Recent Tube

সত্যের সাক্ষ্য,সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী রহঃ থেকে বই নোট, - ইবনে যুবাইর।








 

সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী (রহ.) এর লিখিত, সত্যের সাক্ষ্যে বই থেকে, 
বই নোট "


   সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী(রহ.)-তার এই বইটিতে সত্যের সাক্ষ্যে কি এবং কাকে বলে সেই গুরুত্ব খুব সহজ ও সাবলিল ভাষায় তুলে ধরেছেন।সত্যকে হৃদয়গম করার জন্য দুই মিনিট সময় নিয়ে পড়তে পারেন।  

বই নোট;

   মাওলানা বলেন,'নিজে যা জানে তা অন্যের কাছে বলা বা যথাযথভাবে প্রকাশ করার নামই সাক্ষ্য।

  সত্যের সাক্ষ্য কি?

   আল্লাহর পক্ষ থেকে যে সত্য এসেছে, উদ্ভাসিত হয়েছে, তার সত্যতা দুনিয়ার সামনে এমনভাবে প্রকাশ করা যাতে দ্বীনের যথার্থতা প্রমানিত হয়, এটাই সত্যের সাক্ষ্য।

  সত্যের সাক্ষ্য দানের গুরুত্ব:

১. সাক্ষ্যদানের ভিতিত্তেই হাশরের ময়দানে ফয়সালা হবে।
২. সাক্ষ্যদান সকল নবীর সুন্নাত।
৩. সত্যের সাক্ষী না হলে যালেমদের অন্তভূক্ত হবে।
৪. সাক্ষ্য না দিলে দুনিয়ার লাঞ্জনা, অপমান, অধ:পতন চেপে বসবে।
৫. সাক্ষ্য দান আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া দায়িত্ব।

সাক্ষ্যদানের প্রকারভেদ: ২ প্রকার;

১. মৌখিক সাক্ষ্য:
নবী (সা:) এর মাধ্যমে আমাদের কাছে যে সত্য এসে পৌছেছে তা বক্তৃতা ও লেখনীর মাধ্যমে মানুষের কাছে সহজবোধ্য করাকে মৌখিক সাক্ষ্য বলে।
দাওয়াতের সকল পদ্ধতি প্রয়োগ ও জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল উপাদান ব্যবহার করে ইসলামকে একমাত্র সঠিক পরিপূর্ণ বিধান হিসাবে প্রমান এবং প্রতিষ্ঠিত বাতিল মতাদর্শের দোষ ক্রটি তুলে ধরা।

২. বাস্তব সাক্ষ্য:
 যা মুখে বলা হয় তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের সামনে তার সত্যতা প্রমান। সৌন্দর্য্য ও কল্যানকারীতা প্রদর্শন করা নয়।

  সাক্ষ্য দানের পূর্ণতা: আল্লাহর দ্বীনকে পরিপূর্ণভাবে মানতে পারলেই দ্বীনের পূর্ণ সাক্ষ্য প্রদান হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকলে দ্বীনকে পরিপূর্ণভাবে মানা সম্ভব নয়। সুতরাং শুধুমাত্র দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সাক্ষ্যদানের পূর্ণতা সম্ভব।
সত্য গোপনে শাস্তি:
১. দুনিয়ার শাস্তি:

  ♦ গোটা দুনিয়ায় মুসলমানরা নির্যাতিত।

 পূর্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত স্থানগুলো মুসলমানদের স্থানচু্যত হয়ে যাওয়া।

২. আখেরাতের শাস্তি: সত্যের সাক্ষ্য না দিলে দুনিয়ায় অশান্তি সৃষ্টি হয়। দায়িত্ব পালন না করার কারনে পরকালে কঠিনতম শাস্তি ভোগ করতে হবে।

  ♦ মুসলমানদের সমস্যা:

  চিন্তার ক্রটি: অন্যান্য জাতি পার্থিব যেসব সমস্যাকে মূল সমস্যা হিসেবে গুরুত্ব দেয় আমরাও সেসব বিষয়কে একই ভাবে গুরুত্ব দিই।

   যেমন: সংখ্যালঘু হিসেবে মুসলিম।
সঠিক চিন্তা: যাবতীয় সমস্যার উৎস মূল দায়িত্ব তথা সত্যের সাক্ষ্যদান হতে বিমুখতার পরিনতি। কারন এ দায়িত্ব পালন না করার কারনেই অন্যেরা এসব সমস্যার সৃষ্টির সুযোগ পাচ্ছে।

   যেমন: আর যে সংখ্যালঘু মুসলিম জাতি সাক্ষ্যদানের মাধ্যমে সংখ্যাগুরুত্ব এ পরিনত হয়েছে।

 ♦ সমস্যার সমাধান:
যাবতীয় সমস্যা সমাধানের পথ হচ্ছে যথাযথভাবে সত্যের সাক্ষ্য পেশ করা।
আসল সমস্যা: দুনিয়ায় মুসলিম হিসাবে প্রতিনিধিত্বের দাবী ইসলামের, বাস্তবে ইসলাম বিরোধী মতবাদের প্রতিনিধিত্ব করি।

 ♣ ফলাফল:
 দুনিয়ার মানুষ ইসলাম সম্পর্কে ভুল তথ্য জানছে।
 মানুষ আমাদের কারনে ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারছে না।
মুসলমানদের দুনিয়ায় ব্যর্থতার কারণ: ইসলামের লেবেল খুলে দিয়ে কুফরী গ্রহন করলে দুনিয়াবী জিন্দেগী চাকচিক্যময় হত। কিন্তু নাম ও কর্ম সংঘাত হওয়ায় উন্নতিও বন্ধ।

 ♥ আমাদের কর্মপদ্ধতি:

  মুসলমানদের ইসলাম সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান প্রদান এবং তাদের দায়িত্ব সম্বন্ধে সচেতন করা।

 শুধু ব্যক্তিজীবন নয় ইসলামকে মানা এবং প্রতিষ্ঠার জন্য সামষ্টিক বা সংগঠনিক প্রচেষ্ঠা প্রয়োজন। এটা বুঝিয়ে দেয়া।

 ♠ কাজের পথ:
আমাদের নিয়ম, শৃংখলা, কর্মনীতি, আকীদা ভাল লাগলে আমাদের সাথে যোগদান করা।
অন্যদলকে আমাদের চেয়ে খাটি মনে হলে সে দলে যোগ দেয়া।
কোন দল খাটি মনে না হলে নিজের উদ্যোগে দল গঠন করা।

 
  দ্বীনের একাধিক দল গঠনের আশংকা: আপাতত দৃষ্টিতে ইসলামী দল বেশি হলে বিশৃংখলা দেখা দিবে।

  একাধিক দল গঠনের কারণ:
নবী করীম সা: পরিচালিত সংগঠনই শুধুমাত্র “আল জামায়াত” হিসাবে দাবী করতে পারে। অন্য কোন দলকে “আল জামায়াত” বলা যাবে না। সুতরাং দ্বীনের জন্য একাধিক দল গঠনে বাধা নেই।
ফলাফল: নিষ্ঠার সাথে সবাই কাজ করলে লক্ষ্য যেহেতু একই সেহেতু মাঝপথে মিলিত হবে।

  পুরো বইটি পড়তে পারলে হয়তো ইসলামকে বক্ষে ধারণ করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যেতে পারে।
--------------------------------- 
বই নোট  লেখক  ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments