সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু এবং আরবের মুশরিকদের মাঝে পার্থক্য:
ক. আরবের মু শরিক আর হি ন্দু মু শরিকদের মাঝে পার্থক্য:
লেখক: আব্দুল মালেক বিন আহমদ মাদানি
কারো ব্যাপারে কিছু লেখা ও বলার ক্ষেত্রে অবশ্যই সে বিষয়ে জানা জরুরি। আশা করি, এই লেখার মাধ্যমে ভুল সংশোধন হবে।
তাহলে আসুন, আরবের মু শরিক আর সনাতন ধর্মালম্বী হি ন্দুদের মাঝে কিছু মৌলিক পার্থক্য জানার চেষ্টা করি।
১. আরবের মু শরিকদের শিরক হি ন্দুদের শিরকের চাইতে হাজারগুন ভালো। কারণ:
২. আরবের মু শরিকরা মূ র্তি পূ জা করলেও বিপদের সময় একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তায়ালাকে ডাকত। যা কুরআনুল কারিমে এসেছে। [দেখুন সূরা আনকাবুত: ৫৬] অন্যদিকে হি ন্দুরা সর্বাবস্থায় তাদের দেব-দেবীদের ডাকে।
৩. আরবের মু শরিকরা সৃষ্টিকর্তা রিজিক দাতা, মৃত্যু দাতা তথা পালনকর্তা হিসেবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকেই মানত। বদরের প্রান্তরে আবু জাহেলের দুয়া তার প্রমাণ।
[দেখুন: আনকাবুত: ৬১ ও ৬৩, সূরা লোকমান: ২৫, সূরা যুমার: ৩৮, সূরা যুখরুফ: ৮৭]
৪. আরবের মু শরিকরা মূ র্তি পূ জা করলেও মৃত্যুর পর পুনর্জীবনে বিশ্বাস করত না। কিন্তু হি ন্দু মু শরিকরা তাদের প্রায় সকলেই পুনর্জীবনে বিশ্বাস করে। যার ফলে তারা পশুপাখি ও জীবজন্তুরও পূ জা করে। কারণ তাদের ধারণা অনুযায়ী এই বাঘ, হাতি, কুকুর ইত্যাদি তাদেরই পূর্বসূরী কেউ। এর বিপরীতে আরবের
মু শরিকরা ছিলো সম্পূর্ণ আলাদা।
৫. আরবের মু শরিকদের পূ জা ছিল কেবল আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম যা কুরআনুল কারিমে বর্ণনা করা হয়েছে [সূরা যুমার: ৩]। আর হি ন্দুদের
পূ জা করা হয়, কেবল মাত্র তাদের দেব-দেবীদের উদ্দেশ্যে।
৬. আরবের মু শরিকরা নির্দিষ্ট কয়েকটি মূ র্তির
পূ জা করত [যেমন: লাত, উজ্জা, হুবল, মানাত, ইসয়াফ, নায়েলা সহ আরও কিছু]। কিন্তু হি ন্দু
মু শরিকরা অসংখ্য দেবদেবীর পূ জা করে। এমনকি গরু জীবজন্তু, গাছপালা এবং লিঙ্গেরও পূ জা করে।
৭. আরবের মু শরিকরা মূ র্তি পূ জা করলেও শুধু নারীদের বিয়ে করত। কিন্তু হি ন্দু মু শরিকরা গাছ-গাছালীকেও বিবাহ করে এবং এক বৃক্ষকে আরেক বৃক্ষের সাথে বিয়ে দেয়। এমনকি বর্তমানের এই উন্নত জামানায় হি ন্দু সেলেব্রিটিদের কলাগাছের সাথে বিয়ে দেখা যায়!
৮. আরবের মু শরিকদের স্বাভাবিক ভাবে মাটিতে দাফন করা হতো। কিন্তু হি ন্দু মু শরিকদের লাশ (অধিকাংশ ক্ষেত্রেই) আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
সংক্ষিপ্তাকারে কয়েকটি পার্থক্যের মাধ্যমে জানা গেলো, আরবের মু শরিক আর হি ন্দু মু শরিকরা এক নয়। সুতরাং আরবের মু শরিকদেরকে হি ন্দুদের সাথে তুলনা করা অজ্ঞতা ও অযৌক্তিক।
★★ খ. মক্কার তদানীন্তন মু শরিকদের সাথে সনাতন ধর্মাবলম্বী হি ন্দুদের একটি বড়ো পার্থক্য:
- লেখক: মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
❝বাস্তবিক অর্থে হানিফিয়্যাহ তথা তাওহিদ সকল রসুলের ধর্ম। কিন্তু কুরআনুল কারিমে এ আদর্শকে কেবল ইবরাহিম আলাইহিস সালামের দিকে সম্পৃক্ত করার একটি অন্যতম কারণ— আমাদের নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদের মাঝে প্রেরিত হয়েছিলেন, তারা ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে চিনত। তাঁর দিকে সম্পৃক্ত করে নিজেদের পরিচয় দিত, তাঁকে দাদা হিসেবে গণ্য করত এবং নিজেদেরকে দাদার ধর্মের অনুসারী মনে করত। তাই দাদার অনুসরণ করে আল্লাহর একনিষ্ঠ শির্কমুক্ত বান্দা হওয়াই ছিল তাদের কর্তব্য। এজন্য অন্য নবিদের প্রতি হানিফিয়্যাহ ধর্মকে জুড়ে না দিয়ে ইবরাহিম নবির সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।❞
-------------------------
— সত্বর প্রকাশিতব্য কিতাব ‘শির্ক খণ্ডনের চারটি নীতি’ থেকে গৃহীত ও ঈষৎ পরিমার্জিত। উদ্ধৃত কথাগুলোর মূলভাব আল্লামা সালিহ আল-উসাইমিন হাফিযাহুল্লাহ-এর।
সংকলন ও সম্পাদনা:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
#abdullahilhadi
0 Comments