Recent Tube

হেফাজতের নিকট শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের অসহয় আত্নসমর্পণ। ---ইবনে যুবাইর।


হেফাজতের নিকট আওয়ামী প্রধান  ও ছাত্রলীগের অসহয় আত্নসমর্প;

  মামুনুল হক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে হেফাজতের ব্যানারে ময়দানে নেমে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকেও হেফাজতের শক্তিমত্তা সম্পর্কে বুঝিয়ে দিলেন,তারা কি করতে পারেন এবং সরকার ও তাদের দলীয় পেটুয়া বাহিনী কি করতে পারে।ছাত্রলীগ তথা হাসিনা সরকারের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে প্রশংসায় ভাসছেন মামুনুল হক এবং দলের নেতা-কর্মীদগণ।অনেকের ধারণা,দেশে ইমলাম কায়েম হলে কৌমি আলিমদের হাত ধরেই হতে পারে,নচেত নয়।

  এ দিকে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের যতগুলো অঙ্গ সংগঠন আছে,হেফাজতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য রাস্তায় কাউকেও দেখা যায় নি।দু এক জায়গায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের উপর লাঠি চালাতে  পু্লিশকে দেখা গেছে।গ্রেফতার হয়েছেন বেশ ক'জন নেতা-কর্মী।গ্রেফতারকৃতদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারকে হুসিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের পক্ষ থেকে।অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
এই হল সংবাদ বুলেটিন।

এখন প্রশ্ন থাকতে পারে,ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের যত অঙ্গসংগঠন এবং খোদ সরকার নিজেই হেফাজতের নিকট এই যে অসহয় আত্নসমর্পণ,তাহলে হাসিনা কি হেফাজতকে ভয় পেয়েছেন?হাসিনার শক্তিমত্তা কি ধুলোয় মিশে গেল?

   এ কথার জবাব পেতে হলে আমরা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সহ সভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী শুনে আসব তিনি কি মন্তব্য করেছেন।বিবিসি বাংলার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,"ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে আমরা রাজনৈতিক ব্যানারে না করে বিভিন্ন সংগঠনের নামে কর্মসূচি পালন করি। রাজনৈতিক ইস্যুতে সরকার আমাদেরকেও বাধা দেয়। আর অরাজনৈতিক বিষয়ে সরকার বাধা না দেয়ায় আমরা সেটা ইতিবাচক মনে করি। তবে সরকার হয়তো ইসলামপন্থীদের সাথে কোন সংঘাতে যেতে চাচ্ছে না। সেটাও আমরা মনে করি।"

    জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশে এর সহ সভাপতি আব্দুর রব ইউসুফীর উপরে উল্লেখিত করা বয়ান থেকে আমরা এ কথা জানতে পারলাম যে,এক. যেহেতু কৌমি আলেমদের সাথে সরকারের একটি বোঝাপড়া আছে সেহেতু সরকার ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে এই মুহূর্তে হেফাজতের উপর কঠোর অবস্হানে যাবে না এবং সেই ইচ্ছেও মনমানসিকতা সরকারের নেই।

  দুই. ভাস্কর্য যেহেতু একটি ধর্মীয় ইস্যু এবং হেফাজত যেহেতু একটি অরাজনৈতিক সংগঠন,যেহেতু হেফাজতে ইসলাম কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি বা সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে কথা বলছে না সেহেতু সরকার তাদের সাথে সংঘাতে না গিয়ে ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করবে এবং করেছে।

   সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্হার প্রধানগণ হেফাজতের প্রধান প্রধান নেতাদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছে,চলছে দেনদরবারও।আমরা চশমার ভাঙ্গা কাঁচের ফাঁক দিয়ে দেখছি,  ছাত্রলীগ ও লীগ প্রধান শেখ হাসিনা মামুনুল হকের নিকট অসহয় আত্নসমর্পণ করেছেন এবং মামুনুল হক এই জমিনে দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন।দ্বীন কায়েম হয়তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।
------------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments