সুৃফিবাদের ক্রমবিকাশে
তাবলিগের ভূমিকা।
র্যাবের হাতে তাবলিগ জামায়াতের উগ্রবাদী যে বইগুলো আটক হয়েছে তাতে প্রথমে যে বইটি রয়েছে তার নাম হচ্ছে," জিন ও ফেরেসতাদের ইতিহাস।
পরের যে বইটি সেটির নাম হচ্ছে,"দুনিয়া বিমুখ শত মনীষী"দের ইতিহাস।
আজকের আলোচ্য বিষয় দ্বিতীয় বইটিকে নিয়ে।
এই বইতে সুফিবাদের কথা বলা হয়ে থাকবে।
মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইনের সংকলনে একটি আর্টিকেল পড়ছিলাম।সেখানে লেখা হয়েছে যে,"কম বেশী সকল মুসলমান সুফিবাদ শব্দটির সাথে পরিচিত। সুফিবাদ বা সুফি দর্শন যাকে আরবিতে বলা হয় সুফিয়াত বা তাসাউফ, আসলে এটি একটি মনগড়া আধ্যাত্মিক দর্শন। প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা বৈরাগ্যবাদের সাথে ইসলামের কিছু লেবাছ লাগিয়ে সুফিবাদ বা সুফিদর্শন ইসলামের অংশ হিসাবে চালান হচ্ছে। সূফীবাদ মূলত, ইরানী দর্শন, বেদান্ত দর্শন, গ্রীক দর্শন, জরথ্রোষ্ট দর্শন, হিন্দু দর্শন, বৌদ্ধ দর্শন ইত্যাদি থেকে ইসলামে অনুপ্রবেশ করেছে। ঐ দর্শনগুলোর সাথে ইসলামের আধ্যাত্মিকতার বিষয়গুলি মিলিয়ে তৈরি করা হয় সুফিবাদ। এ সূফী বাদ কুরআন ও সুন্নাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করে নাই, শুধু এ্রর উপর কুরআন ও সুন্নাহর লেভাচ লাগান হয়েছে মাত্র। তাই তো আলোচনায় দেখবের সুফিবাদতো দুরের কথা সুফি শব্দটি ও কুরআন ও সুন্নাহর কোথাও উল্লেখ নাই।
দুনিয়া ত্যাগের প্রেরণা থেকে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে হিজরী তৃতীয় শতাব্দীতে মা‘রেফাতের নামে ছূফীবাদের সূচনা হয়। প্রবল আল্লাহভীতি ও দুনিয়াত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনই হল প্রাথমিক সুফিবাদের মুল ভিত্তি। তারা ইবাদতে খুবই বাড়াবাড়ি করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লকহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছাহাবায়ে কেরামের ও তাবেঈন যুগে যে সকল কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক আমল ছিল তা ছূফীদের নিকট পর্যাপ্ত মনে হয়নি, তাই তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লকহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈন এই তিনটি স্বর্ণযুগের আমলের চেয়েও শরীরকে অধিত কষ্ট দিয়ে, অধিক আমল করতে থাকে। তারা ইহাকে অতি পরহেযগারীর নামে প্রকাশ করতে শুরু করে, এবং তাবেঈগণ এসবের তীব্র প্রতিবাদ করেন। ফলে তারা মুলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, এবং পরবর্তীতে তাদের মধ্যে ব্যপক হারে ইসলামের মৌলিক আক্বীদা ও আমলে বিচ্যুত ঘটে। কুরআন সুন্নাহর আমলকে পর্যাপ্ত মনে না করে, তারা ইসলাম বহির্ভুত আমলে প্রতি আকৃষ্ট হয়। বৈরাগ্যতা অর্জনের জন্য তত্কালিন রোমান ও পারশিকদের রেখে যাওয়া ধর্ম বিশ্বাস কে পুজি করে নতুন আমল শুরু করে এবং পরবর্তিতে গ্রীসদের যুক্তিবিদ্যা, হিন্দু সন্ন্যাসিবাদ, খ্রিষ্টানদ বৈরাগ্যবাদ, বৌদ্ধ ধ্যানের সংমিশ্রনে তৈরি হয় সুফিবাদ।
সুফিবাদ শব্দটি কোন ইসলামিক গ্রন্থ বা কোন সুফিদের কাছ থেকে আসেনি। কারো কারো মতে শব্দটি এসেছে প্রাচ্যের ভাষা বিষয়ক বিট্রিশ গবেষকদরে থেকে। সাধারনত সুফিদের আধ্যাত্বিক সাধনাকে কেন্দ্র করে যে সকল আমল এবং আকিদার জম্ম হয়েছে তাকে সুফিবাদ বলে। আবার সুফিদের আধ্যাত্বিক সাধনাকে প্রকাশ করার জন্য তাসাউফ শব্দটিও ব্যবহার করে থাকি। তাসাউফ বা আধ্যাত্বিকতা ইসলামেরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও সুফিদের বিকৃত উপস্থনা ইহার আমল ও বিশ্বাস কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।"
সুফিবাদের ক্রমবিকাশ ও উৎপত্তি কিভাবে হল এবং মুসলিম সমাজে এই শির্ক যুক্ত আমল কিভাবে প্রচার প্রসার লাভ করল তা জানতে সাথে থাকুন।
চলবে,,,,,
------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments