কোন ইসলামী দল আলেম ওলামা এমন কি আওয়ামীলীগ ও পাকিস্তান ভাঙ্গার পক্ষে ছিলনা।
২৫ মার্চ হানাদার বাহিনী ঢাকা আক্রমণ করলে মুক্তি যুদ্ধ শুরু হয়। তখন পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা নেজামে ইসলামীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। এখানে জামায়াত জমিয়ত খেলাফত আহলে হাদীস কোন পার্থক্য ছিলনা এবং দলীয় কোন সিদ্ধান্ত ও ছিলনা রাজাকার আলবদর বাহিনী গঠনের।
বেশীর ভাগ ইসলাম পন্থি দল ও ব্যক্তি পাকিস্তান ভাঙ্গার বিপক্ষে ছিলেন। এই হিসাবে কৌড়িয়ার সাহেব,ফুলতলী সাহেব, শায়খুল হাদীস আল্লামা নুরুদ্দিন গহরপুরী (রঃ) মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর (রহ)সহ অনেকেই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জেলে ছিলেন।
তখনকার সময়ে মুসলিম লীগ ছাড়া খেলাফতে রব্বানী পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম জামায়াতে ইসলামী,আহলে হাদীস মিলে ২২দফা শাসনতন্ত্র প্রণয়ন এর দাবীর পক্ষে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। যেটা ১৯৮৮ সালে বাংলা ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নামে গঠন করতে চেয়েছিলেন সকল ইসলামী দল মিলে। শুরুতেই নেতৃত্ব নিয়ে কাড়াকাড়ি করে চরমোনাই দখল করে নেয়।
১৯৫৪ সালে কিন্তু আল্লামা আতহার আলী (রঃ) আল্লমা শামসুল হক ফরিদপুরী (রঃ) মাওলানা সায়্যিদ আবুল আলা মওদুদী (রঃ) এর বাসায় গিয়ে পরামর্শ করেন শাসনতন্ত্র প্রণয়নের ব্যাপারে। সরকারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি খসড়া শাসনতন্ত্র প্রণয়নের দায়িত্ব মাওলানা মওদুদী রঃ এর উপর ন্যস্ত করলে মাওলানা মওদুদী রঃ তা পাল্টিয়ে জমিয়ত ও খেলাফতে রব্বানী পার্টির উপর ন্যস্ত করেন। শাসনতন্ত্র প্রণয়নের পর আবার মাওলানা মওদুদী রঃ এর বাসায় গিয়ে পরামর্শ করে এটি চূড়ান্ত করার তারিখ নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিলে তখনো তিনি বিনা শর্তে সম্মতি দিয়ে সকলের সুবিধা মোতাবেক তারিখ নির্ধারণে সম্মতি দেন। আমার মনে হয় আজো ইসলামী শক্তির কোন নির্বাচনী মোর্চা গঠন করতে গেলে জামায়াত দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম প্রতি পুর্ণ আস্থা রেখে এর চুক্তি তৈরীর দায়িত্ব দিয়ে দেয়ার উদার মানসিকতা রাখে।
চুড়ান্ত খসড়ার পর এই জোটের নাম করণ করা হয় নেযামে ইসলামী। আওয়ামীলীগ এই জোটে না থাকলেও মুল আওয়ামী মুসলিম লীগ এর সমর্থন ছিল। ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্টতা লাভ করায় পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে টাল বাহানা করে।
তখনো পাকিস্তান ভাঙ্গার পক্ষে আওয়ামীলীগ ও ছিলনা।
👇 নীচে দেখুন 👇
0 Comments