Recent Tube

আসলেই কি জামায়াত ছাড়া বাংলাদেশে আর কোন ইসলামী দল নেই? ইবনে যুবাইর ।

অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার  এক নির্মল কর্মপদ্ধতি  আর  প্রেক্ষাপট বিবেচনার প্রেক্ষিতে  তাত্ত্বিক পর্যালোচনা। 

আসলেই কি জামায়াত ছাড়া বাংলাদেশে আর কোন ইসলামী দল নেই?

  আমি যদি বলি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি মাত্র ইসলামী দল যারা কুরআনের রাজ কায়েম করার জন্য সর্বাত্নক জিহাদ অব্যাহত রেখেছে,তবে পাঠক আমাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেবেন এই বলে যে,জামায়াত ছাড়া বাংলাদেশে আর কোন ইসলামী দল নেই?

  জামায়াত কি একমাত্র ইসলামী দল?

  তাহলে এদেশে অন্যন্য ইসলামী  যে দলগুলো আছে সে দলগুলোর ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?
প্রশ্ন করা স্বাভাবিক।কারণ,বাংলাদেশে অনেক ইসলামী দল আছে।তার মধ্যে হেফাজত ইসলাম,তাবলিগ জামায়াত এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী  প্রথম সারির।
মনে করুন,আপনি একজন তাবলিগ জামায়াতের কর্মী বা দায়িত্বলীল। আপনার নিকট আমার প্রশ্ন হল,আপনি ইসলামী রাজনীতি কেন করেন না?
রাসুল(সঃ) কি রাজনীতি করেন নি? কুরআনে কি রাজনীতি নেই?

 আপনি কি উত্তর দিবেন? কারণ,আমি অনেক তাবলিগ ভাইকে উপরোক্ত প্রশ্ন করে কোন উত্তর পাইনি।
দ্বিতীয়তঃ- রাসুল(সঃ) পদের আকাঙ্খী ব্যক্তিকে পদ দেন নি এবং কেউ যদি পদের আকাঙ্খা প্রকাশ করেছেন তবে তাকে পদের অযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

  আমরা ইতিমধ্যে লক্ষ করেছি যে,তাবলিগ জামায়াত পদের জন্য লাটিসোটা নিয়ে রাস্তায় নেমে এক ভাই অন্য ভাইকে পিঠিয়ে রক্তাক্ত করেছেন।এটি কি করে সম্ভব?
হেফাজত ইসলাম।এটিও অরাজনৈতিক ইসলামী বড় একটি  সংগঠন।
আপনি হেফিজত ইসলামের কর্মী বা দায়িত্বশীল। তাবলিগ ভাই এর প্রতি আমি উপরে যে প্রশ্নগুলো করেছি,আপনার নিকটও আমার একই প্রশ্ন,ইসলাম থেকে রাজনীতিকে আপনি আলাদা করলেন কিভাবে?
ইসলাম কি কোন ধর্মের নাম,নাকি অন্য আর পাঁচটি ধর্মের মত?মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ইসলামকে একমাত্র মনোনীম দ্বীন বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে!

   দ্বীন মানে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্হা।এখানে সমাজনীতি,পরিবারনীতি,রাজনীতি,অর্থনীতি,
রাষ্ট্রনীতি,পররাষ্ট্রনীতি সব আছে।তাহলে আপনি অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন বলতে কোন ইসলামের কথা বলছেন?
আপনার ইসলাম কি তাহলে আলাদ?এই ইসলাম আপনি কোথায় পেলেন?কোন উত্তর নেই!
তবে তখন আপনার মুখ দিয়ে গরল বের হতে শুরু করল।আপনি আমাকে মওদূদীবাদী,কাফির,মুশরিক বলে ধুয়ে দিলেন।আমি তো আপনার থেকে এমন কথা আশা করিনি।আমি যৌক্তিক প্রশ্ন করেছি,যৌক্তিক উত্তর দেন।যদি না পারেন তবে সত্যটা জনার চেষ্টা করেন।কিন্তু গোত্রপ্রীতি আপনাকে এতটায় অন্ধ বানিয়ে দিয়েছে যে,মুরব্বির কথাকে কুরআন হাদিসের উপর প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছেন।

   আমাকে যদি মওদূদীবাদী বলেন তাহলে আরও একটি প্রশ্ন থেকে যায়,কেন বলেন?
হ্যাঁ, আপনি বলবেন যে,মাওলনা মওদূদী সাহাবিদেরকে সত্যের মাপকাঠি মানেন না?
হ্যাঁ,তিনি সাহাবিদের সত্যের মাপকাঠি মানেন না এটা সত্য।কারণ,আল কুরআন ও আল হাদিস  সাহাবিদেরকে সত্যের মাপকাঠি বানায় নি।সাহাবিগণ সত্যের মাপকাঠিে এ কথার দলিল দিতে পারবেন তো?না,কখনই পারবেন না।
এবার আপনার শেষ অস্রটি আপনি আমার উপর প্রয়োগ করে বলবেন,মাওলনা মওদূদী নবীগণকে নিষ্পাপ মনে করেন না।আমি বলব,মাওলানা মওদূদী(রহ) এমন কথা বলেন নি।এটি তার উপর মিথ্যা অপবাদ।যদি পারেন প্রমাণ হাজির করুন।জানি,প্রমাণ দিতে পারবেন না।
এখন আপনার নিকট আমার প্রশ্ন হল,আপনি তো পারলেন না মাওলানা মওদূদী(রহ.)-কে দোষী সাব্যস্ত করতে।আপনি মাওলনাকে যে অপবাদ দিয়ে আসছেন,মাওলনার বইগুলো কি পড়ে দেখেছেন কখনো,নাকি মুরব্বীদের থেকে শুনা কথার উপর আমল করছেন?
জানি,এগুলো মুরুব্বীদের কথার উপর আমলের প্রতিফলন।শেষ দুটি কথা শুনে যান,হয়তো কোন দিনও কাজে লাগলে লাগতেও পারে।
১। মাওলনা মওদূদী(রহ.)-এর বইয়ে ভুল করে হাত দিবেন না।কারণ,মাওলানার ভুলল খুঁজার জন্য যে একবার তার সাহিত্য ভান্ডারে ঢুকে পড়েছেন হাতে গোনা দু' চারজন বাদে সেই নিজের জীবনের ভুল খুঁজে পেয়ে অনুতপ্ত হয়ে মাওলানার দর্শনকে মেনে নিয়ে দ্বীন কায়েমের আন্দোলনে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন।অতএব মাওলানা মওদূদী(রহ.)-এর সাহিত্য ভান্ডার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।

২। মওদূদীবাদী বলে যাদেরকে গালি দেন তাদের নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক হয়ে থাকে বিধায় এখানে কোন হৈহুল্লোড় নেই।এই নীরব নির্বচন পদ্ধতি  আপনার ওখানে নেই।কেন নেই নিজেকে প্রশ্ন করছেন কখনো?আজ বিছানায় শুয়ে অন্তত একবার চিন্তা করতে পারেন।
আপনাকে আপনার মুরব্বীগণ মাওলনা মওদূদী(রহ.)-এর তাফসির ও সাহিত্য পড়তে নিষেধ করেছেন,কিন্তু আপনার চিন্তা চেতনার উপর তো তারা পাহারা বসিয়ে রাখেন নি।তাই চিন্তা করলে গোনাহ হবেনা,মুরব্বীদের অভিশাপও লাগবে না।আজ একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন,রাসুল(সঃ) রাজনীতি করেছেন,আল কুরআনে ইসলামী রাজনীতিকে বান্দার জন্য ফরজ করে দেয়া হয়েছে,মওদূদীবাদীরাও ইসলামী রাজনীতি করছে,তাহলে আপনি কেন ইসলামী রাজনীতি ছাড়া?রাসুল(সঃ)-এর রেখে যাওয়া ইসলাম আর আপনার মুরুব্বীদের শিখানো ইসলামের মধ্যে কোন সামঞ্জস্য নেই,বহুত ফারাক!!
-------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।           

Post a Comment

0 Comments