Recent Tube

কেন আমার পিছিয়ে আছি,আলেম ওলামার দেশ,মুসলিম প্রধান দেশ হয়েও এ দেশে কেন দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না? ইবনে যুবাইর।

    স্ত্রী বহু পূরুষ গমনে অভ্যাস্ত। সেই যৌবন প্রাপ্ত হবার সূচনা লগ্ন থেকে। সমাজ ব্যবস্হা তাকে এই হীন কাজে প্রমোট করেছে।

  আজ তিনি গৃহিণী।বয়স এখন কম হয়নি।
সংসার জীবনে বার বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি পুরোনো অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেন নি।
বিয়ের বছর খানেকের মাথায় রানীর কোলে ফুটফুটে একটি  মেয়ে সন্তান আসে।
এর মধ্যে স্বামী মন্টুর নিকট স্ত্রীর গোপন চরিত্র পরিস্কার হয়ে যায়।

   মন্টু রানীকে বুঝান, বলেন যে,মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও তুমি ফিরে এসো।মেয়ে আজ বড় হয়েছে।সে এখন সব বুঝে।একদিন তোমার পথে সে পা বাড়বে,বোঝ?
জিঞ্জাসু দুষ্টিতে স্ত্রীর মুখের দিকে চেয়ে থাকেন মন্টু।স্ত্রী কি যেন ভাবেন।
মন্টু আবার বলেন,আমি জানি,তুমি চায়লে ফিরে আসতে পারবে।অন্ততঃ মেয়েটার ভবিষ্যত ভেবে হলেও...!

     রানী মন্টুর কথায় সায় দিয়ে বলেন,হ্যাঁ,তাই হবে।তবে একটি শর্তে?
মন্টু রানীর সব শর্ত মানতে রাজি।তিনি শর্ত দেয়ার জন্য রানীকে অনুরোধ করলেন।রানী বললেন,কাল থেকে তিন দিন তুমি আমাকে ভিক্ষে করে এনে খাওয়াবে,তাহলেই আমি ফিরে আসব।

    এই অদ্ভুদ শর্তের আগাগোড়া মন্টু খুঁজে পেলেন না।সেই যাই হোক।রানী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে এটায় বড় কথা।

   শর্ত মোতাবেক তিন দিন মন্টু ভিক্ষে করে রানীকে খাওয়ালেন।৪র্থ দিন সকালে ঝোলা কাঁধে বাড়ি থেকে মন্টু বেরিয়ে যাচ্ছেন।রানী সামনে দাঁড়িয়ে পথ রোধ করে বলেন,কোথায় যাচ্ছ?আজ না ৪র্থ দিন?তোমার শর্ত তো পূরণ হয়ে গেছে।তবে আর কেন?
 মন্টু বলেন,আমার কাজে আমাকে যেতে দাও,রানী।

   রানী বলেন,না।আমি আমার কথা রেখেছি।এবার তোমারটাও তুমি রাখ।শর্ত ছিল তিন দিনের।তবে চার দিন কেন?
মন্টু বলেন,এই তিন দিনে অল্প শ্রমে আমার এক মাসের সমান রোজগার হয়েছে।কঠিন অদ্ভূদ ব্যবসা।আমি এই লাভজনক সফল ব্যবসা ছাড়তে পারব না।

  রানী বলেন,তিন দিনের লোভ যদি তুমি সামলাতে না পরো,তবে আমি আমার এতদিনের ব্যবসার লোভ সামলাবো কি করে।মন্টু বলেন,তোমার যা মন চায় করো,আমি আমার কাজে চললাম।ঝোলা কাঁধে মন্টু চলে যায়,রানী অপলক চেয়ে থাকে মন্টুর চলে যাওয়া পথের দিকে..!

পাঠক,এই রকম একটি ঘটনা বলার  জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।তবে আমি এই জন্যই এটি বললাম যে,সমাজ আজ এই দুই রোগে আক্রান্ত।দেশের সমাজ ব্যবস্হা এমন যে,দেশের আনাচে কানাচে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।সেই শিক্ষাঙ্গনে আমি আপনি ছেলেকে মেয়েকে শিক্ষার জন্য ভর্তি করাচ্ছি।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে,আমাদের ছেলে মেয়েদের হাতে তাদের জীবনের সকাল ভোরে ভিক্ষের থালা হাতে গুঁজে তাদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করিয়ে নিচ্ছেন শিক্ষাঙ্গনের কতুপক্ষ।

উল্লেখিত ঘটনার মন্টু তিন দিন ভিক্ষে করে যদি লোভ সামলাতে না পারেন,তবে আমাদের কচি-কাচারা জীবনের প্রত্যুষে যে ভিক্ষাবৃত্তি শিখল তারা বড় হয়ে সমাজকে কি দেবে,রাষ্ট্রকে কি দেবে,দ্বীন ইসলামকে কি দেবে?

   জীবনে তারা যা শিখল,যেভাবে তারা বড় হল  সেভাবেই তারা গড়ে উঠবে,সেভাবেই তারা জীবন সাজাবে,বড় বড় ভিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে।তাদের থেকে দশ ও দেশের খেদমত পাওয়া,দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুক্ত হওয়ার আশা করা আমাদের নির্বুদ্ধিতা নয় কি?

সমাজ বদলাতে হলে আমাদেরকে বদলাতে হবে,চিন্তা চেতনার পরিধি বাড়াতে হবে।কেন আমার পিছিয়ে আছি,আলেম ওলামার দেশ,মুসলিম প্রধান দেশে হয়েও এ দেশে কেন দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না?
উত্তর খুঁজুন,মিলে যাবে।অংকটা খুব জটিল নয়!
------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।            

Post a Comment

0 Comments