সাহাবিদের শানে মাওলানা মওদুদীর কয়েকটি উক্তি:
১. সংস্কার সংশোধন এবং তাকওয়া ও পরহেজগারির দিক থেকে সাহাবারা এমন উচ্চতর শিখরে আরোহণ করতে পেরেছিলেন, পৃথিবীতে কোনো মানব সমাজ কখনো সে স্তরে পৌঁছাতে পারেনি।
(রাসায়েল ও মাসায়েল, ৩য় খন্ড, প্রাগুপ্ত,পৃষ্ঠা-১১০)
২. তোমাদের মর্যাদা এত বেশি যে, আল্লাহর আরশের ধারক ফেরেশতারা এবং তার চারপাশে অবস্থানরত ফেরেশতারা পর্যন্ত তোমাদের সহযোগী।
(তাফহীমুল কুরআন, সুরা গাফির, টীকা-৬)
৩. সাহাবাদের সাথে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা আমার দৃষ্টিতে স্বয়ং ইসলাম ও রাসূল (সাঃ)-এর সাথে দুশমনী করার সমতুল্য।
(সাহাবায়ে কেরামদের মর্যাদা, পৃ.১০)
৪. সাহাবাদের নিন্দা করা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা জায়েয নেই। আল্লাহর অনুগ্রহে এ কাজ আমি কখনো আমার কোনো রচনায় করিনি।
(রাসায়েল ও মাসায়েল, ৫খন্ড, প্রাগুপ্ত, পৃষ্ঠা-১২৪)
৫. যে ব্যক্তি সাহাবায়ে কেরামদের মন্দ বলে, আমার মতে সে কেবল ফাসিকই নয়, বরং তার ঈমানই সংশয়পূর্ণ।
(সাহাবায়ে কেরামদের মর্যাদা, প্রাগুপ্ত, পৃষ্ঠা-২১)
৬. রাসূল (সাঃ) এর সঙ্গী সাথী এমন যে, কেউ তাদের একবার দেখা মাত্রই বুঝতে পারবে যে তারা সৃষ্টির সেরা। কারণ, তাদের চেহেরায় আল্লাহ -ভীরুতার দীপ্তি সমুজ্জ্বল।
(তাফহীমুল কুরআন, সূরা ফাতাহ, টীকা-৫৪)
৭. রাসূল (সাঃ)-যে সৌভাগ্যবান লোকদের প্রশিক্ষণ দান করেছিলেন, মানবজাতির ইতিহাসে তাঁরা ছিলেন অতুলনীয়। এই সৌভাগ্যেবান পবিত্রাত্মার মনীষীদের একজন ছিলেন হযরত উমর (রাঃ)।
(সাহাবায়ে কেরামদের মর্যাদা, প্রাগুপ্ত, পৃষ্ঠা-৩২)
৮. সালফে সালেহীনদের মধ্যে যদিও সাহাবিদের সংজ্ঞা নিয়ে মতপার্থক্য ছিল, কিন্তুু যে-কোনো সংজ্ঞানুযায়ী মুআবিয়া (রাঃ)-সাহাবীর মর্যাদা লাভ করেছিলেন। তার কোনো কোনো ব্যক্তিগত কাজ
দেখার বিষয়, কিন্তুু সামগ্রিকভাবে তাঁর খেদমত ও পুরস্কার নিশ্চিত ব্যাপার।
(প্রাগুপ্ত, পৃষ্ঠা-২২)
৯. হযরত মুআবিয়া (রাঃ) যথার্থই বিপুল গুনের অধিকারী ছিলেন। তার সাহাবী হওয়ার মর্যাদাও অতীব সম্মানার্থ। তিনি মুসলিম জাহানকে পুনরায় এক পতাকাতলে সমবেত করেন এবং বিশ্বে ইসলামের বিজয়ের গতি পূর্বের চেয়েও দ্রুত করেন। তাঁর এসব খেদমত অনস্বীকার্য।
(খেলাফত ও রাজতন্ত্র, প্রাগুপ্ত, পৃষ্ঠা-১৫২)
<খেলাফত ও রাজতন্ত্র >
সাইয়িদ মাওদূদী মারহূমের এক অমর কীর্তি। খেলাফত ও রাজতন্ত্র বইটি একটি ভলিউম বই। উৎসাহীদের বইটির হার্ড কপি কেনা, পড়া ও সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এটা ইসলামের ইতিহাসের একটি সামগ্রিক পর্যালোচনা। ইসলামী রাষ্ট্রের সংবিধান থেকে শুরু করে একেবারে ইসলামী খেলাফত, পরবর্তীতে খেলাফত কিভাবে রাজতন্ত্রে পরিণত হলো, ইমাম হানীফা রাহমাতুল্লাহ আলাইহ কিভাবে তাকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছেন তার বিশদ আলোচনা ও পর্যালোচনা রয়েছে এ সুবিশাল গ্রন্থটিতে। এটি অত্যন্ত তত্ত্ব ও তথ্যবহুল প্রামাণ্য গ্রন্থ।
0 Comments