Recent Tube

কাশ্মিরের পর বাংলাদেশ ; ইবনে যুবাইর।

      
            কাশ্মিরের পর বাংলাদেশ? 

  ছবির বাম পাশের লোকটি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানী এবং ডান পাশের লোকটি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।

 ২০১৯ সালের আগষ্ট ও সেপ্টমবর।কাশ্মিরে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং সেখানকার জনগণের প্রতি ভারতের সেনাবাহিনী কতৃক অবর্ণনীয় জুলুম নির্যাতনে বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ,কি মুসলিম ও অমুসলিম ভারতের এই ঘৃণনীতির প্রতিবাদ করে,ঘৃণা জানায়। ঠিক এমনি মুহূর্তে কাশ্মিরমে ভারতের অবিচ্ছেদ অঙ্গ বলে দাবি জানায় মাওলানা মাহমুদ মাদানী। 

   সূত্রমতে, সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জমিয়ত নেতা মাওলানা মাহমুদ মাদানী বলেন, কাশ্মীর আমাদের ছিল, আমাদের আছে এবং আমাদের থাকবে। ভারত যেখানে আছে, আমরা সেখানে আছি।

    মাওলানা মাহমুদ মাদানী বলেন, 'আজ একটি প্রস্তাব পাস করে বলা হয়েছে যে কাশ্মীর ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমাদের দেশের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার সাথে কোনও আপোশ হবে না। ভারত আমাদের দেশ এবং আমরা এর পাশে দাঁড়িয়েছি। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেখানোর চেষ্টা করছে যে ভারতের মুসলিমরা দেশের বিরুদ্ধে। আমরা পাকিস্তানের ওই পদক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছি।

   এ সময় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানী ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। উভয় নেতার মধ্যে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়। উভয়পক্ষ থেকে ওই বৈঠককে ঐতিহাসিক ও অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে অভিহিত করা হয়।

  ২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট দিল্লীতে আরএসএসের কার্যালয় কেশবকুঞ্জের ওই বৈঠক মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য নির্ধারিত থাকলেও উভয়ের মধ্যে সংলাপ শুরু হলে তা দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত চলে। মাওলানা মাদানী রাত দশটায় কেশবকুঞ্জে পৌঁছন। রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত উভয়ের মধ্যে কথাবার্তা হয়।

  হিন্দি টিভি চ্যানেল ‘আজতক’
মাদানী-ভাগবতের মধ্যে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেছে, সম্প্রতি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে। এর বিরোধিতায় বিভিন্ন দল ও মুসলিম সংগঠনের বিবৃতি এসেছে। পাকিস্তানও প্রকাশ্যে বিরোধিতায় নেমেছে। এরকম পরিস্থিতিতে কাশ্মীর ইস্যুতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের বিবৃতি কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য বড় স্বস্তির বিষয় হতে পারে।

   ৯৮% কৌমি প্রণব মুখার্জি মোহন ভগবতদের অগ্রসৈনিক। তারা অখন্ড ভারত গড়ার স্বপ্নে নীরবে আজও কাঁদে এবং অখন্ড ভারত গড়ার লক্ষে তাদের চেষ্টা থেমে নেই।কৌমিদের চরিত্র বিচার করলে আপনাকে তাকাতে হবে দেওবন্দের দিকে।দেওবন্দ থেকে কৌমিদের উপর ওহী নাযিল হয়।দেওবন্দিদের উপর ওহী আসে প্রণব বাবু,মোহন ভগবতদের নিকট হতে। 

  ৯৮% কৌমি আপাদমস্তক আওয়ামী লীগ। হাসিনা ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু? আজ দেশের স্বাধীনতা কতটা হুমকির মুখে সেটা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না। সচেতন নাগরিত তো বটেই একজন গরুর রাখালকে জিঙ্গেস করলে বলে দিতে পারবে দেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে!

    দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে জল ও স্হল আজ ফ্রীতে ব্যবহার হচ্ছে ভারতের স্বার্থে।তারপরও ফেলানীদের লাশ আটকে থাকে কাঁটা তারের বেড়ায়।প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও সীমান্ত হত্যা লেগে থাকে।লাশ নেয়ার জন্য অসহয়ের মত সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকে বিজিবি।ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীর হাতে থেকে বিজিবিকে হাসি মূখে লাশ গ্রহণ করতে হবে।মুখ ভার করা যাবেনা।মুখ ভার করলে দাদা বাবুরা অখুশি হবে।

    দাদারা অখুৃশি হলে বৌদি গোস্সা করবে।
দাদা বৌদির নিকট দেশের সেনাবাহিনী ও বিজিবি বড় অসহয়।সেনাবাহিনী ও বিজিবির চোখ কান খোলা,মুখ বন্ধ।পুলিশ দানবের ভূমিকায় অবতীর্ণ।প্রশাসনের বড় বড় পদ উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইসকনের দখলে।ইসকনের মূল মিশন এ দেশের স্বাধীনতা হরণ করা।আবার ইসকনের টাকায় কৌমিদের জন্য বড় বড় বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে।কৌমির উপর তলার মানুষগুলোর জন্য ইসকনের দরজা খোলা।দু হাত ভরে যা পারো নিয়ে যাও,চোখ কান খোলা রেখে আমাদের বিষয়ে মুৃখ বন্ধ রাখো।লাগলে আরো নাও,আরো।এই হল কৌমিদের নিকট ইসকনের আবেদন।

    তাবলিগ জামায়াতের নিকট অর্থ আসে জায়নবাদী ইসরাইল থেকে। এই টাকার স্বাক্ষী প্রয়াত ধর্মমন্ত্রী কৌমি সন্তান। তিনি প্রথম বিষয়টি সামনে আনেন। হয়তো তিনি তা বলতে চাননি।অজান্তেই মুৃখ ফসকে বেরিয়ে গিয়ে থাকবে। এ দেশের আকাশ তিল পরিমান ফাঁকা নেই। ঘন অন্ধকারে ছেয়ে গেছে সব।
একটি কঠিন সময়ের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। এপার বাংলা ও ওপার বাংলা মিলনের সন্ধিক্ষণে।হে কৌমির নবীন, প্রবীণ, তরুন যুবকের!দুই বাংলা মিলে যাবার সন্ধিক্ষণের অধীর অপেক্ষা নিয়ে যদি প্রহর গুনতে থাক,তবে আমাদের বলার কিছু নেই।আর যদি তোমাদের অগচোরে তোমাদের আকাবিরগণ স্বাধীনতা বিকিয়ে অখন্ড ভারত গড়ার স্বপ্ন বুনে তবে তোমরা ফিরে আসো।দেশ-দেশের মানুষ ও দেশের স্বাধীনতা আজ বড় বিপদেরে, ভাই।

   দেশের স্বাস্হ্য আজ ভাল নেই।দেশ বড় অসুস্হ।পাশেই লোলুপ দৃষ্টিতে  দাঁড়িয়ে আছে শুকুনের দল।ক
--------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।         
 

Post a Comment

0 Comments