Recent Tube

বাংলাদেশে হাদীস অস্বীকারকারী কুফুরি মতবাদ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে এমন ১২ জন লোকের পরিচয়: সম্পাদনা: খসরুজ্জামান নূর সাদাত ও মাওলানা ইসমাইল খাঁন।



 বাংলাদেশে হাদীস অস্বীকারকারী কুফুরি মতবাদ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে এমন ১২ জন লোকের পরিচয়: 

১। পান্না চৌধুরী: অবস্থান করে বাংলাদেশে, চলেফেরা ইহুদিদের সাথে, শিক্ষিত মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। হাদীসের প্রতি বিদ্দেষী, হাদীস অস্বীকারকারী এবং সে কুরআনের মিরাজের আয়াতকেও অস্বীকারকারী। এ হচ্ছে ইহুদি গুপ্তচর। 

২। আবু সাইদ খান: বাংলাদেশেই অবস্থান করে। হাদীস নিয়ে কটাক্ষ করে, হাদীস অস্বীকার করে, হাদীস নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে এবং মানুষকে শুধুমাত্র কুরআন মানার দাওয়াত দেয় এবং আলেমদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ায়, সাহাবায় কেরামের প্রতি কুটু মন্তব্যকারী এবং রাসুল ও রাসুলের আহলে বাইতের প্রতি কুটু মন্তব্যকারী। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একাধিক বই লিখেছে সেগুলো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের কাছে বিতরণ করে বেড়ায় এবং নিজের বই বিক্রি করে খায়। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আলেম ওলামাদেরকে বিরক্ত করে এবং সাধারণ মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করে। 

৩। অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক: রাজশাহীতে একটা মসজিদের খতীব এবং একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ। সে কুরআনের তাফসির লিখেছে যা গোটা তাফসির টাই বিভ্রান্তিকর। তার কাজ খুতবায় এবং ওয়াজ মাহফিলে হাদীসের বিরুদ্ধে কথা বলা, হাদীস এর ব্যাপারে সংশয় সৃষ্টি করা এবং হাদীস অস্বীকার করা। শুধু কুরআন মানার দাওয়াত দেয়।

৪। সজল রওশন: একজন মুর্খ মোটিভেশনাল বক্তা, যে ফেসবুকে ইউটিউবে বক্তব্য দিয়ে বেড়ায়। বই লিখছে হাদীসের বিরুদ্ধে, বই বিক্রি করে খায়। আরবি না জানা একজন জাহেল বই লিখেছে হাদীসের বিরুদ্ধে।  কুরআনের অপব্যাখ্যাকারী এবং রাসুলের হাদীস অস্বীকারকারী, সাহাবায় কেরামের প্রতি কুটু মন্তব্যকারী, রাসুলের অবমাননাকারী। সে যুবক যুবতীদের অনলাইনে বক্তব্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করছে। 

৫। মুরাদ বিন আমজাদ: এক সময় ইসলামের বিধিবিধান মেনে চললেও এখন সে নিজেই পথভ্রষ্ট হাদীস অস্বীকারকারী। যদিও শুরু থেকেই তার বিভিন্ন ব্যাপারে সমস্যা ছিল, এরপরো এক সময় হাদীস অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে বাহাস করতো এখন সে নিজেই হাদীস অস্বীকার কারী। এবং মানুষকে হাদীস অস্বীকার এর দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে বক্তব্য ও লিখনির মাধ্যমে। 

৬। মোঃ আমিরুল ইসলাম: পেশায় একজন স্কুলের শিক্ষক। ইলম কালামে একবারেই জাহেল। বাংলা অনুবাদ পড়ে পন্ডিত বণে যাওয়া একজন পথভ্রষ্ট হাদীস অস্বীকারকারী। বই লিখছে হাদীসের বিরুদ্ধে যেই বইটা নবী এবং সাহাবায়ে কেরাম এবং ইমামদের শানে অবমাননার ভরপুর। একদম অকথ্য ভাষায় লিখা একটি নিকৃষ্ট মানের বই এর লিখক। হাদীসের প্রতি বিদ্দেষী এবং হাদীস অস্বীকারকারী কুরআনের অপব্যাখ্যাকারী, আলেম ওলামা বিদ্বেষী। সেও বক্তব্য লিখনির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। 

৭। মাহবুবুর রহমান যশোরী: অনলাইনে বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। স্ব-ঘোষিত মুফতি, মুফাসসির, মুহাদ্দিস। কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যাকারী। মানুষকে সেবা দেয়ার নামে হাদীস অস্বীকারের কুফুরি মতবাদ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। 

৮। ডাক্তার মতিয়ার রহমান: কুরআনের আধুনিক অনুবাদকারক, পথভ্রষ্ট ডাক্তার যার কুরআনের অনুবাদের ভিতরে বিভ্রান্তিতে ভরপুর। যিনি ডাক্তার হয়ে নিজেকে বিশাল পন্ডিত মনে করেন। তিনি সরাসরি হাদীস অস্বীকার করেনা তবে কমনসেন্সের এর কথা বলে, যুক্তি মতো না হলে, নিজের আকল/বিবেক অনুযায়ী না হলে হাদীসকে মানতে চায়না।  হাদীসকে মনগড়া উসুল অনুযায়ী ব্যখ্যা করে। সনদ মতন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে। কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য। প্রথম দিকে তার অবস্থা এক রকম থাকলেও ইদানিং ঠেলায় পড়ে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তবে তার বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী তাকে সরাসরি হাদীস অস্বীকারকারী বলা যায়না। তবে সে হাদীস অস্বীকারের দরজা খুলেছে এবং তার আরো অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। 

৯। জাকারিয়া কামাল: একজন নিম্নমানের বক্তা, অনলাইনে বক্তব্য দিয়ে বেড়ায়। একজন মাদকাসক্ত, বিড়িখোড়। যিনি কুরআনের অপব্যাখ্যা করে সাইন্টিফিক তাফসির শিরোনামে বক্তব্য দিয়ে বেড়ায়। হাদীস অস্বীকারকারী। কুরআনের মনগড়া ব্যখ্যাকারী।  

১০। আক্কাস আলী: একজন মুর্খ বক্তা, নিম্ন মানের জাহেল। যিনি কুরআনের অপব্যাখ্যা করে এবং হাদীস অস্বীকার করে। কুরআনের আলোকে সালাত নামে মনগড়া সালাতের পদ্ধতি আবিস্কারক। অনলাইনে বক্তব্য দিয়ে এবং লিখনির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। 

১১। হাসান মাহমুদ কানাডা: একজন লেখক/সাংবাদিক যার কাছে কুরআন হাদিস এর জ্ঞান নেই। প্রবাসে অবস্থান করে রাসুলের হাদীসের ব্যাপারে বিদ্দেষী। সরাসরি হাদীস অস্বীকারকারী। অনলাইনে বক্তব্য এবং লিখনির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। হাদীসের উপরে সংশয় সন্ধেহ সৃষ্টি করে। এরা হচ্ছে ইহুদি খ্রিস্টানদের গুপ্তচর। 

১২। মেজর মোহাম্মদ আলী সুমন: সেনাবাহিনীর মেজর। নিজেকে অনেক বড় পন্ডিত মনে করে। হাদীস অস্বীকারকারী। হাদীস অস্বীকার এর দাওয়াত দিয়ে বেড়ায়। যদিও কুরআন হাদিস এর ব্যাপারে জাহেল মূর্খ। এভাবে দেশের সেনাবাহিনীর মাঝেও হাদীস অস্বীকার এর দাওয়াত ছড়িয়ে দিচ্ছে। 

হাদীস অস্বীকারকারীদের অপতৎপরতা:

এদের মাঝে কেউ কেউ দেশে অবস্থান করছে, আবার কেউ ইউরোপ আমেরিকার দেশে অবস্থান করছে। এদের টার্গেট হচ্ছে জেনেরাল শিক্ষিত মানুষ।  এরা ইন্টারনেটে বক্তব্য এবং লিখনির মাধ্যমে এদের ভ্রষ্টতার দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বই লিখেছে হাদীসের উপর আক্রমণ করে। এক্ষেত্রে তারা কুরআনের অপব্যাখ্যা করে, নিজেদের মনগড়া বুঝ অনুযায়ী কুরআন বুঝে। এছাড়াও তারা অনেক সময় হাদীসকেই ব্যবহার করে হাদীস অস্বীকার এর কাজে। এরা হাদীসের উপর সংশয় সৃষ্টি করে, বিভিন্ন হাদীসকে কুরআনের বিরুদ্ধে এনে সেট করে বলে থাকে হাদীস নাকি কুরআন বিরোধী। এদের মাঝেও অনেক বিষয় মতানৈক্য রয়েছে। এদের একেক গ্রুপ একেক রকমের কথা বলে। কেউ সরাসরি রাসুলের হাদীস অস্বীকার করে, আবার কেউ কিছু হাদীস মানে আবার কিছু হাদীস অস্বীকার করে। কেউ নিজেদেরক আকল বিবেকে না মিললে সেই হাদীস মানেনা। আবার কেউ কেউ বলে কুরআনের যা আছে সেটা মানবো, যা কুরআনে নেই সেটা মানবোনা। এভাবে তারা কুরআন হাদিস এর মাঝে একটা পার্থক্য তৈরি করে। এভাবেই দ্বীন সম্পর্কে  মুর্খ ও জাহেল লোকেদের মাঝে এরা নিজেদের ভ্রষ্টতা প্রচার করছে এবং জেনারেল শিক্ষিত মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আরো গুরতর বিষয় হচ্ছে এরা আলেম ওলামা বিদ্বেষী। এরা আলেমদের প্রতি খারাপ মন্তব্য করে এবং সাধারণ মানুষকে আলেম বিমুখ করার চেষ্টা করে। কোন সন্ধেহ নেই এটা অমুসলিমদের একটা চক্রান্ত যা মুসলিম সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। হাদীস অস্বীকারকারীদের সাথে ইসলাম বিদ্দেষী ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের একটা যোগসূত্র রয়েছে। দুঃখের বিষয় হলো এদের কেউ অমুসলিম পরিবারের সন্তান নয়। এরা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করা মানুষ এবং এরাও নিজেদেরকে মুসলিম বলে মনে করে। কিন্তু তাদের মনে করাতে কি আসে যায়?? রাসুলের হাদীস অস্বীকার করে নিজেকে মুসলিম বলে কিভাবে?? হাদীস অস্বীকারের ফিতনা আজ নতুন নয়, বরং এটা বহু প্রাচীন ফিতনা। যা যুগে যুগে এসেছে এবং ওলামায় কেরামের প্রতিরোধের মুখে আবার বিলিন হয়ে গেছে। 

হাদীস অস্বীকারকারীদের বিপরীতে আমাদের করণীয়:

প্রথম কথা হলো কুরআন হাদিস এবং আলেম ওলামাদের ঐক্যমতে হাদীস অস্বীকারকারীরা কাফের। সারা পৃথিবীর আলেম ওলামা হাদীস অস্বীকারকারীদের কাফের বলে মনে করে। তাই আমাদেরকে কুরআন হাদিস থেকে সুন্নাহ এর গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে,  হাদীস অস্বীকারকারীদের সংশয় এবং বিভ্রান্তি গুলোর যথাযথ  জবাব প্রদান করতে হবে। কুরআন এবং হাদীস থেকে। জুমু'আর খুতবা বা ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য ও লিখনির মাধ্যমে এদের জবাব দেয়া। সাধারণ মানুষকে এদের বিভ্রান্তির ব্যাপারে সতর্ক করা। এদের বিভ্রান্তি গুলো জবাব দিয়ে বই লিখা। হাদীস অস্বীকারকারীদের ইতিহাস এবং উত্থান সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে।  বিশুদ্ধ আকিদা মানহাজের দাওয়াত প্রচার এবং প্রসারে আমাদেরকে আরো বেগবান হতে হবে। ঈমান ও ইসলাম বিধ্বংসী মতবাদের ব্যাপারে মানুষেকে সচেতন করতে হবে।  

২য় কথা হলো যে কাদিয়ানীদের মতো হাদীস অস্বীকারককারীদেরকে সারা পৃথিবীর আলেম ওলামা মিলে কাফের ফাতাওয়া ঘোষণা করতে হবে এবং তা ব্যাপকভাবে প্রচার প্রসার করতে হবে।  

যেহেতু এটা একটা ঈমান বিধ্বংসী মতবাদ তাই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোশকতায় আলেমদেরকে সাথে নিয়ে এই ফিতনা দমন করতে হবে। হাদীস অস্বীকারকারী কুফফারদের দাওয়াতকে প্রতিহত করতে হবে। এদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

[পোস্টটি কপি করে নিজের টাইম লাইনে শেয়ার করে ঈমানভঙ্গকারী হাদীস অস্বীকারের ফিতনা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা আপনার ঈমানী দায়িত্ব]

Post a Comment

0 Comments