আফগানে "খেলা হবে"! নতুন টিম এন্ট্রির পূর্বাভাস!
-----------------------------------
ভারতীয় NDTV নিউজে দেখলাম;
Afghanistan Says May Seek India Military Assistance If Taliban Talks Fail অর্থাৎ আফগান সরকারের সাথে তালেবানের আলোচনা ব্যার্থ হলে ভারতের কাছে সামরিক সাহায্য চাইবে। বলেছেন ভারতে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত।
ভারত সরাসরি সেনা পাঠাবেনা সেটা নিশ্চিত বলা যায় তবে বর্তমান আফগান সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা সম্ভব তা টেবিলের নিচে দিয়ে করবে তাতে সন্দেহ নাই। আমরা অনুরোধ করতে পারি তালেবান মোকাবিলায় ভারত সৈন্য প্রেরণ করুক। তখন-ই ম্যাচ উপভোগ্য হবে! টি ২০ ছাড়া এখন কিছুই জমে না, ভাই। দাদারা সেনা পাঠালেই তো টি২০ শুরু হবে। কারণ, তখন পাকিস্তান আর চীন তো গ্যালারিতে বসে খেলা দেখবে না! ব্যাট, বল, স্ট্যাম্প তালিবানের হাতে তুলে দিবে!
... অন্যদিকে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের ফাইনাল শেষে এখন আফগান, তুরস্কের ম্যাচ নিয়ে ফেবুতে দর্শক উত্তেজনা তুঙ্গে। কেউ এরদোয়ানের প্যান্টশার্ট খোলে নিচ্ছে আবার কেউ তকবীর দিয়ে তালেবানের পক্ষে তর্ক যুদ্বে নেমেছে। দুই পক্ষের মাঝেই অজ্ঞতা আর চরম আবেগ লক্ষ্যনীয়। কেন কেন রে ভাই?
দেখুন, তুরস্ক ন্যাটোর পক্ষ থেকে আফগানিস্তান সেনা পাঠালেও বিশ বছরে তারা ব্যাটল ফিল্ডে ছিলনা। তাই তাদের কোন সৈন্য হতাহত হয়নি। অর্থাৎ দুইপক্ষই একে অপরকে আক্রমণ থেকে বিরত থেকেছে। তুরস্কের সৈন্যরা মূলত রাস্তাঘাট, স্কুল নির্মাণ, সৈন্যদের ট্রেনিং, বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র। যারা ন্যাটো সদস্য হিসাবে তুরস্ককে তুলোধুনো করছে তারা আফগানিস্তানে তুরস্ক সৈন্যদের ভূমিকার ব্যাপারে চরম অন্ধকারে। সন্দেহ আছে?
.... এখন কাবুল বিমানবন্দর পাহারার জন্য তুরস্ক সেনাদের থাকা না থাকা নিয়ে যে দ্বন্দ্ব সে বিষয়েও অনেকে অন্ধকারে। এই ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের এডভাইজার
ডঃ ইয়াসিন ওকতাই ধোঁয়াশা দূর করে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার تركيا لا يمكن أن تكون في موامرة مع احد ضد الشعب الأفغاني আর্টিকেলে।
...তিনি তার লেখায় অনেককে ধুয়েছে তা অনেক লম্বা ব্যাপার। তবে উনার মূল বক্তব্য যদি আমি বুঝে থাকি তাহলো, আফগান জনগণ বা কোনো মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে কারো ষড়যন্ত্রে তুরস্ক শরিক হবে না। চলমান কাবুল ইস্যুতে তুরস্ক আমেরিকার কাছে শর্ত দিয়েছে যে, আফগানী জনগণের মতের বিপরীতে গিয়ে কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব তুরস্ক নেবে না। তুরস্ক এই দায়িত্ব তখন নেবে যখন আমেরিকা ঐ শর্ত মেনে নেবে এবং সকল পক্ষ রাজী হবে। তুরস্ক আরো স্পষ্ট করেছে যে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। এসব বিষয়ে কনভার্সেসন চলমান এবং এখনো পর্যন্ত আমেরিকা আর তুরস্ক চূড়ান্ত ঐক্যমতে আসেনাই।
✍️ যারা খেলা দেখার অপেক্ষায় তারা শান্ত হোন, ঠ্যালাঠ্যালি করবেন না। আগামী পর্বে হয়ত ক্রিটিক্যাল দিক নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করব। দাদারা সেনা পাঠালে মজা হত রে ইয়ার!।
---------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments