Recent Tube

দিন শেষে মামনুল হকও জামায়াত নিয়ে ক্বওমী বিষবাষ্প ছড়ানোর শেষ সুযোগটুকুও হাত ছাড়া করলেন না; ইবনে যুবাইর।

দিন শেষে মামনুল হকও জামায়াত নিয়ে ক্বওমী বিষবাষ্প ছড়ানোর শেষ সুযোগটুকুও হাত ছাড়া করলেন না

আসুন তার মুখ থেকে শুনা যাক।তিনি লিখেছেন,"আল্লামা আহমদ শফী রাহিমাহুল্লাহর 
জানাযার খাটিয়া বহনের প্রকৃত ঘটনা কী ?

২০ সেপ্টেম্বর'২০
  শাইখুল ইসলাম  আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহিমাহুল্লাহর জানাযায় যে লাখো মানুষের ঢলনেমেছিল, সেটা তো বলাই বাহুল্য ৷ সারাদেশ থেকে দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে শাইখুল ইসলামকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য হাটহাজারীতে একত্রিত হয়েছিল তা ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় জানাযায় পরিণত হয়েছে ৷ ইতিহাসের কিংবদন্তি এই মহান ব্যক্তিত্বের সাথে আমার ব্যক্তিগত বায়আতের সম্পর্ক ছিল ৷ আমি হযরত শাইখুল ইসলাম রহমতুল্লাহি আলাইহির হাতে বায়আত গ্রহণকারী একজন শীষ্য ৷ তাই হযরতের প্রতি ব্যক্তিগত মুহাব্বাত ও ভালোবাসার তাগিদ থেকেই জানাজায় অংশগ্রহণ করার অভিপ্রায়ে লাখো মানুষের সাথে আমিও ছুটে যাই হাটহাজারী ৷ শাইখুল ইসলামের জানাজা এবং তার দাফনসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড হাটহাজারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও তাঁর পরিবারবর্গের দায়িত্বে পরিচালিত হতে দেখেছি ৷ 

  আমরা জানাজার উদ্দেশ্যে হাটহাজারী পৌঁছেছিলাম ভোরবেলায় ৷ তখনো শাইখুল ইসলামের মরদেহ হাটহাজারী পৌছেনি ৷ ফলে হযরতের অন্তিম মুখাবয়ব দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল না ৷ ফলে জানাজার পূর্বমুহুর্তে আমি গিয়েছিলাম শাইখুল ইসলামকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে ৷ গিয়ে দেখি ততক্ষণে অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৷ এম্বুলেন্স নিয়ে মাদরাসার মাঠ থেকে হাটহাজারী ডাকবাংলো চত্বরে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ উপস্থিত সেখানে তেমন কোনো দায়িত্বশীলকে আমি পাইনি ৷ দূর থেকে মাইকে ঘোষনা দেয়া হচ্ছিল, অ্যাম্বুলেন্স যেন মাদ্রাসা মাঠ থেকে ডাক বাংলোর দিকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারের সহযোগিতায় আমিও পাশের সিটে বসে অ্যাম্বুলেন্সের সাথে ডাকবাংলো চত্বরে দিকে যাই ৷ ডাকবাংলো চত্বর শক্তিশালী গেটের দ্বারা সংরক্ষিত ৷ সেখানে যখন গাড়ি পৌঁছে,  সেখানে ছিল শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বৃন্দ ৷ আর মূল ফটকের মুখে ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাম লেখা এ্যাপ্রোণ পরিহিত স্বেচ্ছাসেবক ৷ ডাকবাংলোর গেট খুলে কারা ভিতরে প্রবেশ করল, আর কারা করল না এ বিষয়টির নিয়ন্ত্রণ ছিল সম্পূর্ণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর ইসলামী আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে ৷ কাকে ভিতরে ঢুকতে দিবে আর কাকে ঢুকতে দিবে না এ বিষয়ে আমার কোনো দায়িত্ব ছিল না, কিছু করারও ছিল না ৷ কিছুক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন হাটহাজারীর স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং শাইখুল ইসলামের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও মাদ্রাসার একজন দায়িত্বশীল শিক্ষক ৷ সেখানে ব্যক্তিগতভাবে আমি চেষ্টা করেছি  তাদেরকে সহযোগিতা করার ৷ জানাজা শেষে যখন খাটিয়া বহন করা হয় তখন অনেকেই এগিয়ে আসে খাটিয়া বহন করতে ৷ আমি খাটিয়ার বাঁ পাশে ছিলাম ৷ জামাতে ইসলামীর দু-চারজন লোক সেখানে দেখতে পাই, তারা আমার পাশ দিয়ে খাটিয়া ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অন্য প্রান্তে গিয়ে তাদের একজন খাটিয়ার হাতল স্পর্শ করে এবং ছবি তুলে ৷ 
গতকাল থেকেই লক্ষ করলাম বিষয়টি নিয়ে কিছু কিছু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে ৷ এ বিষয়ে আমার স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, কারা জানাযার কাছে গেল কারা খাটিয়া বহন করল, এ বিষয়ের দায়-দায়িত্ব প্রথমত হাটহাজারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের, দ্বিতীয়ত শাইখুল ইসলাম রহমতুল্লাহি আলাইহির পরিবার থেকে নির্ধারিত জানাযা ও দাফনসহ সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত ১০ সদস্যের,  তৃতীয়ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর, চতুর্থত স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে নিয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা ও কর্মী বৃন্দের ৷ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নিছক জানাযায় অংশগ্রহণকারী একজন ব্যক্তি হিসেবে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি নিজেদের ব্যর্থতা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া ছাড়া আর কী হতে পারে ?"

   জামায়াত শিবির কতৃক  আহমাদ শফির খাটিয়া ধরা নিয়ে যারা তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলছিলেন যে,এই ঘটনা কওমী ও জামায়াতের মাঝের দেয়ালটা ভেঙ্গে যাবে,মামুনুল হকের এই লেখা তাদের জন্য। কারণ,দিন শেষে মামুনুল হকও কওমী।কওমীর বাইরে তার চিন্তা করার ইখতিয়ার নেই।ক্বওমীরা থাকে ওই ভদ্র পল্লিতে।দ্বীন কায়েমের ময়দানে তাদের খুঁজে পাওয়া যাইবে না!
---------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments