Recent Tube

বিতি কিচ্ছা-৫৪; --নুর মুহাম্মদ চৌধূরী।

               
                 
                     বিতি কিচ্ছা;
                              পর্ব-৫৪;


যে গেল, সে বেঁচে গেল;
**********************
         কারো অপারগতা অথবা অসুবিধা দর্শনে হাসা হাসি করা যাবে না। অবশ্য এমন দিন যে কোন সময় যে কেউ'র  মধ্যে উপস্থিত হতে বিলম্ভ হয় না। নিজের স্বচ্ছলতা আর সক্ষমতার বড়াই করা আসলে চরম মুর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়। কোন ব্যাক্তির বর্তমান অবস্থা অবশ্যই মহান রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছানুযায়ী স্তিত। কেহ কখনও নিজের ইচ্ছায় সুস্থতা অথবা সচ্ছলতার সীমার মধ্যে পদচারনা করার ক্ষমতা রাখে না। তারপরও মহান রব তার সৃষ্টির জন্য একটি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, যা দ্বারা তাবৎ সৃষ্টি কল্যাণের সিঁড়ী বেয়ে এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমরা ক'জন  করি এই দিক নির্দেশনার হুবহু অনুসরণ? বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ আসলে এটিই। মুর্খতা সুলভ মিথ্যা অহংকারের বশবর্তি হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করার ফল সরূপ  প্রায় প্রতিটি মানুষই আজ অধ:পতিত। 

      অহংকারের পাশাপাশি হিংসা একটি রোগ। এই রোগের অর্থ হচ্ছে কোন ব্যাক্তির প্রাপ্ত সম্মান যা তাহাকে দিয়োছন সয়ং আল্লাহ,- তার ব্যাপারে অনাস্থা প্রকাশ করা। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অঢেল সম্মান ও রিজিক দান করেন, আর যাকে ইচ্ছা করেন সংকুচিত। এই সংকোচন যেমন শাস্তি নয়, তদ্রুপ এই প্রাপ্তিও নিরঙ্কুশ পুরষ্কার নয়।  বরং এই দুই-ই রীতিমত পরীক্ষা বিশেষ। 

       তবে প্রাপ্ত অবস্থাকে দুরবস্থা জ্ঞান করলে তার থেকে পরিত্রাণের আইনানুগ প্রক্রিয়া আছে। সফলতার জন্য শর্ত সঠিক আইনি বা জায়েজ প্রক্রিয়ায় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। অধ্যবসায় অব্যাহত থাকলে নিশ্চিত সুফল লাভ হবে, এই আশা বা মনোবল দৃঢ় হওয়া উচিৎ। 

         ইদানিং সচ্ছলতার অনুসন্ধান করতে গিয়ে কল্পনাতীত দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে দেশের মানুষ ঘর ছেড়ে বিদেশের মাটিতে গিয়ে নিঁখোজ হয়ে, লাশ হয়ে পাহাড়, নদী বা সমুদ্রে জীবজন্তুর আহারে পরিনত হচ্ছে। তাদের ধারণা, পৃথিবীর অপার সূখ নাকি ওপারেতে হাটু গেড়ে বসে আছে। এরকম ধারণা অবশ্য সাঁধে করে নাই অনেকে। প্রীয় জন্মভূমিটি আইয়্যামে জাহিলিয়াতের চেয়ে নিকৃষ্ট পাপাচারে সয়লাব। এখানে কেউ ভাল থাকতে চাইলে তাকে কোনরূপ সহযোগীতা করা হবে না। আর মন্দের পৃষ্টপোষকতা এখানে সর্বকোনে, সবসময় সহজলভ্য্য। দেশটি সন্ত্রাসী,  ডাকাত, লোঠেরাদের অভয়ারণ্য হয়ে আছে। অন্যদিকে সুশীলদের জন্য রীতিমত কুরুক্ষেত্র এই ভূ-ভাগ। এমতাবস্থায় আড়াল হল যে, সে বলা যায় নিস্কৃতি পেল। আজ নাঙ্গা পায়ের অশিক্ষত রাখালগুলো সমাজের পরিচালক,  আবার বাদীর ঘরে জন্ম হচ্ছে তার মুনিবের। এতএব  নিকটবর্তী মহাপ্রলয়ের সঙ্গীত সুর বেজে উটার আগে আগেই পটল তুলতে কে না চাইবে। এতএব বলা যায়,  যে গেল, সে বেঁচে গেল।
------------------------------------------------------

Post a Comment

0 Comments