Recent Tube

ফরয সালাতের পরে সম্মিলিত মুনাজাত: একটি প্রচলিত বিদ'আত। - ইসলাম হাউজ ডটকম।

  ফরয সালাতের পরে সম্মিলিত মুনাজাত: একটি প্রচলিত বিদ'আত।

  ★আমাদের মুসলিম সমাজে যতগুলি বিদ’আত প্রচলিত আছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফরয সালাতের পর সম্মিলিত মুনাজাত। এই সম্মিলিত মুনাজাতের দলীল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে পাওয়া যায় না । কোন কোন বিদ’আত বছরে একবার করা হয় , কোন কোনটি হয়ত মাসে একবার , কোন কোনটি হয়তো সপ্তাহে একবার । কিন্তু সম্মিলিত মুনাজাত এমন এক বিদ’আত যা প্রতিদিন পাঁচবাব করা হয় । সুতরাং এর থেকে দুরে থাকতে হবে ।

 হাদীসে বর্ণিত ফরয সালাতের পর পঠিতব্য দুআ ও যিকিরগুলো এককী পড়তে হবে, দলবদ্ধভাবে নয় । কারণ, হাদীসে এ ক্ষেত্রে পঠিতব্য দুআগুলো প্রায়ই সবই এক বচনের শব্দে এসেছে । দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় সকল মুসলিম জনগণ (আলিম ও সাধারণ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক সালাতের পর পঠিতব্য দুআর তালিকাটি আংশিক বা পুরোপুরি বাদ দিয়ে নিজেরাই বিভিন্ন দুআ নির্বাচন ও সংযুক্ত করেছে। এর সাথে আরো যোগ করেছে দলবদ্ধ ও সম্মিলিত রুপ । ফলে সালাতের পরে দুআর নামে সম্মিলিত মুনাজাতের মাধ্যমে অনেকগুলো সুন্নাত উৎখাত হয়েছে । প্রথমতঃ যে সুন্নাতটি উঠেছে সেটা হল, ফরয সালাতের পর যে নির্দিষ্ট কিছু দুআ ও যিকির রয়েছে এটার জ্ঞানই অধিকাংশ লোকের নেই । যার জন্য ওগুলো কন্ঠস্থ করার সুযোগ তাদের হয়নি । ঐ সকল দুআ ও যিকির সম্বলিত হাদীসগুলো পড়ার কিম্বা ইমাম সাহেবের মাধ্যমে শোনার অবকাশ হয়নি বা নেই ।

★ফরয সালাতের পরে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দু’আ করা সম্বদ্ধে পৃথিবীর শ্রেষ্ট আলেমদের অভিমতঃ★

★(১) আহমাদ ইবনু তাইমিয়াহ (রাঃ) কে ফরয সালাতের পর ইমাম মুক্তাদি সম্মিলিতভাবে দু’আ করা জায়েয কি-না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন , “সালাতের পর ইমাম মুক্তাদি সম্মিলিতভাবে দু’আ করা বিদ’আত।* রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে এরুপ দু’আ ছিল না । বরং তার দু’আ ছিল সালাতের মধ্যে । কারণ সালাতের মধ্যে মুসল্লি স্বীয় প্রতিপালকের সাথে নীরবে কথা বলে আর নীরবে কথা বলার সময় দু’আ করা যথাযথ” । 
( মাজমুআ ফাতাওয়া, ২২/ ৫১৯পৃঃ)

★(২) শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহঃ) বলেন, “পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত ও নফল সালাতের পর দলবদ্ধভাবে দু’আ করা স্পষ্ট বিদ’আত।* কারণ এরুপ দু’আ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে এবং তাঁর সাহাবীদের যুগে ছিল না । যে ব্যক্তি ফরয সালাতের পর  দলবদ্ধভাবে দু’আ করে সে যেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের বিরোধীতা করে ।
(হাইয়াতু কেবারিল ওলামা ১/২৪৪পৃঃ)
তিনি আরো বলেন , “ইমাম-মুক্তাদি সম্মিলিতভাবে দু’আ করার প্রমাণে রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে , কথা , কর্ম ও অনুমোদন ( কাওলী , ফে’লী , তাক্বরীরী) কোন হাদীস সম্পর্কে আমরা অবগত নই । আর একমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শের অনুসরণেই রয়েছে সম্স্ত কল্যাণ । সালাত আদায়ের পর ইমাম-মুক্তাদির দু’আ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ সুস্পষ্ট আছে , যা তিনি সালামের পর পালন করতেন । চার খলীফা সহ সাহাবীগণ এবং তাবেঈ গণ যথাযথভাবে তাঁর আদর্শ অনুসরণ করেছেন । অতঃপর যে ব্যক্তি তাঁর আদর্শের বিরোধীতা করবে , তাঁর আমল পরিত্যাজ্য হবে । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন , “যে ব্যক্তি আমার নির্দেশ ব্যতীত কোন আমল করবে , তা পরিত্যাজ্য ।” কাজেই যে ইমাম হাত তুলে দু’আ করবেন এবং মুক্তাদীগণ হাত তুলে আ-মীন আ-মীন বলবেন তাদের নিকট এ সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য দলীল চাওয়া হবে। অন্যথায় (তারা দলীল দেখাতে ব্যর্থ হ’লে) তা পরিত্যাজ্য।
 (হাইয়াতু কেবারিল ওলামা ১/২৫৭)

★(৩) শায়খ উছায়মিন (রহঃ) বলেন, সালাতের পর দলবদ্ধভাবে দু’আ করা বিদ’আত।* যার প্রমাণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ থেকে নেই । মুসল্লিদের জন্য বিধান হচ্ছে প্রত্যেক মানুষ ব্যক্তিগতভাবে যিকির করবে।
 (ফাতাওয়া উছায়মিন, পৃঃ ১২০)

★(৪) আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহঃ) বলেন , ফরয সালাতের পর হাত তুলে দু’আ করা ব্যতীত অনেক দু’আই রয়েছে।* (রফূস সামী , পৃঃ ৯৫)

★(৫) আল্লামা আব্দুল হাই লাক্ষনৌভী (রহঃ) বলেন , বর্তমান সমাজে প্রচলিত প্রথা যে,ইমাম সালাম ফিরানোর পর হাত উঠিয়ে দু’আ করেন এবং মুক্তাদীগণ আ-মীন , আ-মীন বলেন , এ প্রথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে ছিল না।
 (ফৎওয়া আব্দুল হাই, ১ম খণ্ড , পৃঃ ১০০)

★(৬) আল্লামা ইউসুফ বিন নূরী বলেন , অনেক স্থানেই এ প্রথা চালু হয়ে গেছে যে ফরয সালাতের সালাম ফিরানোর পর সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে মুনাজাত করা হয় যা রাসূল সাঃ হতে প্রমাণিত নয়।
 (মা’আরেফুস সুনান , ৩য় খণ্ড, পৃঃ ৪০৭)

★(৭) আল্লামা আবুল কাশেম নানুতুবী (রহঃ) বলেন, ফরয সালাতের সালাম ফিরানোর পর ইমাম মুক্তাদি সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা নিকৃষ্ট বিদ’আত। (এমদুদ্দীন , পৃঃ ৩৯৭)

★(৮) আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) বলেন , ইমাম পশ্চিমমুখী হয়ে অথবা মুক্তাদী গণের দিকে ফিরে মুক্তাদী গণকে নিয়ে মুনাজাত করা কখনও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তরীকা নয় । এ সম্পর্কে একটিও সহীহ অথবা হাসান হাদীস নেই। 
(ইবনুল কাইয়্যেম , যাদুল মা’আদ, ১ম খন্ড ,পৃঃ নং ১৪৯ ‘ফরয সালাতের পর দু’আ করা সম্পর্কে লেখকের মতামত’ অনুচ্ছেদ )

★(৯) আল্লামা মাজদুদ্দীন ফিরোযাবাদী (রহঃ) বলেন, ফরয সালাতের সালাম ফিরানোর পর ইমামগণ যে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করেন, তা কখনও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেননি এবং এ সম্পর্কে কোন হাদীসও পাওয়া যায় না।*
 (ছিফরুস সা’আদাত, পৃঃ২০)

★(১০) আল্লামা শাত্বেবী (রহঃ) বলেন, শেষ কথা হল এই যে, ফরয সালাতের পর সম্মিলিতভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও মুনাজাত করেননি, করার আদেশও দেননি । এমনকি তিনি এটা সমর্থন করেছেন, এ ধরনের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। (আল-ইতেসাম ,১ম খন্ড , পৃঃ ৩৫২)

★(১১) আল্লামা ইবনুল হাজ মাক্কী বলেন, নিঃসন্দেহে এ কথা বলা চলে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরয সালাতের সালাম ফিরানোর পর হাত উঠিয়ে দু’আ করেছেন এবং মুক্তাদীগণ আ-মীন , আ-মীন বলেছেন, এরুপ কখনও দেখা যায় না । চার খলীফা থেকেও এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না । তাই এ ধরনের কাজ, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেননি , তাঁর সাহাবীগণ করেননি , নিঃসন্দেহে তা না করা উত্তম এবং করা বিদ’আত।
 (মাদখাল, ২য় খন্ড , পৃঃ ২৮৩)

★(১২) মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) বলেন, ফরয সালাতের পর ইমাম সাহেব দু’আ করবেন এবং মুক্তাদীগণ আ-মীন আ-মীন বলবেন, এ সম্পর্কে ইমাম আরফাহ এবং ইমাম গারবহিনী বলেন , এ দু’আকে সুন্নাত অথবা মুস্তহাব মনে করা না জায়েজ।
 (ইস্তিবাবুদ দাওয়াহ পৃঃ৮)

★(১৩) মুফতী মুহাম্মাদ শফী (রাহঃ) বলেন , বর্তমানে অনেক মসজিদের ইমামদের অভ্যাস হয়ে গেছে যে , কিছু আবরী দু্’আ মুখস্থ করে নিয়ে সালাত শেষ করেই (দু’হাত উঠিয়ে ) ঐ মুখস্থ দু’আগুলি পড়েন । কিন্তু যাচাই করে দেখলে দেখা যাবে যে,এ দু’আগুলোর সারমর্ম তাদের অনেকেই বলতে পারে না । আর ইমামগণ বলতে পারলেও এটা নিশ্চিত যে , অনেক মুক্তাদী এ সম্স্ত দু’আর অর্থ মোটেই বুঝে না । কিন্তু না জেনে না বুঝে আ-মীন, আ-মীন বলতে থাকে । এ সমস্ত তামাশার সারমর্ম হচ্ছে কিছু শব্দ পাঠ করা মাত্র । প্রার্থনার যে রুপ বা প্রকৃতি , তা এতে পাওয়া যায় না।(মা’আরেফুল কুরআন , ৩য় খন্ড , পৃঃ ৫৭৭) তিনি আরো বলেন , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেঈনে ইযাম হ’তে এবং শরীয়তের চার মাযহাবের ইমামগণ হ’তেও সালাতের পরে এ ধরনের মুনাজাতের প্রমাণ পাওয়া যায় না । সারকথা হ’ল, এ প্রথা পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসের প্রদর্শিত পন্থা ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শের পরিপন্থি। (আহকামে দু’আ , পৃঃ ১৩)

★(১৪) মুফতী আযম ফয়যুল্লাহ হাটহাজারী বলেন , ফরয সালাতের পর দু’আর চারটি নিয়ম আছে । (১) মাঝে মাঝে একা একা হাত উঠানো ব্যতীত হাদীসে উল্লিখিত মাসনুন দু’আ সমূহ পড়া । নিঃসন্দেহে তা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত । (২) মাঝে মাঝে একা একা হাত উঠিয়ে দু’আ করা । এটা কোন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয় । তবে কিছু যঈফ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত । (৩) ইমাম ও মুক্তাদীগণ সম্মিলিতভাবে দু’আ করা । এটা না কোন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত , না কোন যঈফ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত । (৪) ফরয সালাতের পর সর্বদা দলবদ্ধভাবে হাত উঠিয়ে প্রার্থনা করার কোন প্রমাণ শরীয়তে নেই । না সাহাবী ও তাবেঈদের আমল দ্বারা প্রমাণিত , না হাদীস সমূহ দ্বারা , সহীহ হোক অথবা যঈফ হোক অথবা জাল হোক । আর না ফিক্বাহ এর কিতাবের কোন পাতায় লিখা আছে। এ দু’আ অবশ্যই বিদ’আত।  (আহকামে দু’আ , পৃঃ ২১)

★(১৫) পাকিস্থানের বিখ্যাত মুফতী আল্লামা রশীদ আহমাদ বলেন , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পাঁচবার প্রকাশ্যে জামা’আত সহকারে পড়তেন । যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও সম্মিলিতভাবে মুক্তাদীগণকে নিয়ে মুনাজাত করতেন তাহলে নিশ্চয়ই একজন সাহাবী হলেও তা বর্ণনা করতেন । কিন্তু এতগুলো হাদীসের মধ্যে একটি হাদীসও এ মুনাজাত সম্পর্কে পাওয়া যায়নি । তারপর কিছুক্ষনের জন্য মুস্তাহাব মানলেও বর্তমানে যেরুপ গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে , তা নিঃসন্দেহে বিদ’আত।  (আহসানুল ফাতাওয়া , ৩য় খন্ড ,পৃঃ ৬৮ )

★(১৬) মাওলানা মওদুদী বলেন , এতে সন্দেহ নেই যে ,বর্তমানে জামা’আতে সালাত আদায় করার পর ইমাম ও মুক্তাদী মিলে যে নিয়মে দু’আ করেন, এ নিয়ম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যামানায় প্রচলিত ছিল না। এ কারণে বহুসংখ্যক আলেম এ নিয়মকে বিদ’আত বলে আখ্যায়িত করেছেন।*
( আহসানুল ফাতাওয়া , ৩য় খন্ড , পৃঃ ৬৯৮)

★(১৭) মাসিক মঈনুল ইসলাম পত্রিকার প্রশ্নোত্তর কলামে বলা হয়েছে , জামা’আতে ফরয সালাতান্তে ইমাম-মুক্তাদী সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা বিদ’আত ও মাকরুহে তাহরীমী । কেননা সাহাবয়ে কেরাম , তাবেঈন , তাবে তাবেঈনদের কেউ এ কাজ শরী’আত মনে করে ‘আমল করেছেন বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তা নিশ্চয়ই মাকরুহ ও বিদ’আত।*
(মাসিক মঈনুল ইসলাম ,ছফর সংখ্যা ১৪১৩ হিঃ )

★প্রকাশ থাকে যে,কোন কোন ‘আলেম ফরয সালাতান্তে হাত উঠিয়ে দু’আ করার প্রমাণে কিছু পুস্তক লিখলেও প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি বিতর্কিত নয় । সিদ্ধান্তহীনতার ফলে অথবা স্বার্থান্বেষী হয়ে আমরাই বিষয়টিকে বিতর্কিত করেছি । কারণ একথা সর্বজন বিদিত যে , রাসূল সাঃ, সাহাবীগণ ও তাবেঈগণ ইমাম-মুক্তাদী মিলে ফরজ সালাত শেষে সম্মিলিত ভাবে হাত উঠিয়ে কখনো সম্মেলিত মোনাজাত করেননি এবং পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় ‘আলিমগণ করেননি এবং বর্তমানেও করেন না । কাজেই এটি স্পষ্ট বিদ’আত।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীস (সূন্নাহ) অনুযায়ী ‘আমল করার তাওফীক দান করুন–আমীন।

Post a Comment

0 Comments