Recent Tube

মুসলিম কারা এবং কারা আমাদের দ্বীনি ভাই.? সম্পাদনায়ঃ এসকে জয়নাল আবেদীন।


 মুসলিম কারা এবং কারা আমাদের দ্বীনি ভাই.?
 _______________________________________

 যারা সালাত আদায় করে তারাই আমাদের   দ্বীনি ভাই  দলিল, সুরা তাওবা আয়াত ১১/  

 এবং তারাই মুসলিম। 
 দলিল মিসকাত হাদিস নং ১০৭২-১১৫৩/ 

 তাই যে সালাত পড়ে সেই মুসলিম এবং সেই   আমাদের দ্বীনি ভাই। আর যে সালাত পড়েনা   সে আমাদের দ্বীনি ভাইও নয় এবং সে   মুসলিমও নয়।

 মুসলিম এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্য কি.?
 ______________________________________

 মুসলিম এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হলো   সালাত।অর্থাৎ যে সালাত পড়ে সে মুসলিম   আর যে সালাত ছেরে দেওয়া কুফুরি জেনে   বুঝেও সালাত পড়েনা ছেড়ে দেয় সে কাফের। 
 দলিল মিসকাত হাদিস নং ৫৬৯/ আবু দাউদ   ৪৬৭৮/ তিরমিজি ২৬২০/

 সালাত ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কুফুরি।
 ____________________________

 সালাত ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কুফুরি অর্থাৎ   সালাত ছেড়ে দেওয়া কুফুরি জেনে বুঝেও এই   জ্ঞ্যান থাকা অবস্থায় যদি কেউ ইচ্ছাকরে   সালাত ছেড়ে দেয়, তাহলে সে কাফের হয়ে   যাবে ।
 দলিল তিরমিজি হাদিস নং ২৬২১/ ইবনে   মাহাহ হাদিস নং ১০৭৯/

  সালাত ছেড়ে দেওয়া শির্ক।
 ______________________________

 সালাত ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে শির্ক, তাই যে   সালাত ছেড়ে দিবে সে মুশরিক হয়ে যাবে। 
 দলিল ইবনে মাজাহ হাদিস নং ১১৮০/ সহীহ   তারগিব হাদিস নং ৬৬৫- ১৬৬৭/
 ===============================

 যে ব্যাক্তি মুমিন থাকেনা।
 ___________________________

 যে ব্যাক্তি সালাত ছেড়ে দিবে মুমিন থাকেবেনা।

 সালাত ছেড়ে দেওয়া কুফুরি জেনে বুঝেও এই   জ্ঞ্যান থাকা অবস্থাও যদি কেউ সালাত না   পড়ে, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে, অর্থাৎ সে   মুমিন থাকবেনা। 
 দলিল তিরমিজি হাদিস নং ২৬২১/ ইবনে   মাহাহ হাদিস নং ১০৭৯
 আরো দলিল মিসকাত হাদিস নং ৫৬৯/ আবু   দাউদ ৪৬৭৮/ তিরমিজি ২৬২০/ 

 একজন ব্যাক্তির উপর কাফের মুশরিক হুকুম   কখন জারি হবে.??
_________________________

 সবশেষে একটা কথা সবার মনে রাখা উচিত  যে,
সালাত ছেড়ে দেওয়া কুফুরি এবং শির্ক এটা বুঝানোর পরও যদি কেউ জেনে বুঝে এই জ্ঞ্যান থাকা অবস্থায় এক ওয়াক্তও সালাত(নামাজ) ছেড়ে দেয়, তাহলে তখন তার উপর কাফের মুশরিক হুকুম জারি হবে, অর্থাৎ তাকে কাফের মুশরিক বলা যাবে, এছারা নয়। 

 কেউ সালাত ছেড়ে দেওয়া কুফুরি এবং শির্ক   এই জ্ঞ্যান না থাকা অবস্থায় এবং এটা না   জেনে না বুঝে যদি সালাত ছেড়ে দেয়, তাহলে   তাকে সরাসরি কাফের বলা যাবেনা।
 কারন, অজ্ঞতা(মুর্খতা)অবস্থায় কোনো   লোকের উপর কোনো হুকুম জারি (কার্যকারী)   করা হয়না বা করা যাবেনা। 
 দলিল সুরা আহযাব আয়াত ৫/ সুরা নাহল ১০৬/
 ইবনে মাজাহ হাদিস নং ২০৪৫/ (ইবনে   হিববান, সহীহ মাওয়ারিদ ৯০৬নং, হাকেম,   মুস্তাদ্রাক ১/৪৩০, ইরওয়াউল গালীল,   আলবানী ৪/৮৭)

 তাই আমাদের দেখতে হবে যে বেনামাজি   সালাত ছেড়ে দেওয়া কুফুরি এবং শির্ক এটা   সে  জানে কিনা, যদি না জেনে থাকে, তাহলে  তাকে এর দাওয়াত দিতে হবে।

 আর স্পষ্ট প্রোমান ছাড়া কাউকে কাফের বলা   যাবেনা, কারন যাকে কাফের বলা হচ্ছে সে   যদি কাফের না হয়, তাহলে যে বলেছে   কাফের  সে কাফের হয়ে যাবে।
 [ সহীহ বোখারী ৬০৪৫ ]

 সবশেষে কথা হচ্ছে, সালাত ছেড়ে দেওয়া   কুফুরি এবং শির্ক এটা না জেনে না বুঝে এবং   ঈমান ধংসের কোনো কাজ না করে যদি কেউ   মুসলিম দাবি করে সালাত অলসতা গাফলতি   করে ছেড়ে দেয়, তাহলে সে হবে মহাপাপি   এবং  মুনাফিক। 

 তবে সালাত ছেড়ে দেওয়ার পরিনাম হচ্ছে   জাহান্নাম। [সুরা মুদ্দাসসির আয়াত ৪৩-৪৪]

 সালাত পরিত্যাগের হুকুম। 
 -------- বিস্তারিত উপরে। 

Post a Comment

0 Comments