Recent Tube

গ্রন্থঃ দ্বীনী প্রশ্নোত্তর : অধ্যায়ঃ সাজসজ্জা ও প্রসাধন। -আব্দুল হামিদ ফাইযি।

             
                  গ্রন্থঃ দ্বীনী প্রশ্নোত্তর;
        অধ্যায়ঃ সাজসজ্জা ও প্রসাধন


 
 পুরুষদের জন্য সোনা ব্যবহার হারাম। কিন্তু শোনা যায়, চার আনা পরিমাণ নাকি জায়েয, যাতে বিপদে কাজে আসে। --- এ কথা কি ঠিক? 

  পুরুষের জন্য সোনার চেন, ঘড়ি, আংটি, বোতাম, কলম ইত্যাদি ব্যবহার বৈধ নয়। যেহেতু মহানবী (সঃ) বলেন, “সোনা ও রেশম আমার উম্মতের মহিলাদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে।” (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত ৪৩৪১ নং)

   ইবনে আব্বাস (রঃ) হতে বর্ণিত, একদা আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) এক ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখলেন। তিনি তাঁর হাত থেকে তা খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, “তোমাদের কেউ কি ইচ্ছাকৃত দোযখের আঙ্গারকে হাতে নিয়ে ব্যবহার করে?”

   অতঃপর নবী (সঃ) চলে গেলে লোকটিকে বলা হল, ‘’তোমার আংটিটা কুড়িয়ে নিয়ে অন্য কাজে লাগাও। (অথবা তা বিক্রয় করে মূল্যটা কাজে লাগাও।) কিন্তু লোকটি বলল, “আল্লাহ্‌র কসম! আমি আর কক্ষনো তা গ্রহণ করব না, যা আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।” (মুসলিম ২০৯০ নং)

   প্রকাশ থাকে যে, ব্যতিক্রমভাবে পুরুষের জন্য সোনার নাক বাঁধার অনুমতি রয়েছে ইসলামে। সাহাবী আরফাজার নাক কাটা গেলে নবী (সঃ) তাঁকে সোনার নাক বানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। (আহমাদ ১৮৫২৭, আবূ দাঊদ ৪২৩২, তিরমিযী ১৭৭০, নাসাঈ ৫১৬১ নং)

     প্রয়োজনে সোনার তাঁর দিয়ে দাঁত বাঁধতে অথবা সোনার দাঁত বাঁধিয়ে ব্যবহার করাতেও অনুমতি আছে শরীয়তে।

     পক্ষান্তরে চার আনা সোনার আংটি ব্যবহারের বৈধতা শরীয়তে নেই। বিপদ প্রয়োজনে যে কোন স্বর্ণটুকরা হাতে না রেখে সাথেও তো রাখা যায়।

    প্রকাশ থাকে যে, সোনা দিয়ে পালিশ করা জিনিসেও যেহেতু সোনা থাকে, সেহেতু টা পুরুষের জন্য ব্যবহার বৈধ নয়। (ইবনে জিবরীন)
------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক স্কলার গ্রন্থপ্রনেতা গবেষক ও দাঈ।        

Post a Comment

0 Comments