সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত পাহাড়ি ও দুর্গম পার্বত্য এলাকার
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা
সন্তু লারমা।
--------------------------------
বাংলাদেশের পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলে খ্রিস্টান মিশনারীদের অপতৎপরতা ব্যাপকভাবে চলছে। দেশের গারোদেরকে ধর্মান্তরিত করে বানানো হয়েছে খ্রিস্টান। এখন অধিকাংশ গারো সম্প্রদায় খৃষ্টান ধর্মালম্বী। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের খৃষ্টান বানানো হচ্ছে। অর্থলোভ এবং জীবননাশের হুমকিতে মুসলিমরাও খ্রিস্টান হয়ে যাচ্ছে। এইকাজে তাদের সাহায্য করছে উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সন্তু লারমা, তার সন্ত্রাসী বাহিনী এবং ইউপিডিএফ।
এমন প্রেক্ষাপটে খৃষ্টান ধর্মালম্বী পূর্ণচন্দ্র ত্রিপুরা মুসলিম ওমর ফারুক হয়েই থেমে যায়নি, তিনি ইসলামের দা'ঈ হিসাবে কাজ শুরু করেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী এবং খৃষ্টান মিশনারীদের হুমকিকে উপেক্ষা করে দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে অসংখ্য পরিবারকে মুসলিম বানান৷ তাদের নামাযের জন্য দুর্গম পাহাড়ে নিজের যায়গায় মসজিদ বানিয়ে দেন। খুনিরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার। না হলে দুর্গম পাহাড় মুসলিম জনপদে রুপান্তর হবে।
মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময়টা বেছে নেয় অস্ত্রধারী উপজাতি সন্ত্রাসীরা। গুলি করে হত্যা করে ত্রিপুরা থেকে ধর্মান্তরিত মুসলিম হওয়া ওমর ফারুককে। পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, হত্যার সাথে সন্তু লারমার জেএসএসের সশস্ত্র শাখা জড়িত।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্তু লারমা বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীর সমমর্যাদা নিয়ে চলাফেরা করে। সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে দেশ বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেই যাচ্ছে। তার সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অতি সত্ত্বর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেশের সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। জেএসএস, ইউপিডিএফ বাংলাদেশের তিন পার্বত্য অঞ্চলকে আলাদা করে বাংলাদেশকে টুকরো করে ফেলতে চায়। ইতিমধ্যেই তারা 'জুম্মল্যান্ড' নামের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক আগে থেকেই সংগঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের শত্রু আঞ্চলিক শক্তি ভারত তাদের যাবতীয় সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতে যদি যুদ্ধ হয় সেখানেও ভারত অতীতের মতো তাদের অস্ত্র ও বাহিনি দিয়ে সহযোগিতা করবে৷
এই সকল সন্ত্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কিভাবে দমন করে দেশের সার্বভৌমত্ব অটুট রাখা যায় তা নিয়ে জাতীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। অতিসত্বর সন্তু লারমাকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। (সংগৃহীত-কমরেড মাহমুদ)
0 Comments