আশূরায়ে মুহাররমের ইতিহাস ও সমাজে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাসমূহ ✓ ড.কাবীরুল ড. ছাকিব শরীফুল ইসলাম মাদানী
https://youtu.be/kpETsqAtAs0
☑ আশুরার রোযা কবে, আশুরার রোযা কয়টি এবং আশুরার রোযার ফজিলতঃ
🔈আশুরার রোযা কবে ও কয়টি :
১০ই মহররম (২৯ জুলাই ২০২৩) আশুরার দিন। আশুরার রোযা দুইটি। ০৯ ও ১০ই মহররম, অথবা ১০ ও ১১ই মহররম।
অর্থাৎ ২৮ ও ২৯ জুলাই অথবা ২৯ ও ৩০ জুলাই ২০২৩
একটি রাখলে ইহুদীদের সাদৃশ্য হবে তাই অবশ্যই দুটি রাখতে হবে ✅
🔈রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, আগামী বছর বেঁচে থাকলে আমি অবশ্যই ৯ই মহররম সহ সিয়াম রাখব। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইনশাআল্লাহ আমরা ৯ই মহররম ও ১০ই মহররম সহ সিয়াম রাখব। রাবী বলেন, কিন্তু পরের বছর আসার আগেই রাসুল (সঃ) এর ইন্তেকাল করেন। [ সহীহ মুসলিম হাদিস নং - ১১৩৪ ] 
তখন শুধু আশুরার দিনে রোযা রাখার কারণে ইহুদীদের সাথে মিলে যাচ্ছিল, তখন রাসুল (সঃ) এই হাদিসটি পেশ করেন। এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় আশুরার রোযা দুইটি। আশুরার দিন অথবা আশুরার আগেরদিন, ও আশুরার দিন অথবা আশুরার পরের দিন, এভাবে রাখতে হবে। 
🔈আশুরার রোযা, ৯ ও ১০ ই মুহররম যেমন রাখা যায়, তেমনি ১০ ও ১১ তারিখও রাখা যায়। উভয় অবস্থারই দলীল বিদ্যমান রয়েছে। তবে ৯ ও ১০ই মহররম উত্তম।
হাদীসে এসেছে:
قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” صُومُوا يَوْمَ عَاشُورَاءَ، وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا، أَوْ بَعْدَهُ يَوْمًا 
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: তোমরা আশুরার রোযা রাখবে ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে, আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ।
 [ মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২১৫৪, ১/২৪১ ]
🔈আশুরার রোযার ফজিলতঃ 
আশুরার দিবসের রোযা এতটাই ফযীলতপূর্ণ যে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দিবসের খোঁজ রাখতেন এবং এর ফযীলত লাভের জন্য রোযা রাখতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.-কে আশুরার রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন-
مَا عَلِمْتُ أَنّ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ صَامَ يَوْمًا يَطْلُبُ فَضْلَهُ عَلَى الْأَيّامِ إِلّا هَذَا الْيَوْمَ وَلَا شَهْرًا إِلّا هَذَا الشّهْرَ. يَعْنِي رَمَضَانَ.
আমার জানা মতে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য দিবসের রোযার তুলনায় আশুরার রোযার ফযীলত লাভের জন্য বেশি উদগ্রীব থাকতেন। তেমনি অন্য মাসের তুলনায় রমযান মাসের রোযার ব্যাপারেও। 
[ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১১৩২, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-২৩৭০ ]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আশুরার রোযার ফযীলত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন-
يُكَفِّرُ السّنَةَ الْمَاضِيَةَ.
আশুরার রোযা বিগত এক বছরের গুনাসমূহের কাফফারা হয়ে যায়। [সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২]
অন্য বর্ণণায় এসেছে আশুরার রোযা এক বছর রোযা রাখার সমান। [ ইবনে হিব্বান-৩৬৩১ ]
উপস্থাপকঃ
ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব পরিচালক, গবেষণা বিভাগ, হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
 আলোচক:
ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, 
সহকারী সম্পাদক, মাসিক আত-তাহরীক।
 শরীফুল ইসলাম মাদানী
দাঈ, আল-ফুরকান দাওয়া সেন্টার,বাহরাইন।
    যে সব বিষয়ে আলোচনা থাকছে :
 ১. আশুরায়ে মুহাররমের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতেচাই।
 ২.আশুরা উপলক্ষে আমাদের দেশে যেসব রীতি নীতি পালিত হয় তা কতটুকু শরীআত সম্মত?
 ৩.আশুরার দিন হুসায়েন (রাঃ) হত্যাকাণ্ডে শীআরা ইয়াযিদকে দায়ী করে। এটি কতটুকু ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত?
 ৪. আশুরার সাথে কারবালার কোন সম্পর্কে আছে কি না।
 ৫.আশুরার ফযীলত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) কি বলেছেন? আশুরা উপলক্ষ্যে আমাদের করণীয় কি?
৬.আশুরা সম্পর্কে যে সকল ভুল ধারণা রয়েছে, তা দূরিকরণে আমাদের ভূমিকা কি হবে?
 
 

 
 
 
0 Comments