এটি একটি ঐতিহাসিক তবে ব্যক্তিগত
এনালাইসিস মাত্র বৈ কিছুই না ? তবে হ্যা
আসলে কি ঘটে গেলো এবং কি হতে যাচ্ছে
যা দেখতে অবশ্যই আমাদেরকে অপেক্ষা
করতে হবে! জাস্ট ওয়েট এন সি;
হেফাজত হাম,
বেফাক তুম।
মাহমুদুল হাসান বেফাকের নির্বাচিত সভাপতি। জামায়াত ঘরানার কিছু মানুষ তাকে সরকারপন্থী বলে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন।তিনি হেফাজতকে ধ্বংস করবেন এবং চরমোনাইপন্থীরা মামুনুল হকে পটিয়ে সেই পদ দখল করে নিয়েছে বলেও বলতে শোনা যাচ্ছে।
কিন্তু কওমী পাড়াতে এই নিয়ে কোন শোরগোল নেই।অর্থাৎ সব কিছুই ঠিকঠাকভাবেই হয়েছে।মাহমুদুল হাসান একজন হক্কানি আলেম বলে কওমী পাড়া থেকে একযোগে প্রচার হচ্ছে।
তাহলে মামুনুল হককে চরমোনাই গ্রুপ পটালো কিভাবে?
আসলে এটি পটাপটির কোন বিষয় নয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে জাতীয় নির্বাচন হয়।সে নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় লাভ করে।
ভুট্টো শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমুশি করেন। শেখ মুজিবকে উদ্দেশ্য করে তিনি এক অদ্ভূত বুলি আওড়াতে থাকেন । বলেন, এ ধার হাম,ও ধার তুম। অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তান মুজিবের, আর পশ্চিম পাকিস্তান ভুট্টোর।
মামুনুল হক চরমোনাই সাথে সেরকমই একটা আপোস রফাদফা হয়ে থাকতে পারে। হেফাজত হাম,বেফাক তুম। অর্থৎ হেফাজত মামুনুল হকের,বেফাক মাহমুদুল হাসান তথা চরমোনাই গ্রুপের।
হেফাজতের প্রধান পদ অলংকৃত করার স্বপ্নে মামুনুল হকের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ জুনায়েদ বাবু নগরী।
তবে যদি মামুনুল হকের পিঠে হাসিনার হাতের ছুয়া পড়ে শুধু মাত্র তাহলেই সম্ভব মামুনুল হকের দ্বারা হেফাজতের প্রধান পদ অলংকৃত করা, নচেত নয়।
----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments