Recent Tube

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলীম দেশে অফিসের নির্দিষ্ট ছোট্ট গন্ডিতে পর্দার কথা বলায় ক্ষমা চাইতে হলো। কুতুব শাহ।


সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলীম দেশে অফিসের নির্দিষ্ট ছোট্ট গন্ডিতে পর্দার কথা বলায় ক্ষমা চাইতে হলো।

 
ব্যাক্তি পর্যায়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে অটোমেটিক তা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন হবে, রাষ্ট্রীয় ইসলাম বলতে কোন ইসলাম নাই! সুন্নতের অনুসরণ নাই, তাওহীদের জ্ঞান নাই তারা রাষ্ট্রীয় ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠান নামে গদি দখল করতে চায়! দ্বীন প্রতিষ্ঠার নামে অমুক, তমুক সরকারকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে গদি দখল করার ভ্রান্ত চিন্তা ঢুকিয়ে দিয়েছে ইখওয়ানী, খারেজী, দেওবন্দী, জামায়াতীরা!

ঘোমটা শায়খরা তাদের কথিত ল্যাকচারে উল্লেখিত থিওরী বিলায়, তাদের অনুসারীদের মনে হয় আ রে এই তো চমৎকার কথা! তাই তারা ইসলামী দল গুলোর প্রতি ঢিল ছুড়ে তাদের মুখে জামায়াতী,ইখওয়ানী, দেওবন্দী, খারেজী ইত্যাদি শব্দ লেগে থাকে কিন্তু দ্বীনের প্রধান শত্রু স্যাকুলারিজম, কমিউনিজম নিয়ে মাথা ব্যাথা নাই! ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি ব্যাক্তিগত ভাবে ইসলাম পালন করেন এর সাথে তিনি তাঁর অফিসে ইসলামের মৌলিক বিষয় নারীদের পর্দার নির্দেশনা এবং পুরুষদের টাকনুর উপরে প্যান্ট পড়ার কথা বলেন। ব্যাস

ছাব্বিশ ঘন্টা যেতে না যেতে শুধু নোটিশ প্রত্যহার নয় উল্টো ক্ষমাও চাইতে হয়েছে। এর কারণ, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উনার সহযোগী নাই, রাষ্ট্রে তার যৌক্তিক দাবী ব্যাখ্যা করার সুযোগ নাই। তাই যারা বলে ব্যাক্তি পর্যায়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠা যথেষ্ট তারা ঘুমে আছেন, তারা দুর্বল মতবাদ প্রচার করছে, তাদের অনুসারীদের মাঝ থেকে দ্বীন প্রতিষ্টার একটা অংশকে বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছেন।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলীম দেশে অফিসের নির্দিষ্ট ছোট্ট গন্ডিতে পর্দার কথা বলায় ক্ষমা চাইতে হলো। তাঁর প্রচেষ্টাকে তালেবানী, জামায়াতী চিন্তাধারা বলা হল, তাকে অপমান করা হল। কারণ, এই দেশে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যাক্তিগত নামাজ, কালামের লোক যথেষ্ট আছে কিন্তু ইসলামী কোন ন্যায্য মৌলিক দাবীর পক্ষে শক্ত অবস্থান নেয়ার মত কেউ নাই। ইসলামী দল গুলো ক্ষমতায় যাক বা না যাক তারা রাষ্ট্রে এমন অবস্থান, শক্তি দাঁড় করাতে চায় যাতে ইসলামী কোন বিধানের কথা বল্লে ক্ষমা চাইতে না হয়! বরং এই দাবীকে জোরালো ভাবে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের ব্যাবস্থা করা যায়!

এছাড়া যারা ইসলামী দল রাজনীতি করেন তারা তাদের কর্মী সমর্থকদের মাঝে ইসলামের মৌলিক বিষয় গুলোর শিক্ষা, প্রশিক্ষণের সাথে পরিবার, সমাজ রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও দ্বীন প্রতিষ্টার তালিম তরবীয়্যাত দেন। এই বিষয়টি ঘোমটা শায়খেরা হয়ত জেনেও বিরোধীতা করে অথবা না জেনে অন্ধকারে ঢিল মারে।

দেশে যত ইসলামী দল আছে মাঝেমধ্যে তাদের বড় বড় মিছিল দেখে ভাল লাগে, শ্লোগা শুনে প্রেরণা জাগে কিন্তু তারা মৌলিক জায়গায় যথেষ্ট দুর্বল! এর প্রমাণ হল, একজন ব্যাক্তি পর্দার কথা বলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে নোটিশ প্রত্যহার করে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। ডিবিসি নিউজে কালা মানিক পর্দাকে তালেবানী জামায়তী পোশাক বলে বিষোদগার করার পরেও ইসলামী দল গুলো কিছুই করতে পারেনি! কী হবে মিছল শৌ করে যদি মৌলিক জায়গা দুর্বল থেকে যায়?

আপনি কোন দল করেন সেটা কোন ব্যাপার না, আপনার মিছিল কত বড় তাও ব্যাপার না। কারণ, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মূলে বসে আছে কালা মানিকেরা সেটা বড় ব্যাপার, আপনারা একে অপরের পাছায় বাঁশ দিতে থাকেন সেটা বড় ব্যাপার! আর সে জন্যই আপনারা দুর্বল।
------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments