Recent Tube

বিতিকিচ্ছা-৭ " নুর মুহাম্মদ চৌধূরী (মোবিন)"

বিতিকিচ্ছা-পর্ব -৭ 
----------------------------------
এমন দিন হয়ে গেছে গত" 
যেদিন মিথ্যা বলে পার পাওয়া যেত। 
তবে মিথ্যা বলতো না লোকে। 
অন্তরে ছিল ভয় একদিন 
পাকড়াও হতে হবে তাকে?

      মধ্য যুগে সত্য বলাটা হয়ে যায় রীতিমত একটা পলিসি। ইংরেজী প্রবাদে যার স্বীকৃতি এই বলে "Honesty is the best policy." স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার এটা। সুতরাং মিথ্যা বলা নেহায়েৎ বোকামী ছাড়া আর কিছুই থাকেনি। সুযোগ থাকলে মিথ্যার বেশাতীর কোন বাধা ধরার দরকার নাই। মালিকের ধরা সেতো বিশাল ফারাক। সময়ের ব্যাপার। তার আগে টু-পাইস একটু কামাই করে নিয়ে ভিতটা একটু মজবুত করে নেয়া দরকার। আড়ালে আবডালে সত্যের কবর রচনা করে আখের গুছিয়ে নিতে ভুল করে এমন নির্বোধও কি থাকে। সময় মত তওবা করে ভাল হবার সুযোগ তো নেয়াই যাবে। 
     হাল আমলে কিন্তু মিথ্যা বলে ছাড় পাওয়া পুরোপুরিই এক দুরুহ ব্যাপার। তবে বাতি যখন নিভে যাবার উপক্রম হলো তখন কিন্তু বেশুমার মিথ্যার ছড়াছড়ি জন জীবনকে কলংকিত করেই ছাড়লো। অবশেষে মিথ্যার খেসারত দিতে দিতে বাধ্য হয়েই শেষে চাতুরীর লাগামকে টেনে ধরতে বাধ্য হল আধুনিক সভ্যতার ধ্বজ্জাধারী ভদ্রজনেরা।
       সুতরাং মিথ্যা বলে এমন আহম্মক আজ পাওয়াই দায়। চারিদিকে সি,সি ক্যামেরা আর গুগুলের কল্যানে সবই এখন স্পষ্ট। মিথ্যাকে ধরার জন্য কর্তৃপক্ষের পাতানো ফাঁদে সবই আজ ধরাশায়ী। এতএব মিথ্যা বলাটাই এখন বিশম দায়, বলতেকি প্রায় অসম্ভব। আজকাল অফিস কামাই করি কোন পথে? বুড়ো আঙ্গুলের চাপে অফিসের হাজিরা নিলেতো আগের দিনের প্রক্সিটা অসম্ভব হয়েই যায়। চার দেয়ালের ভিতরে থেকেও সকলেই যেন আজ সকলের দৃষ্টি সীমায়।
      কিন্তু সকল যুগেই কতক সত্যবাদী লোক ছিল। তারা তাদের মালিকের সম্মুখে একদিন দাঁড়ানোর ব্যাপারকে এড়িয়ে যেতে পারেনি কখনও। ওরা আছে আজও। পৃথিবীটা কিন্তু টিকে আছে এই সমস্ত ঈমানদার আল্লাহর বান্দাদের জন্য।
        ইদানিং কিন্তু চুরি ডাকাতিও প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রযুক্তির কল্যানে আজ চুরি, ছিনতাই করে ধরা পড়ে যাওয়া এখন আর সময়ের ব্যাপার নয়। সুতরাং চুরি করে, ডাকাতি করে এমন বোকাও আবার আছে নাকি কোথাও।
       তাই বলে অপরাধ প্রবণ জন্তু গুলো কিন্তু নিরব নিথর হয়ে বসে থাকে নাই। তারাও প্রযুক্তির অপ-ব্যাবহারের মাধ্যমে নতুন নতুন অপরাধের জন্ম দিতে কসুর করছে না। মাঝে মধ্যে সভ্যতার সমুহ প্রযুক্তিকে হ্যাঁক করে দিয়ে অগ্রসর হয় তাদের ধ্বংসন্মোখ কর্মযজ্ঞ। তখন মুখ থুবড়ে পড়ে রয় সভ্যতার চাকা।
        এরপর আর কিভাবে সামাল দিবেন জাতিকে? অদৃশ্যে বিশ্বাস, এক ও অবিনশ্বর উর্ধ্ব, অধো জগতের মালিকের সামনে স্বীয় হিসাবের খাতা নিয়ে হাজির হতে হবে একদিন। সামাল দেবার পদ্মতিতো এই একটিই।হে আল্লাহ "যাবতীয় সৎকাজ যেন একমাত্র আপনার সন্তুষ্টির জন্যই আঞ্জাম দেই, আর একমাত্র আপনার ভয়েই যেন তাবৎ অশ্লীলতা তথা গোমরাহী থেকে বেঁচে থাকি" এই তৌফিক চাই। আমিন।

Post a Comment

0 Comments