Recent Tube

বিতি কিচ্ছা-৪৪; ৷ --নুর মুহাম্মদ চৌধূরী।


 
                                 বিতি কিচ্ছা
                                         পর্ব-৪৪;

স্বপ্ন পূরণ উৎসব:-

        এক মাসেরও বেশী সময় ধরে পেয়াজের বাজারের আগুন যেন নিভছেই না। এর মধ্যে নতুন খবর "ধানমণ্ডিতে বহুতল আবাসিক ভবনে আগুনের লেলিহান শিখা"। খবর শুনে মহাজন পট্টির ধানের ব্যবসায়ীদের জিবে পানি জমা শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার ধানের ব্যবসাও জমবে ভাল। 

        কিন্তু দূ'দিন ধরে সারা দেশব্যাপী থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতা সাধারণরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। সুতরাং তাবৎ ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীক সদাইয়ের পসরা সাজিয়ে বসতেই হয় তাদের। কিন্তু খদ্দের না থাকলে কিসের জন্য এই বসা? আর কি ই বা লাভ হয় মুল্যের উর্ধ্বগতিতে? এদিকে গুদামের মাল তেমন টেকসই নয়। ক্রমশঃ অবস্থার অবনতি হচ্ছেই।

          ভাড়ায় চালিত যানবাহনও তেমন মন্দা বাজারে সুবিধা করতে পারছে না। হাসপাতাল কিংবা প্রাইভেট ডাক্তারের চেম্বারেও তেমন ঝুট ঝামেলা নাই। ফলে চেম্বারের এটেন্ডেন্টদেরও কোন উপরি আয়ের সুযোগ হবে না। এতএব ভোজন বাড়ীর রস মালাইয়ের অগ্রিম অর্ডার বাতিল হয়ে যাওয়ায় ভীষণ বিপাকে আছে ওরা।

         এই ভাবে ক্রমশ স্বপ্ন ভঙ্গের ধারাবাহিকতায় দিন যাপন করছি আমরা। আর এটাই নাকি আমাদের পূর্বসূরির আজীবন লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে মহা উল্লোসিত আছেন ওরা। সুতরাং আশা করা যাচ্ছে এই ধারাবাহিকতা ক্রমশঃ মরিচেও ধরবে, লবনেও ধরবে। ভোজ্য তেলেও ধরবে এই আশায় প্রমাদ গুনছেন কর্তারা।

         কিন্তু দাহ্য তেলে আগুন ধরানো যায় কখন - সেই ভাবনায় গোল টেবিল বৈঠকে আছেন স্বপ্ন বাস্তবায়ন কমিটি। প্রতিজ্ঞা তাদের "স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই হবে।দাহ্য তেলে ও গ্যাসে আগুন ধরাতেই হবে। ছার খার করে দিতে হবে সব। তবেই হবে শান্ত আমার নানাজানের আত্না, আর পূর্ণতা পাবে আমাদের ওই স্বপ্ন পূরণ উৎসব।

Post a Comment

0 Comments