নারী-পুরুষ সহবস্থান করে এমন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার বিধান।
-----------------------------
প্রশ্ন:
একজন বোন একান্ত জরুরী প্রয়োজনে একটি মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন যেখানে পুরুষরাও আছে। প্রয়োজন ছাড়া কথা বলা এড়িয়ে চললেও কাজের প্রয়োজনে কথা বলতে হয়।
যদি তিনি এই জন্য বেতনের টাকা থেকে কিছু টাকা দান করে দেন, আর বাকি টাকা ক্লাসে পাঠদানের বেতন হিসেবে রাখেন তবে কি তার এই বাকি টাকাটা হালাল ধরা যাবে?
উত্তর:
নারী-পুরুষ একসাথে অবস্থান করে বা অবাধ মেলামেশা রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানে নারী বা পুরুষ কারোর জন্যই চাকুরী করা ঠিক নয়। কেননা এখানে নানা ধরণের ফেতনা-ফাসাদ সংগঠিত হওয়ার পর্যাপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে। (আমাদের সমাজে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা এবং বিশৃংখলার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে যা সকলের জানা)
ইসলামী শরীয়তে নারী-পুরুষ পৃথক ব্যবস্থাপনার মধ্যে কাজ করতে কোন বাধা নেই।
সুতরাং একান্ত প্রয়োজনে নারীরা এমন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারে যেখানে কেবল নারীরা কাজ করে (যেখানে নারী-পুরুষের অবাধ অবস্থান নেই)। যেমন: গার্লস স্কুল বা কলেজে শিক্ষকতা করা।
অবশ্য যদি কোনো মহিলা উপায়ান্তর না পেয়ে একান্ত জীবনের তাকিদে এমন পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হয় তাহলে যথাসাধ্য পর্দা ও সম্ভ্রম রক্ষা করে কাজ করা জায়েয হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا
"আল্লাহ তা'আলা কারো উপর তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব চাপান না।" (সূরা বাকারা: ২৮৬ নং আয়াত)
▪ এ ক্ষেত্রে নিভৃত কক্ষে পরপুরুষের নিকট সময় কাটাবে না।
▪ তাদের সাথে নিষ্প্রয়োজনীয় কথা বলবে না।
▪ কথা বলার সময় কোমল কণ্ঠ পরিহার করবে।
▪ তাদের সাথে হাসাহাসি-দুষ্টামি করবে না।
▪ আতর সুগন্ধি ব্যবহার করবে না
▪ কাজ শেষ হলে অনতিবিলম্বে বাড়িতে ফিরে আসবে।
▪ সেই সাথে আল্লাহর কাছে দুআ করবে এবং বিকল্পপন্থায় জীবিকা উপার্জনের পথ অনুসন্ধান করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সাহায্যকারী।
🌀 প্রাপ্ত বেতন থেকে কিছু দান করা বা না করার সাথে বেতন হালাল-হারাম হওয়ার কোনো সম্পর্ক নাই।
------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব
#abdullahilhadi
0 Comments