Recent Tube

রোযা অবস্থায় ভুলক্রমে খাবার খেলে: মুহাম্মদ তানজিল ইসলাম।

রোযা অবস্থায় ভুলক্রমে খাবার খেলে:

     এক দিন রোযা থাকা অবস্থায় আমার খুবই খিদে পায়। আমি যে রোযাদার, রোযা আছি এ কথা আমার স্মরণ নাই। তাই ক্ষুধা মিটাতে নিজেই খাবার তুলে নিয়ে খেতে শুরু করি। খেতে খেতে আমার প্রচণ্ড পিপাসা পায়। পিপাসা মিটাতে পানি পান করার জন্য পানি হাতে নিয়ে মুখে তুলি। এমনতাবস্থায় আমার রোযার কথা মনে পড়ে যায় এবং সে হাদীসটিও স্মরণ হয়, যা আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, 
قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم «مَنْ أَكَلَ نَاسِيًا وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللهُ وَسَقَاهُ».
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন "কোন রোযাদার ভুলক্রমে আহার করলে সে যেন তার রোযা পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহ্ তাকে আহার ও পানাহার করিয়েছেন।" (সহীহ বুখারী হাঃ ১৯৩৩, ৬৬৬৯,সহীহ মুসলিম হাঃ ১১৫৫, জামে তিরমিযী হাঃ ৭২১, ইবনে মাজাহ হাঃ ১৬৭৩, মুসনাদে আহমদ হাঃ ৮৮৯১, ৯২০৫, ৯৯৯৬, ১০২৮৭, দারেমী হাঃ ১৭২৬)

    সুতরাং আমি নিশ্চিত হলাম যে, আমার রোযা এখনও বহাল আছে। তাই এখন আহার ও পানাহার বর্জন করে আমাকে রোযা পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু আমার তো প্রচণ্ড তৃষ্ণা পেয়েছে এবং তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন যদি পানি পান করে তৃষ্ণা মিটাই তাহলে আমার রোযা শেষ। আর যদি পানি পান না করি তাহলে আমি শেষ। এক দিকে আমার রোযা, অন্য দিকে আমার পিপাসা! এ অবস্থায় আমি পিপাসায় অস্থির হয়ে যায় এবং ছটফট করতে করতে আমার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে জেগে ওঠে মনে মনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি এবং বলি যাক বাবা! যা হয়েছে তা স্বপ্নের মধ্যে ঘুমের ঘরে। ভাগ্যিস সত্যি সত্যি এমন ঘটনা ঘটেনি!
------------------------------------------------  
 লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা গবেষক ও      মাওলানা।       

Post a Comment

0 Comments