Recent Tube

যে শাসক আল্লাহর বিধান ছেড়ে মানব রচিত বিধান দ্বারা শাসনকার্য পরিচালনা করেঃ। মুহাম্মদ তানজিল ইসলাম।



যে শাসক আল্লাহর বিধান ছেড়ে মানব রচিত বিধান দ্বারা শাসনকার্য পরিচালনা করেঃ
----------------------------------------------------------
আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, 
وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْكَ ۖ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُصِيبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ ۗ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ لَفَاسِقُونَ. أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ ۚ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ حُكْمًا لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ.
আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে বিচার-শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করো এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক যে, আল্লাহ যা (বিধান স্বরূপ) অবতীর্ণ করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখ যে, আল্লাহ তো কেবল তাদেরকে তাদের কিছু পাপের কারণেই (জাহান্নামের) আযাব দিতে চান। আর মানুষের অনেকেই ফাসিক। তারা কি জাহিলিয়্যাতের বিধান চায়, আর নিশ্চিত বিশ্বাসী কওমের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম? (সূরা মায়িদা ৫/৪৯-৫০)

সুতরাং মুমিন ব্যক্তির নিকট আল্লাহর বিধানের চেয়ে কোনো বিধান উত্তম হতে পারে না। যারা আল্লাহর বিধানের উপর অন্য কোনো বিধানকে অগ্রাধিকার দেয়, তারা মুমিন হতে পারে না। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, 
وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ.
আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে ফয়সালা করে না, তারাই কাফির। (সূরা মায়িদা ০৫/৪৪)
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহঃ বলেন, "এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করাকে যে ব্যক্তি ওয়াজিব মনে করে না, সে কাফির।" (মিনহাজুস সুন্নাহ, পৃঃ ৪৯)

সূরা মায়িদার ৫০ নং আয়াতের তাফসীরে আল্লামা ইবনে কাসীর রাহঃ বলেন, 
ينكر تعالى على من خرج عن حكم الله المحكم المشتمل على كل خير الناهي عن كل شر وعدل إلى ما سواه من الآراء والأهواء والإصطلاحات التي وضعها الرجال بلا مستند من شريعة الله كما كان أهل الجاهلية يحكمون به من الضلالاتوالجهالات بما يضعونها بآرائهم وأهوائهم وكما يحكم به التتار من السياسات الملكية المأخوذة عن ملكهم جنكر خان الذي وضع لهم الياسق وهو عبارة عن كتاب مجموع من أحكام قد اقتبسها عن شرائع شتى من اليهودية والنصرانية والملة الإسلامية وغيرها وفيها كثير من الأحكام أخذها من مجرد نظرة وهواه فصارت في بنيه شرعا متبعا يقدمونها على الحكم بكتاب الله وسنة رسول الله صلى الله عليه وسلم فمن فعل ذلك فهو كافر يجب قتاله حتى يرجع إلى حكم الله ورسوله فلا يحكم سواه في قليل ولا كثير.
"আল্লাহ তা'য়ালা উক্ত আয়াতে সেই ব্যক্তিকে দোষারোপ করেছেন, যে ব্যক্তি সার্বিক কল্যাণময় আল্লাহ তা'য়ালার বিধান ছেড়ে মানব রচিত বিধিবিধানের পিছনে পড়েছে। যেভাবে জাহেলী যুগের লোকেরা ভ্রষ্টতা ও মূর্খতার মাধ্যমে এবং তাতাররা চেঙ্গিস খান রচিত 'ইয়াসিক' নামক সংবিধানের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করত; যা ছিল ইয়াহুদী, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মের সংবিধান সমূহ থেকে বিশেষ ভাবে চয়িত। তাতে চেঙ্গিস খানের ব্যক্তিগত মতামতও ছিল। ধীরে ধীরে তার সন্তানেরা এ সংবিধানকে জীবন বিধান হিসাবে মেনে নিয়েছে। যার গুরুত্ব তাদের নিকট কুরআন সুন্নাহর চাইতেও বেশি। যে এমন করল সে কাফির হয়ে গেল। তার বিরুদ্ধে জিহাদ করা সবার উপর ওয়াজিব যতক্ষণ না সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) এর বিধানের দিকে ফিরে আসে। বর্তমান যুগে অধিকাংশ রাষ্ট্রে মানব রচিত যে সংবিধান চলছে তা অনেকাংশেই তাতারদের সংবিধান সমতুল্য।" (তাফসীরে ইবনে কাসীর, সূরা মায়িদা আয়াত ৫০ তাফসীর)

Post a Comment

0 Comments