রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। ফলে ত্বকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনটুকুও পৌঁছায় না। যা অল্প বয়সেই মানুষকে বুড়ো বানিয়ে দেয়। এ ছাড়া সিগারেটের তামাকে থাকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যা মানুষের ত্বকের এলাস্টিন এবং কোলাজেনকে নষ্ট করে দেয়। সে কারণেই ধূমপায়ীদের ত্বকে বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সিগারেটের নিকোটিনের কারণে দাঁতের ঝকঝকে সাদা রং পালটে হলদেটে হয়ে যায়। ধূমপানের ফলে চুলেরও ক্ষতি হয়। গবেষণায় জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে যারা ধূমপান করছেন তাঁদের চুল বাকিদের তুলনায় অনেক পাতলা হয়। কারণ সিগারেট চুলের ডিএনএগুলোকে নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়া ধূমপানের ফলে চোখের তলায় কালি, ‘ব্ল্যাকহেডস’-এর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে হিমোগ্লোবিন বেশি পরিমাণে অক্সিজেন বহনে অক্ষম হয়ে পড়ে। যে কারণে শরীরের ক্ষত সারতেও অধিক সময় লাগে।

   ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই জনম্মুখে প্রকাশ্যে ধূমপান কঠোভাবে নিষিদ্ধ। কারণ এর দ্বারা অধূপায়ী ও শিশুদের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি তারাও পড়ে যান স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।" 

প্রথম আলো পত্রিকায় লেখা হয়েছে:

"ধূমপান আসলে কোনও প্রকার স্টেস বা টেনশন কমায় না। পরিবারের একজন ব্যক্তি ধূমপান করলে আশপাশে থাকা অন্যদেরও ক্ষতি হয়, যার কারণে শিশুদের অনেকাংশে হার্ট অ্যাটাক, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা যায়। চিকিৎসক বা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলে যাচ্ছেন, যেকোনো ধরনের ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।"
আল্লাহু আলাম।
--------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।

Post a Comment

0 Comments