Recent Tube

পুলিশ কতৃক ইয়াসমিন ধর্ষণ নিয়ে আওয়ামী রাজনীতি এবং নারীবাদীদের একাল সেকাল; ইবনে যুবাইর।

 পুলিশ কতৃক ইয়াসমিন ধর্ষণ নিয়ে আওয়ামী রাজনীতি এবং নারীবাদীদের একাল সেকাল।

 ১৯৯৫ সালে জোট সরকার ক্ষমতায়।পুলিশ  ইয়াসমিন নামের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে পরে হত্যা করে।সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে আওয়ামী দেশব্যাপী সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য গড়ে তুলে।সংগ্রামের রিপোর্ট, 

 "ইয়াসমিন' ১৯৯৫ সালের আলোচিত এক চরিত্র। ওই বছরের ২৪ আগস্ট দিনাজপুরে পুলিশ সদস্যরা ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় দেশ ও বিদেশে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। 

  পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিতা ইয়াসমিনকে নিয়ে সে সময় রাজনীতি হয়। তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরোধী দল আওয়ামী লীগ ইয়াসমিন ইস্যুতে হরতাল, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, সংঘাত-সংঘর্ষের পথ বেছে নেয়। 

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে। বিরোধী দল আওয়ামী লীগের এসব কর্মসূচিকে স্বাগত জানায় নারীবাদী সংগঠনগুলো। তারাও বিভিন্ন ব্যানারে তখন ছিল সোচ্চার। 

 সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানামুখী তৎপরতা-অপতৎপরতা চালানো হয়। ১৭ বছর পর টাঙ্গাইলের মধুপুরে ইয়াসমিনের মতো আলোচনার ঝড় তোলে স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনাটি। 
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘটনাটি ঘটলেও নজরে আসে ৩য় সপ্তাহে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায়। কথিত নারীবাদীরা আজ নিশ্চুপ। সরকারও কথা বলছে না। এ সরকারের আমলে ইয়াসমিনের উত্তরসূরীর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। 

 আতঙ্কজনকভাবে বাড়ছে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। দেশের আনাচে-কানাচে ঘটছে হাজার হাজার নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। এসব ঘটনার শিকার নারীদের করুণ আর্তনাদ আকাশ-বাতাস ভারী করে তুললেও তা যেন নারীবাদীরা শুনছে না। পর্যবেক্ষক মহলের প্রশ্ন বর্তমান আওয়ামী লীগ কি নারী বৈরী? তারা এখন নির্বিকার কেন?"নির্বিকার কেন বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যজোট?
---------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments