Recent Tube

এ দায় কার? সরকার কি আল্লাহর জবাবদিহিতার বাহিরে?? কুতুব শাহ।





 
    এ দায় কার? সরকার কি আল্লাহর জবাবদিহিতার বাহিরে??? 


   অসুস্থ পিতার জন্য অক্সিজেন নিয়ে আসার পথে যুবককে আটকিয়ে ১ হাজার টাকা দাবী করে পুলিশ! রফাদফা শেষে বাড়িতে ফিরে দেখেন বাবা আর নাই।

    অমানবিক এই ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরায়। উক্ত যুবককে আটক করতে দেখে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন পথচারিরা। ছেলের আকাশ বাতাস ভারি করা কান্নায় কেবল পুলিশেরই মন গলেনি।  বাবা মৃত্যু শয্যায় কিন্তু পুলিশ অহেতুক ২ ঘন্টা আটকে রাখলো ছেলেকে। বার বার পুলিশের পায়ে ধরে কেঁদেছে ছেলেটি। বিনয়ের সাথে আকুতি মিনতি করেছে। কিন্তু পাষান্ড হৃদয় পুলিশের। সেই এএসআই এসব কর্ণপাত করেন নি। টাকা ১ হাজার ঘুনতেই হবে।

      নিহত ওই বৃদ্ধের ছেলে ওলিউল ইসলাম জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে অসুস্থ বৃদ্ধ পিতা। জরুরি অক্সিজেন প্রয়োজন। এজন্য সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। বেলা দশটার দিকে ইটাগাছা হাটের মোড়ে পৌঁছালে আমাকে আটক করেন ইটাগাছা ফাঁড়ির এএসআই সুভাষচন্দ্র।

    এ সময় তিনি লকডাউনে বাইরে বেরিয়েছি কেন বলে ১ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় আমাকে দুই ঘণ্টা সেখানে আটকে রাখা হয়। পরে ইটাগাছা এলাকার জনৈক জিয়াউল ইসলামের মধ্যস্থতায় ২০০ টাকা নিয়ে এএসআই সুভাষচন্দ্র তাকে ছেড়ে দেন। বিষয়টি গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

     ওলিউল ইসলাম আরো জানান, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। বাড়িতে গিয়ে দেখি অক্সিজেনের অভাবে আমার বাবা মারা গেছেন। যদি সময়মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো বাবাকে বাঁচানো যেত। তিনি এই অমানবিক ঘটনার বিচার দাবি করেন।

     এ বিষয়ে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুভাষ চন্দ্র বলেন, ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলাম। তিনি দেখাতে পারেননি সেজন্য বাড়ি থেকে কাগজপত্র এনে দেখাতে বলেছিলাম। অক্সিজেনের বিষয়টি জানার পর বলেছিলাম পরে এসে কাগজপত্র দেখিয়ে যেতে। তাকে বেশি সময় আটকে রাখিনি। পরে শুনলাম তার বাবা মারা গেছেন। এটি দুর্ঘটনাবশত হয়ে গেছে।

     সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হুসেইন বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। তারপরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। অভিযুক্ত এএসআই সুভাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

       আচ্ছা কার এতো সাহস পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে। পরে কি থেকে কি হয়ে যায়। তাই বিষয়টি নিয়ে কেবলই চোখের পানি নিরবে ছাড়ছেন ওলিউল ইসলামের পরিবার। পুলিশের শাস্থি হয়ত সাময়ীক ববরখাস্ত আরকি! এরচেয়ে বেশী কি হবে?

     পুলিশ তো পুলিশই ভাই! এক হাজার টাকা দিয়ে দিলেই তো হত। সব দোষ উক্ত যুবকের। জনগনের বন্ধু পুলিশ, মানবিক পুলিশ। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা ঠিকনা! খেলার আপডেট কি দোস্ত। ব্রাজিল - আর্জেন্টিনা  নাকি বি-বাডিয়া? 
কার হাতে ট্রপি।

Post a Comment

0 Comments